: এই সরাদিন এমন কম্পিউটারের সামনে বসে বসে কী করিস রে?
: কিছু করি নাহ চ্যাট করি,
: কার সাথে,?
: কত পোলাপান আছে, কেন তুমি করবা?
: চুপ শয়তান আমি কী তোর মত আকামা নাকি? সারাদিন যে এমন বসে বসে চ্যাট করস তোর খারাপ লাগে নাহ? এখন কার সাথে চ্যাট করস?
:নাহ খারাপ লাগে নাহ। এখন নাহিদের সাথে চ্যাট করি। আম্মা কী হইছে শুন আজ ওর আফিসে একটা মেয়ে আসছে চাকুরির পরীক্ষা দিতে, গোলাপী বেনারসি শাড়ি পড়ে। হাঃ হাঃ হাঃ
: মেয়ের ইচ্ছা হইছে তাই পরে আসছে, তো কী হইছে?
(কথাটা শুনার পরে তানিয়া মুখ বাঁকা করে আবার মনিটরে চোখ রাখে)
: তো নাহিদকে বলনা তার আফিসে তোকে একটা চাকরি দিতে।
: বলছি। দেখনা সেদিন ও বাসায় এসে আমাকে এপ্লাই করে দিয়া গেছে।
: তো শুধু এপ্লাই করে দিলে হয়?
: আরে এটা কী অর অফিস নাকি যে ও চাইলেই চাকরী দিয়া দিবে আমারে?
: এখন তোর কোন ছেলে বন্ধু নাই?
: থাকবে না কেন? কতইতো আছে।
: কাউকে ভালো লাগে তার মধ্যে?
: হুম লাগেতো সবাইকে ভালো লাগে...
(মায়ের গোপন ইচ্ছা বুঝতে পারে তানি)
: আমি কি সেই ভালো লাগার কথা বলছি নাকি? কাউকে পছন্দ হয়?
: (আনমনে) হুম লাগে কেন এখন কী করবা তারে?
: কেন তোকে বিয়া দিতে হবে না?
: কেন আমার বিয়া নিয়া তোমার এতো কী লাগছে?
: মেয়ে বড় হলে কী বিয়া দেয় না বাপ মা?
: (মা'এর দিকে হঠাৎ ঘুরে) ও তাই নাকি?
: (ভয় পাবার করনে রেগে যান হালকা) যাহ শয়তান, তাই নাকি কিরে আবার? পছন্দের কোন ছেলে থাকলে বল।
: হুম সেরকম পছন্দের ছেলে আছে আমার। তবে তা আমার জন্যে না।
: তাইলে কার জন্যে?
এবার চেয়ার ঘুরিয়ে মায়ের দিকে ফিরে তার দুই হাতে হাত রেখে... ...
: তোমা......র জন্যে......
বলেই হাসতে থাকে জোরে জোরে

বলেই তিথি আক্তার চলে গেলে রুম থেকে... ...
তানিয়া জোরে জোরে হাসতে থাকে... ... তার চোখে পানি চলে আসে...
অতীতের অপরাধ ক্ষমা করে দিয়েছেন বলেই মা আবার এখন তার বিয়ে নিয়ে চিন্তা করে। অথচ এই বিয়ে নিয়ে সে কী কাণ্ডটাই না করেছিলো মোহের বসে। সবাই তখন তাকে কত কথা বলেছিল, আর এই মা'ই তাকে তখন আগলে রেখেছিলো।
: (জোরে চিৎকার দিয়ে) আম্মু লাভ ইউ... ...
(খুব অল্প সময়ে লেখা, বানান ভুল হলে মাফ করেন)