একজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীর শরিরের স্পর্শকাতর অংশে হাত দেবার অভিযোগ খুবই দু:খজনক। এটা শুধু সেই শিক্ষা প্রতিস্ঠানের নয় সারা জাতির জন্য লজ্জার কথা। এখানে মনে রাখতে হবে এধরণের ঘটনায় শুধু সেই শিক্ষক নয় সংশ্লিষ্ট পরিস্থিতিতে সেই ছাত্রী সেই শিক্ষককে বা অন্য পুরুষ শিক্ষার্থীদের প্রলুব্ধ করছিলেন কীনা। অথবা সেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠাণে এরকম কোন পরিস্থিতি বিরাজ করছিল কিনা যাতে মানুষ সভ্যতার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রিপুপরায়ণ হয়ে পড়তে পারে।
দেশের এমন দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠাণের বিরুদ্ধে এই ধরণের বেদাতীর অভিযোগ উঠছে যেখানে ইসলামপন্থীদের প্রবেশ নিশেধ। বিশেস করে জাহাঙ্গীরনগর। আমার শেওড়াপাড়ার এক প্রতিবেশীর ছেলেকে ১৯৯৩ বা ৯৪ সালে সেখানে গুন্ডারা গলাটিপে হত্যা করে বিশ মাইল গেটে ঝুলিয়ে রেখেছিল। ছেলেটি ছোটবেলা থেকেই খুব লক্ষী। পাঞ্জেগানা নামাযী। ভর্তি পরীক্ষা দিতে জাহাঙ্গীরনগরের কোন একটা হলে উঠেছিল। কোন এক দিন জুম্মার পরে হলের কিছু পান্ডা এসে তার বিছানবালিশ ঘেটে মওলানা দেলোয়ার হোসেন সাইয়েদীর ওয়াজ মহফিলের একটি লিফলেট পায়। এরপর শিবির অভিযোগে তাকে সেই বামপন্থী নাস্থিক পান্ডারা গলাটিপে হত্যা করে। সেই ঘটনার সাথে জড়িত বামপন্থীদের অনেকেই শুনেছি আজকে ইহুদিদের দালাল বড় বড় পত্রিকার সাংবাদিক।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় কুড়ি বছর যাবৎ ইসলামী ছাত্র শিবিরের রাজনীতি নিশিদ্ধ। কোন ধরণের ধর্মীয় নৈতিকতার তৎপরতা চালাতে গেলে সেখানে জীবনের ঝুঁকি নিতে হয়। নাস্থিকদের অভয়ারাণ্য এই ক্যাম্পাসে সন্ধ্যা হতে না হতে ঝোপে ঝাড়ে অধ:পতিত ছাত্রছাত্রীদের কলতান শোনা যায়। পরহেযগার পরিবারের সন্তানেরাও এই পরিবেশে এসে প্রবৃত্তির ফাঁদে পড়ে অধ:পাতে যায়। এই সব কিছুর জন্য দায়ী যারা আজকে সেখানে আন্দোলনের ধোঁয়া তুলছেন তারা। এইসব বামপন্থী রাজনীতিক সংস্কৃতি কর্মীরা নিজেরা অসংযত যৌনজীবন যাপন করে অন্যদের প্রলুব্ধ করেন। বাম সংগঠণের ছাত্রীরা অসংযত পোষাকে চলাফেরা করেন।
সেই শিক্ষক যদি দোষী হন তবে তার শাস্তি হোক। কিন্তু বারে বারে এই সব ঘটনা যাদের কারণে ঘটছে সেই সব বামপন্থী নাস্থিকদেরও ঐ ক্যাম্পাস থেকে বিতাড়িত করতে হবে। নইলে এইসব ঘটনা ঘটতেই থাকবে।