somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

যে ভাবে এল বাংলা নববর্ষ....

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বাংলার মানুষ কীভাবে একটি দিনপঞ্জি পেল, তা নিয়ে রয়েছে বিতর্ক। এ নিয়ে তিনটি মত প্রচলিত আছে। একদল মনে করেন, রাজা শশাঙ্ক প্রথমবাংলা দিনপঞ্জির প্রবর্তন করেছিলেন। অপর একদল মনে করেন,

মোঘল সম্রাট আকবর বাংলা সন গণনার প্রচলন ঘটান। তৃতীয় আরেক দল মনে করেন, হোসেন শাহী আমলের সুলতান আলাউদ্দিন হোসেন শাহ নিজ রাজ্যে বাংলা ক্যালেন্ডার প্রথম ব্যবহার করেন।

একদিকে হিজরি সনের সঙ্গে সামঞ্জস্যতা, অন্যদিকে প্রাচীন সংস্কৃত জ্যোতির্বিজ্ঞানের সঙ্গে মিল থাকা এ মতভেদের কারণ বলে মনে করেন অনেকে। এর মধ্যে আবার ইংরেজি গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারের সঙ্গেও খানিকটা সামঞ্জস্যতা বিতর্কটিকে আরও উস্কে দিয়েছে। তার মধ্যে ইংরেজি বর্ষ ও বঙ্গাব্দের সময়ের পার্থক্য এই বিতর্কের আগুনে ঢেলেছে ঘি।

ইংরেজি ও বাংলা দিনপঞ্জির মধ্যবর্তী সময়ের পার্থক্য ৫৯৩/৫৯৪ বছর।

এখানে উল্লেখ্য, হিজরি তারিখের পরিবর্তন হয় রাতের আকাশে চন্দ্রের আবির্ভাবের সঙ্গে। নতুন চাঁদ মানে নতুন আরবি মাস। অন্যদিকে রাত বারোটা বাজামাত্র ইংরেজি তারিখ পরিবর্তিত হয়। আর বাংলা দিনপঞ্জিতে তারিখ পরিবর্তিত হয় সূর্যোদয়ের সঙ্গে।

বিতর্কগুলো নিয়ে আলোচনার আগে তিন নৃপতির পরিচয় তুলে ধরা জরুরি। রাজা শশাঙ্ক ছিলেন গৌড়ের অধিপতি। আনুমানিক ৫৯০ খ্রিস্টাব্দ থেকে ৬২৫ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত তিনি রাজত্ব করেন।

গৌড়ের অন্তর্ভুক্ত ছিল বাংলা, বিহার ও ওড়িষ্যা। অন্যদিকে, আলাউদ্দিন হোসেন শাহও ছিলেন বাংলার স্বাধীন সুলতান। তার রাজত্বকাল ছিল ১৪৯৪ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৫১৯ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত—২৩ বছর। আর সম্রাট আকবর ছিলেন মোঘল সাম্রাজ্যের তৃতীয় বাদশাহ, যার রাজত্ব ছিল গোদাগরি নদী পর্যন্ত পুরো ভারতীয় উপমহাদেশ।

তিনি ১৫৫৬ সালে উত্তর ভারতের সম্রাট হেমু বা হেমচন্দ্র বিক্রমাদিত্যকে পানিপথের যুদ্ধে পরাজিত করে ডুবন্ত মোঘল সাম্রাজ্যকে পুনর্জীবিত করেন। এরপর ১৬০৫ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত ঊনপঞ্চাশ বছর তিনি দিল্লি শাসন করেন।

প্রথম দলের অভিমতের পেছনে শক্ত যুক্তি হলো, রাজা শশাঙ্ক ৫৯৪ খ্রিস্টাব্দে বঙ্গাব্দের প্রচলন করেন। ফলে গ্রেগরিয়ান ক্যালন্ডারের চেয়ে বঙ্গাব্দের বর্ষপঞ্জি পিছিয়ে আছে ৫৯৩/৫৯৪ বছর।

যদি ইংরেজি বর্ষের প্রথম দিন অর্থাৎ ১ জানুয়ারি পহেলা বৈশাখের আগে ধরা হয়, তাহলে বাংলা বর্ষপঞ্জি ইংরেজির চেয়ে পিছিয়ে আছে ৫৯৪ বছর। আর যদি পহেলা বৈশাখকে আগে বিবেচনা করা হয়, তাহলে ইংরেজি বর্ষের চেয়ে বঙ্গাব্দ পিছিয়ে আছে ৫৯৩ বছর।

ধারণা করা হয়, ‘সূর্য সিদ্ধান্তের’ ওপর ভিত্তি করেই ৫৯৪ খ্রিস্টাব্দের ১২ অথবা ১৪ এপ্রিল প্রণয়ন করা হয় বাংলা বর্ষপঞ্জির।

ইংরেজি সালের সঙ্গে বঙ্গাব্দের সময় ব্যবধানের ক্ষেত্রে এই যুক্তি অত্যন্ত শক্ত বলেই গণ্য হয় ইতিহাসবিদদের কাছে। উল্লেখ্য, সূর্য সিদ্ধান্ত হচ্ছে সংস্কৃত জ্যেতির্বিজ্ঞানের বিভিন্ন গ্রন্থে উল্লেখিত একটি বিষয়।

রাজা শশাঙ্ককে কৃতিত্ব দেওয়া ইতিহাসবিদগণ মনে করেন, সম্রাট আকবর তাঁর প্রচলন করা দিনপঞ্জির উন্নয়ন সাধন করে পুনর্প্রচলন করেছেন মাত্র। সেই সঙ্গে তিনি তা ছড়িয়ে দিয়েছেন ভারতবর্ষজুড়ে।

বঙ্গাব্দের ব্যাপারে দ্বিতীয় মতটি হলো, এই বর্ষপঞ্জি প্রবর্তন করেন হোসেন শাহী আমলের সুলতান আলাউদ্দিন হোসেন শাহ। কৃষি প্রধান ভারতীয় উপমহাদেশে দিনের হিসাব চাঁদের চেয়ে সূর্যের পরিক্রমার ওপর ভিত্তি করে হলেই শাসক ও শাসিতের জন্য সুবিধাজনক বলে আরবি হিজরি সালের সাথে সমন্বয় করে তিনি বাংলা সনের প্রবর্তন করেন বলে মনে করা হয়। তবে এ ব্যাপারে তার পক্ষে শক্ত কোনও যুক্তি তেমন কেউ উপস্থাপন করতে পারেন না।

রাজা শশাঙ্কের সঙ্গে তুমুল বিতর্কে অত্যন্ত শক্ত অবস্থানে রয়েছেন সম্রাট আকবর। তবে বাংলা বর্ষপঞ্জির উন্নয়ন ও তা ছড়িয়ে দেওয়ার পেছনে মোঘল সম্রাট আকবরের অবদানের ব্যাপারে কারও কোনও দ্বিমত নেই। বাংলা অঞ্চলে কর আদায় সহজতর করার লক্ষ্যেই তিনি এ কাজ করেন বলে জানা যায়। সেসময় বাংলা দিনপঞ্জিকে ডাকা হত ‘তারিখ-ই-ইলাহী’ নামে। চন্দ্র বর্ষ হিসাবে পরিচালিত আরবি ক্যালেন্ডার ভারতীয় অঞ্চলে চাষাবাদের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ ছিল না বলেই সম্রাট আকবর এই কাজটি করেছিলেন।

অসময়ে কর প্রদান করতে গিয়ে বেহাল দশায় পড়তে হতো দরিদ্র কৃষককে। কেউ কেউ মনে করেন, সম্রাট আকবরকে দিনপঞ্জি প্রণয়নের এই পরিকল্পনা দিয়েছিলেন তার মন্ত্রী টোডর মল।

সম্রাটের কাছ থেকে বর্ষপঞ্জি প্রণয়নের হুকুম আসামাত্র কাজে লেগে যান রাজসভার আমির ও রাজ জ্যোতিষি সুপরিচিত পণ্ডিত ফাতুল্লাহ সিরাজি।

চন্দ্র বর্ষীয় ইসলামিক ক্যালেন্ডার ও সূর্য বর্ষীয় হিন্দু দিনপঞ্জির মধ্যে সমন্বয় সাধন করে তিনি বাংলা দিনপঞ্জি প্রস্তুত করেন। যদিও ইসলামিক ক্যালেন্ডারের সাথে সমন্বয় করা হয়েছিল, তবে বঙ্গাব্দের মাসগুলোর নাম নেওয়া হয়েছিল সংস্কৃত থেকে।

প্রাথমিকভাবে বাংলা সালের ক্যালেন্ডারের নামকরণ করা হয় ‘ফসলি সন’ হিসেবে। পরবর্তীতে এর নাম হয় ‘বঙ্গাব্দ’। যদিও এই দিনপঞ্জি সম্রাট আকবর প্রবর্তন করেন ১৫৮৪ খ্রিস্টাব্দের ১০ অথবা ১১ মার্চ (হিজরি ৯৯২ সনে)

কিন্তু এর গণনা শুরু করা হয় ১৫৫৬ সাল (হিজরি ৯৬৩ সন) থেকে। এই বছরই পানিপথের যুদ্ধে তিনি সম্রাট হেমচন্দ্র বিক্রমাদিত্যকে পরাজিত করেছিলেন বলে তা স্মরণীয় করে রাখতেই এ কাজ করা হয় বলে মনে করেন কেউ কেউ। হিজরি সালের সাথে সমন্বয় করতে গিয়ে আরবি প্রথম মাস মুহাররম চলাকালে যে মাসটি চলছিল সে বছর, তাকেই বঙ্গাব্দের প্রথম মাস হিসেবে গ্রহণ করা হয়। আর সে হিসাবেই বৈশাখ হয় বাংলা সনের প্রথম মাস আর এই মাসের এক তারিখ হয় বছরের প্রথমদিন।

‘তারিখ-ই-ইলাহী’ দিনপঞ্জিতে প্রতিটা মাসের যেমন আলাদা নাম ছিল, প্রতিটা দিনেরও তেমনি একটা করে নাম ছিল। কিন্তু এত নাম মনে রাখা সাধারণ মানুষের জন্য বেশ ঝামেলাপূর্ণ ছিল।

পরবর্তীতে এই সমস্যা থেকে উত্তরণে তাই সম্রাট শাহজাহান রোববারকে সপ্তাহের প্রথমদিন ধরে সাতদিনে এক সপ্তাহের প্রবর্তন করেন। জানা যায়, তিনি জ্যোতিষশাস্ত্র ঘেঁটে সৌরজগতের গ্রহগুলোর নামে নাম দেন সপ্তাহের দিনগুলোর। এদিকে, সম্রাট আকবরের সময়ে মাসগুলোর যে নাম দেওয়া হয়, তা পরবর্তীতে কোনও একসময় বদলে যায়।

মাসগুলোর নাম ঠিক কবে বদলে যায়, সে বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু জানা যায় না। এই পরিবর্তনের সময় বাংলা মাসগুলোর নাম সংস্কৃত জ্যোতিষশাস্ত্র থেকে নক্ষত্রের নামে নামকরণ করা হয়।

দিনপঞ্জিতে ফাতুল্লাহ সিরাজি বঙ্গাব্দকে ছয়টি কাল বা ঋতুতে ভাগ করেন। এগুলো হলো—গ্রীস্ম, বর্ষা, শরৎ, হেমন্ত, শীত ও বসন্ত। তবে সেসময় প্রবর্তিত ক্যালেন্ডারের সঙ্গে বর্তমান ঋতুরচক্রের বিশেষ ফারাক পরিলক্ষিত হয়। মোঘল সাম্রাজ্যের সময় পুরো রাজ্যজুড়েই এই দিনপঞ্জি প্রয়োগ করা হয়। মোঘল আমলের পতনের সঙ্গে সঙ্গে এর ব্যবহার বন্ধ হয়ে যায়।

বঙ্গাব্দের প্রচলন সম্রাট আকবরই করেছেন—তার পক্ষে অত্যন্ত শক্ত যুক্তি উপস্থাপন করেছেন ভারতবর্ষীয় বিখ্যাত পণ্ডিত ডক্টর মেঘনাদ শাহা। তিনি একটি গাণিতিক হিসাবও করে দেখিয়েছেন নিজের মতামতের পক্ষে।

রাত পোহালেই আমরা ১৪২২ বঙ্গাব্দে পা রাখব। সম্রাট আকবর ১৫৫৬ খ্রিস্টাব্দে অর্থাৎ হিজরি ৯৬৩ সনে বঙ্গাব্দের হিসাব শুরু করেন। বর্তমানে কত বঙ্গাব্দ চলছে, তার হিসাবটা যদি করতে হয়, তাহলে করা যাবে এভাবে, ৯৬৩ + ২০১৫ খ্রিঃ – ১৫৫৬ = ১৪২২ বাংলা সন।

যুক্তি যা-ই থাকুক, এখানে বলে রাখা ভালো, প্রথম প্রবর্তিত দিনপঞ্জিটি এখনও ভারতে অনুসরণ করা হলেও বাংলাদেশে অনুসরণ করা হয় এর পরিমার্জিত ও পরিবর্তিত রূপ। কারণ খুব ধীরে হলেও বছরের ঋতুবৈচিত্র্য তার পূর্বের সময় থেকে সরে গেছে। ফলে ওই দিনপঞ্জিটি প্রায় এখন অচলই বলা চলে।

নতুন করে দিনপঞ্জিটি সময়োপযোগী করতে বাংলা একাডেমির পৃষ্ঠপোষকতায় মুহাম্মদ শহিদুল্লাহর নেতৃত্বে একটি কমিটি কাজ শুরু করে। এই কমিটি ১৯৬৬ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি নতুন পরিমার্জিত দিনপঞ্জিটি উপস্থাপন করে। আর ১৯৮৭ খ্রিস্টাব্দে মুহাম্মদ শহিদুল্লাহর নেতৃত্বে প্রণীত দিনপঞ্জিটি বাংলাদেশ সরকার গ্রহণ করে।

ইংরেজি গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারের মতই এই ক্যালেন্ডারেও বছরে তিনশ’ ৬৫ দিন রাখা হয়। তবে যেহেতু সূর্যের চারপাশে পৃথিবী তার পরিভ্রমণ শেষ করে তিনশ’ ৬৫ দিন ৫ ঘণ্টা, ৪৮ মিনিট ৪৭ সেকেন্ডে, তাই এই বাড়তি সময় সমন্বয় করতে প্রতি ইংরেজি চার বছর (অধিবর্ষে) পরপর ফেব্রুয়ারি মাসের শেষে একদিন অতিরিক্ত যোগ করে নেওয়া হয়।

নতুন করে পরিমার্জনের সময় বঙ্গাব্দের দিনপঞ্জিতেও এ সমস্যা দেখা দেয়। ফলে বাংলা একাডেমি কিছু সিদ্ধান্ত নেয়। সিদ্ধান্তগুলো হলো—বছরের প্রথম পাঁচমাস অর্থাৎ বৈশাখ থেকে ভাদ্র পর্যন্ত প্রতিটা মাস একত্রিশ দিনে হবে, পরবর্তী সাত মাস অর্থাৎ আশ্বিন থেকে চৈত্র পর্যন্ত প্রতিটা মাস ত্রিশ দিনে হবে এবং প্রতি অধিবর্ষে ফাল্গুন মাসে একদিন করে যোগ হবে।

প্রথম দিককার বঙ্গাব্দের ক্যালেন্ডারে অধিবর্ষ হিসাব করা হতো, বছরের সংখ্যা থেকে ৭ বিয়োগ করে সেই বিয়োগফলকে ৩৯ দিয়ে ভাগ করে। যদি ভাগশেষে শূন্য অথবা চার দিয়ে বিভাজ্য কোনও সংখ্যা হতো, তাহলে সেই বছরটি হতো অধিবর্ষ। অধিবর্ষে চৈত্র মাসের সাথে একদিন যোগ করে মাসটিকে একত্রিশ দিনে গণনা করা হতো। এতে প্রতি ঊনচল্লিশ বছরে দশবার করে অধিবর্ষ আসত।

বাংলাদেশে প্রবর্তিত নতুন দিনপঞ্জিতে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি শুরু হওয়া ফাল্গুন মাসে অতিরিক্ত একদিন যোগ করা হয়। এই সমন্বয়ের ফলে যে বছরটি গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারে অধিবর্ষ, বাংলা ক্যালেন্ডারেও তা অধিবর্ষ হিসেবে গণনা করা হয়।

যেমন—২০১২ সাল ছিল ইংরেজি অধিবর্ষ। সে হিসাবে ১৪১৮ সনটিও ছিল বাংলা অধিবর্ষ। এই সমন্বয়ের কারণে এখন আর অধিবর্ষ গণনায় কোনও গাণিতিক হিসাব মেলাতে হয় না।

(রাজিউল হাসান এর তারিখ-ই-ইলাহী এবং আজকের বঙ্গাব্দ থেকে সহযোগীতায় লেখাটি সাজানো হয়েছে )
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হাসান মাহমুদ গর্ত থেকে বের হয়েছে

লিখেছেন শিশির খান ১৪, ০৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:১২


যুক্তরাষ্ট্রের একটি বাংলা টেলিভিশন চ্যানেল হাসান মাহমুদের সাক্ষাৎকার প্রচার করেছে। আমি ভাবতেও পারি নাই উনি এতো তারাতারি গর্ত থেকে বের হয়ে আসবে। এই লোকের কথা শুনলে আমার গায়ের লোম... ...বাকিটুকু পড়ুন

দারিদ্রতা দূরীকরণে যাকাতের তাৎপর্য কতটুকু?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:১৮



দরিদ্র দূরীকরণে যাকাতের কোনো ভূমিকা নেই।
যাকাত দিয়ে দারিদ্রতা দূর করা যায় না। যাকাত বহু বছর আগের সিস্টেম। এই সিস্টেম আজকের আধুনিক যুগে কাজ করবে না। বিশ্ব অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

শেখস্তান.....

লিখেছেন জুল ভার্ন, ০৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:১৫

শেখস্তান.....

বহু বছর পর সম্প্রতি ঢাকা-পিরোজপু সড়ক পথে যাতায়াত করেছিলাম। গোপালগঞ্জ- টুংগীপাড়া এবং সংলগ্ন উপজেলা/ থানা- কোটালিপাড়া, কাশিয়ানী, মকসুদপুর অতিক্রম করার সময় সড়কের দুইপাশে শুধু শেখ পরিবারের নামে বিভিন্ন স্থাপনা দেখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেকালের বিয়ের খাওয়া

লিখেছেন প্রামানিক, ০৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:৪৮


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

১৯৬৮ সালের ঘটনা। বর আমার দূর সম্পর্কের ফুফাতো ভাই। নাম মোঃ মোফাত আলী। তার বিয়েটা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল। বাবা ছিলেন সেই বিয়ের মাতব্বর।... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিএনপি-আওয়ামী লীগের মধ্যে মৈত্রী হতে পারে?

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ০৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০০


২০০১ সাল থেকে ২০০৬ পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াত আওয়ামী লীগের ওপর যে নির্যাতন চালিয়েছে, গত ১৫ বছরে (২০০৯-২০২৪) আওয়ামী লীগ সুদে-আসলে সব উসুল করে নিয়েছে। গত ৫ আগস্ট পতন হয়েছে আওয়ামী... ...বাকিটুকু পড়ুন

×