নীল সিয়া আসমান, লালে লাল দুনিয়া
আম্মা! লাল তেরি খুন কিয়া খুনিয়া।
বাংলাদেশে এখন খুন, জেল-জুলুম ডালভাত হয়ে গেলো দেখছি। কথায় কথায় গুলি করে পাখির মত মানুষ মারা একটা অভ্যাস হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেশে আইন-আদালত ঠিকঠাক থাকলে এরকম হতো না। এই সমস্যার সমাধান হওয়া উচিত। এমপি-মন্ত্রীদের মাথাখারাপ টাইপ কথাবার্তা দেশের এই অবস্থার জন্য অনেকাংশে দায়ী। এসব লাগামহীন কথাবার্তার ক্ষেত্রে আরো সতর্ক হওয়া উচিত। দায়ীত্বশীল পর্যায়ে আছেন, ক্ষমতার চেয়ার আপনার বাসার বসার চেয়ার নয়। এটা এক খুঁটির চেয়ার। সাবধানে বসা লাগে। না হলে হালকা বাতাসে পতন নিশ্চিত। পতন ঠেকাতে গিয়ে পরে আবার রক্তারক্তিও করা লাগে। এখন সেই পর্যায়ে আছে বর্তমান কর্তাব্যক্তিরা।
সাঈদী সাহেবের স্বৈরাচার নিয়ে একটা কথা,
নয় বছরের রাজা,
দশ বছরের সাজা।
(সাঈদীর উদ্ধৃতি দেয়াতে অনেকে আবার রাজাকার ইস্যু নিয়ে আসবেন। এই স্বৈরাচার সরকার তার গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে। বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছে। তারা মানবিক নয়। তারা যাদেরকে রাজাকার হিসেবে বিচার করেছে তাদের ব্যাপারে পুনরায় তদন্ত হওয়া উচিত। অন্যথায় স্বৈরাচারের জুলুমের দায়ভার সবাইকে নিতে হবে)।
এখন কথা হলো ইস্যু যাইহোক, এতগুলো মানুষ কেন মারতে হলো?
এক মন্ত্রী বললেন, “বিএনপি জামাতের লোকেরা পুলিশের পোশাক পরে মানুষ মেরেছে”।
লজ্জা থাকা উচিত ছিলো।
যে দেশে সাধারণ ইস্যু নিয়ে হাজার হাজার, সাড়ে হাজার মানুষ আহত-নিহত হতে পারে সে দেশ অন্তত সভ্য দেশ নয়। সে দেশে রাষ্ট্রীয় শোক পালন কাঁটা গায়ে লবণের ছিঁটার মত।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৩:১১