আমরা তো অনেকেই বাংলাদেশ ছেড়ে এই মুহুর্তে বিদেশে আছি। বিদেশে গেলে নাকি প্রত্যেকের দেশপ্রেম একটু হইলেও বাড়ে সে যেই হোক (যে কোন দেশের নাগরিক হতে পারে) ... তার একটা উপযুক্ত প্রমান পেলাম অং সান সু চি'র ইউরোপ সফরের শুরুতে। তিনি বলেছেন, পশ্চিমা দেশগুলো মিয়ানমারের উপর গত কয়েক দশক ধরে মারাত্বক অবিচার করেছে, তারা ঠিক কাজটা করে নাই। লক্ষ্য করুন, সুচী কিন্তু নিজেই নিজের দেশে কয়েক দশক ধরে সামরিক জান্তার হাতে বন্দী ছিল। গনতন্ত্র সেখানে এখনো বিপন্ন। তারপরো, বিদেশে যেয়ে তিনি তার সবকিছুর উর্ধে দেশপ্রেমের তাড়না থেকেই ঐ কথা গুলো বলেছেন। এখন আসেন আর একটা পয়েন্টে, যতই সামরিক সরকার সুচীর সঙ্গে বিমাতা সুলভ আচরন করুক বা জেলে বন্দী করুক, বা তাকে নির্বাচন করতে না দিক, তিনি কিন্তু রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমার সামরিক সরকারের সাথে একমত মানে একি নীতি পোষন করেন। রোহিঙ্গা রা মিয়ানমারে সবকিছুতেই নিষিদ্ধ; সরকারী চাকরি থেকে শুরু করে সবকিছুতেই। এমনকি রোহিঙ্গা মুসলিম দের বিবাহ করতে গেলেও সরকারের অনুমুতি লাগে। মিয়ানমার সরকার তাদের সেইদেশের নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতি দেয় না। তাহলে শান্তির জন্য নোবেল পুরস্কার প্রাপ্ত গনতন্ত্রের মানষ কন্যা কিভাবে এই নীতি পোষন করেন? উত্তর একটাই কারন তার দেশপ্রেম!! সত্যিই কি তাই?
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই জুন, ২০১২ দুপুর ১২:৫৭