আজ পেপার পড়ে জানতে পারলাম, ঘটনাটা, একই সাথে চরমভাবে মর্মাহত আবার বলা যায় একটু মজাও পেলাম।
যারা যুদ্ধ না করলে আজ বাপধন একটা স্বাধীন দেশ পেতে কিনা সন্দেহ আজ তাদের দিকেই বন্দুক তাক কর? গুলি ছোঁড়?? পারলে নাতো গুলি করে মেরে ফেলতে... ... মেরে ফেললে এঁদের মত একটা অতিমানব মারা যেত, আর জানোই তো অতিমানবদের সমাজ গ্রহণ করতে পারে নাহ, আর গ্রহণ করলেও তাঁরা ভালো ভাবে, শান্তিতে সমাজে থাকতে পারেন নাহ।
নিউজটা পড়ার পরে মনে হলো মুক্তিযোদ্ধা মনছুর আলীকে একটা পিস্তল ওই নবাব দুলালকে একটা পিস্তল দিয়ে দুইজনকে একটা Combat এর মধ্যে দাঁড়া করিয়ে দেওয়া। নির্ঘাত দুলাল সাহেব(!) মারা যাবেন। এইসব অতি মানবদের পরাজিত করা কঠিন, কোন কোন ক্ষেত্রে অসম্ভব। আর এমন হাজার হাজার অতি মানবের যুদ্ধ জয়-এর কারনেই আজ বাইক হাকাতে পারো তুমি, বাপের পিস্তলে তাদের দিকেই আবার তাক করাও??
ধরে নিচ্ছি ইজিবাইক চালক সাধারণ একজন মানুষ, তার পরেও কি তার দিকে এভাবে গুলি করা মানুষের সাজে?? (মানুষও কি বলা চলে এদের যারা রাস্তায় সাইড না পেয়ে এভাবে গুলি ছোঁড়ে??)
কিছুদিন আগে রাজধানীর ইস্কাটন রোডে এমন একটা ঘটনা ঘটায় আরেক দুলাল সাহেব। এদের শাস্তি দিয়ে মনে হয় লাভ হবে নাহ, এদের শুরু মানে পৃথিবীতে আগমণই তদন্ত করে দেখা দরকার।
আরো একটা কথা মনে হল ঘটনাটা নিয়ে চিন্তা করতে গিয়ে। মুক্তিযোদ্ধারা ৭১ এর যুদ্ধে জয়ী হয়েছেন কিন্তু জীবন যুদ্ধে সবাই জয়ী নন, সবাই সব যুদ্ধে জয়ী হয় না। ঠিক তেমনি অতিমানবের সন্তান সবসময় অতিমানবও হয় না। তাই কোটা কোটা করে ছেলে মেয়ে নাতি পুতিতের দেশের-প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় না রেখে মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে কাজ করাটা ঠিক হবে। কারন তারা মহান তাই তারা সবাই এসে এসে সহায়তা চাইবে এমন না, আমাদেরই তাদের জন্য আগাতে হবে। কয়মাস পর পর নামমাত্র ভাতা দিয়ে তাদের সাথে মসকরা করাটাও থামানো উচিত। আর যদি এমন কোটা কোটা চলতেই থাকে তাহলে একটা সময় দুলাল সাহেবে ভরে যাবে বাংলাদেশ। সেই বাংলাদেশের অপেক্ষা করতে চাই নাহ।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৯