somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সাবধান! উড়ে আসছে নস্টালজিক মেঘদল!

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:৩৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



সাবধান! উড়ে আসছে নস্টালজিক মেঘদল! নষ্ট অতীত যাদের পোড়ায় তারা সাবধান! স্মৃতির সমুদ্র উত্তাল, তুমুল এক ঝড় উঠবার আশ্বাস পেয়ে কাপ্তান ছুটে গেছেন দক্ষিন সমুদ্রে, পুরনো সেইসব ঝড়ো হাওয়ার সাথে দেখা মিলতে পারে এক চোখা মাতাল বুড়ো নাবিকটার, ইন্ডিজের সেই পানশালায় আবার হয়তো এক হাত হয়ে যাবে! ভরপেট আগুন খেয়ে সন্ধ্যায় বিচে বসে গাওয়া যাবে চিৎকার করে- ইয়ো হো হো এন্ড আ বটল অফ রাম...আর সেই গান শুনে আশপাশ থেকে নির্ঘাত ভোজবাজীর মত উদয় হবে পুরনো ক্যারিবিয়ান বন্ধু, পাইরেট উইথ আ লায়ন হার্ট, ক্যাপ্টেন দেগা আন সালভেদো, রক্তে স্প্যানিশ আর বেদুঈন রক্তের এক মিশেল আছে ওর মধ্যে! পুরনো বন্ধু তো বটেই, কাপ্তানের রক্ত আকাশে ছিটাতে পারলে গোধুলীর মত এক নিমেষে শূন্যতায় মিলিয়ে যেতে ওর বিন্দুমাত্র আপত্তি নেই, থাকবেই বা কেন? যৌবনে যে তাহিতির ফুল তার রক্তে তুফান তুলেছিল, সেই ফুল যখন কাপ্তানের কাঠের চন্দন হৃদয়ের সৌরভে চুর হয়ে গেল, একজন ক্যারিবিয়ান জলদস্যুর জন্য সেইটা মেনে নেওয়া কীভাবে সম্ভব? হয় প্রেম, না হয় রক্ত- এ ছাড়া আবার কথা আছে নাকি কোনো! কিন্তু কাপ্তানকে সে তখনও চিনে উঠতে পারে নি, যেমনটা চিনতে পারে নি সেই হিস্পানি জাদুকরও, ভেবেছিল আস্ত একটা দ্বীপপুঞ্জ দিলেই বোধহয় কাপ্তান তার বাজপাখির চোখদুটো খুলে দেবে! ক্রোধে ঈর্ষায় পাগল হয়ে সালভেদো নিজের রক্ত ছুঁয়ে শপথ করেছিল,- কাপ্তানকে সে দেখে নেবে! সমুদ্রে তার থেকে দ্রুতগামী জাহাজ আর কোনোটা নয়, ধরেও প্রায় ফেলেছিল, শুধু যদি ঝড়টা না আসত! জুয়ারী কাপ্তান, নাক ঢুকিয়ে বসল সেই হারিকেন তান্ডবে, তার পিছু পিছু গিয়ে আবার ফিরে আসতে হল সালভেদোকে, সাথের কোনো নাবিক রাজি নয় পাগলা কাপ্তানের সাথে একটা ঝড়ের মধ্যে ঢুকতে! যাই হোক, সে অনেক দীর্ঘ কাহিনী, ঝড় দেখলেই সেদিকে নাক ঘুরানো কাপ্তানের পুরনো অভ্যেস, এখন যেমন সে জাহাজ হাঁকিয়েছে দক্ষিন সমুদ্রে, ওখান থেকে জানাচ্ছে,- সাবধান, স্মৃতির সমুদ্র উত্তাল, উড়ে আসছে নস্টালজিক মেঘদল! সাবধান! সাবধান!

ইয়ে, অনেক দীর্ঘ ভূমিকা হয়ে গেল! কিন্তু কাপ্তানকে নিয়ে লিখতে গেলেই এতো গল্প চলে আসে!

সুপ্রিয় বন্ধুরা, আপনাদেরকে অত্যন্ত আনন্দের একটি সংবাদ জানাতে চাই, সেটি হচ্ছে আমার প্রথম আত্মপ্রকাশ,কবিতার বই ‘নস্টালজিক মেঘদল’ প্রকাশিত হতে যাচ্ছে ২০১৪ বইমেলায়, শ্রাবণ প্রকাশনী হতে! বইটির অসাধারণ একখানা প্রচ্ছদ করেছেন ব্লগার কাল্পনিক_ভালোবাসা , বইয়ের দুর্দান্ত একটা নাম খুঁজে দিয়েছেন ব্লগার অপর্ণা মম্ময় , কবিতার প্রাথমিক যাচাই বাছাইয়ে সাহায্য করেছেন ব্লগার স্বপ্নবাজ অভি , আর সমস্ত কবিতার শব্দ ভাষার আইনগত ত্রুটি বিচ্যুতি দেখে দিয়েছেন ব্লগার জুলিয়ান সিদ্দিকী ও বন্ধু সজীব, ও কবিতাগুলো লিখেছেন ব্লগার ৎঁৎঁৎঁ, কবিতাগুলো একমাত্র এই ব্লগেই লেখা হয়েছে! আমার প্রথম বই, আমার প্রথম সন্তান! গতকাল রাতেই ফাইনাল প্রুফ দেখা শেষ হয়েছে, এই পোস্ট গত রাতে লেখা শুরু করেও আর জেগে থাকতে না পেরে ঘুমিয়ে গিয়েছিলাম- গত কিছু রাত নির্ঘূম কাব্য যুদ্ধের ফল! যাই হোক, অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে প্রস্তুতি পর্ব শেষ হয়েছে, এখন শুধু অপেক্ষা, আশা করি ফেব্রুয়ারি ১৬-১৭ তারিখের মধ্যে নস্টালজিক মেঘদল পৌঁছে যাবে বইমেলার আকাশে! বইতে মোট কবিতা আছে ৫২ খানা, পৃষ্ঠা সংখ্যা ৬৪, দাম লেখা থাকবে ১০০ টাকা, কিন্তু ১০০ টাকা দিলে আপনাকে ২৫ টাকা ফেরত দেওয়া হবে! মাত্র ৭৫ টাকা খরচ করেই আপনার ব্যাগে ঢুকে পরবে ৫২ ডানার মেঘদল!
দুই বছর আগে আমি কবিতা লেখার কথাই ভাবিনি, সেখানে এই বইমেলায় কবিতার বই! কত আজব ঘটনাই যে ঘটে দুনিয়ায়! শেষ মুহুর্ত আসার আগে কখনও কোনো কাজে হাত দিতে পারিনি, সারাবছর ক্লাস ফাঁকি দিয়ে না পড়ে ঘুরতাম আর পরীক্ষার আগের কয়েকদিন জান বাঁচাতে নির্ঘুম যুদ্ধ, কবিতার বইয়ের ক্ষেত্রেও সেই একই ঘটনা! বেশ কিছুদিন ধরে বাসনা ছিল কবিতাগুলোকে বইতে জায়গা দেওয়ার। কবিতাগুলোই পীড়াপীড়ি করছিল একটা স্থায়ী আবাসনের জন্য। যতক্ষন পর্যন্ত না একটা কবিতা গ্রন্থবন্দী, ততক্ষন পর্যন্ত সে উদ্বাস্তু শরনার্থী। একটা বইতে যতক্ষন স্থান না পাচ্ছে, ততক্ষন পর্যন্ত যেন সেই কবিতার প্রাণ প্রতিষ্ঠা হয় না।
তো জানুয়ারির শুরুতেই মাঠে নামলাম, মিশন কবিতার জন্য একটা নিজের বাড়ী। আমার নাপিত বুদ্ধিতে বই ছাপানো খুবই সহজ একটা ব্যাপার, কবিতা তো সব ব্লগেই আছে, একেবারে কম্পোজ রেডী, ছাপাখানায় বই বানাও, মেলায় গিয়ে ফেল, হয়ে গেল কেল্লা ফতে! এ আর এমন কী! টাকা জোগাড় যন্তর? ও আর কত লাগবে, টাকার জন্য কোনো কাজ আবার আটকে থাকে? জীবনের কত অকাজের টাকা ভুতে জোগাড় করে দিল, এর জন্য আবার আগে থেকে জমানোর কী আছে, ভুতেই জোগাড় করে দেবে! নিয়তি দেবী আড়াল থেকে মুচুকি হেসে বলেছিলেন বোধহয়- রোস বৎস, তোমার নাপিতানি আমি বের করছি, কত ধানে কত চাল বুঝবা গুনে গুনে!
প্রথমে ভাবলাম প্রকাশনী ঝামেলার, যশোরেই পরিচিত প্রেস আছে, এখান থেকে ছাপায়ে নিয়ে চলে যাব, জানতে পারলাম বইমেলায় ঢোকার জন্য প্রকাশনী হচ্ছে টিকিট, আর আমি তো আর ঘাড়ে করে করে বই নিয়ে ঘুরে সবার কাছে পৌঁছুতে পারবো না, তো খোঁজ প্রকাশক। এখানেও সেই পুরনো গল্প, ভুল মানুষের ভুল আশ্বাসে অপেক্ষার ভুল প্রহর! জানুয়ারীর ২৩ তারিখ, আমার হাতে এখনও কোনো প্রকাশক নেই, সবাই খুব ব্যস্ত, আর এর মধ্যে বইয়ের জন্য ম্যানেজ করা টাকাও খরচ করে ফেলেছি যথারীতি! ১২০ টা কবিতা নিয়ে ২৪ তারিখ চলে আসলাম ঢাকায়, বুঝতে পারছিলাম যশোরে বসে থাকলে এইবার বইয়ের আশা বাদ দিতে হবে! ঢাকায় এসে খোঁজ- দ্য সার্চ! প্রকাশক খুঁজে বের করা, কাভা সহ ছবির হাটে ২৪ জানুয়ারী বিকালে জরুরী মিটিং, ফলাফল যুক্তি মানলে ফিরতি বাসে যশোর ফিরে যাওয়া উচিত, আমার পান্ডুলিপি কিছুই রেডি না, এই শেষ সময়ে কাজটা করতে গেলে লেজেগোবরে হওয়ার চান্স তীব্র!
হাল ছেড়ে দেওয়ার কথা ভাবতেই কাপ্তান এমন এক ব্যাঙ্গ আর তাচ্ছিল্যের হাসি দিল, মাথাটা আগুন হয়ে গেল, ২০১৪ তেই হতে হবে, হয় এসপার না হয় অসপার, যা হওয়ার এবারই! খুঁজতে খুঁজতে নির্মাতা বন্ধু শাহাদত হোসেন রনির সহযোগিতায় পেয়ে গেলাম রবীন ভাইকে, শ্রাবণ প্রকাশনীতে গিয়ে অত শেষ সময়, অগোছাল পান্ডুলিপি এতো কাহিনী কিছুই শুনতে হল না, পাঁচমিনিটে ক্যাল্কুলেটর চেপে জানিয়ে দিলেন এই এই হিসাব, এই হলে অমুক তারিখে আপনি বই পাবেন, কথা শেষ! বেশ বেশ!
২৫ তারিখ গেলাম নারায়নগঞ্জ, অপর্ণা মম্ময় অফিস ছুটি নিয়ে একটা রেস্তরায় বসে বেশ কিছু কবিতার উকুন মেরে দিলেন, বইয়ের নাম বেছে দিলেন, ভরপেট খাইয়ে আবার বাসে তুলে দিলেন! পান্ডুলিপি পাঠানো হল জুলিয়ান সিদ্দিকীর কাছে, ওনার হইতেসে শকুনের চোখ, যেখানেই ভাষার বিচ্যুতি, উনি উড়তে উড়তে সেই শব্দের কাছে হাজির হন, মেশিনের গতিতে উনি আমার বানান ভুল সর্বস্ব পান্ডুলিপি ঠিক করে দিলেন। কাভা নিল প্রচ্ছদের ভার, সে ত্বরিত তিন খানা মারদাঙ্গা প্রচ্ছদ করে ফেললো। আমার নড়বড়ে ল্যাপটপ হাতে চলে আসছে ততক্ষনে, নিজের যন্ত্র ছাড়া পান্ডুলিপি নিয়ে কাজ করা অসম্ভব একটা ব্যাপার। ২৭ তারিখ যশোর ফিরে আমার কাজ শুরু হল কবিতা নিয়ে শেষ ঘষামাজা। এরই মধ্যে বুঝতে পারছি ১২০ টা কবিতা নিয়ে ঢাউস একটা বই মানানোর মানে হয় না, কবিতা বাছাই করে কমাতে হবে। স্বপ্নবাজ অভি, বন্ধু রাজন, আরও কয়েক অকাব্যিক বন্ধু নিয়ে বাছাই করে ফেললাম ৬৫, এদের নিয়ে শেষ বাছাই। এবার শুরু হল মজা, আমার পুরনো প্রথম দিকের অনেক প্রিয় কবিতাই আমার চোখে লাগছে অনেক জায়গায়, অনেক জায়গার ছন্দ কানে লাগছে, শব্দ পছন্দ হচ্ছে না,বিন্যাস আরামদায়ক হয় না, আধিক্য আর বাহুল্যে ভরপুর। মাথা নষ্ট, সবার সব কিছু রেডি, আর আমার কবিতার সাজগোজ শেষ হয় না! তিন রাত জেগে ৫০ টা কবিতা চুড়ান্ত সাইজ দিলাম, প্রতিদিনই আমার চূড়ান্ত পান্ডুলিপির নানা ভার্শন হতে লাগলো, কাভা রাগে উত্তেজনায় শেষমেশ জ্বর বাঁধিয়ে ফেললো, কাভা দোস্তের অবগতির জন্য এইবেলা জানিয়ে রাখি যে কাল শেষ দিনেও আমি দুইখানা আস্ত কবিতা যোগ করেছি, ফাইনাল ট্রেসিঙের পাঁচ মিনিট আগে পাঁচখানা শব্দ চেঞ্জ করেছি, আরও কয়েকটা মনে হয়েছিল- কিন্তু আর বলার সাহস পাই নাই, সজীব ও রবিন ভাই দুইজনেই দৌড়ানি দিত!
শেষ খেলা হল ফন্ট বিভ্রাট, আমি লিখেছি সোলাইমান লিপি, ওটাকে বিজয়ে নেওয়ার পর সব ছেড়াবেড়া হয়ে গেল, মাথায় হাত! আবার সেই বেড়াছাড়া পান্ডুলিপি পাঠানো হল জুলিয়ানদা কে, আমি বিজয় শিখে আবার রাত জেগে সব ঠিক করলাম, প্রকাশকের পিসিতে দিলে আবার সেই ভাংচুর! আমি যশোরে বসে তার পিসিতে কীভাবে ঠিক করবো! শেষ সময়ে জরুরী ত্রাতার ভূমিকায় এগিয়ে আসল হলজীবনের সহযোদ্ধা সজীব, শেষ দেখা দেখে সে কাল রাতে জানালো খেলা ফাইনাল! আর আমি ঘুম!

বন্ধুরা, এই হল আমার প্রথম বইয়ের গল্প! এটাই একমাত্র শেষ হবে কিনা সেইটা সময় বলে দেবে, আরও অনেক কথা মনের মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে, কিন্তু অতি আবেগ সব সময় ভাষায় প্রকাশ করা যায় না, তাই আমি ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না যে কীভাবে আমি প্রকাশ করবো যে তোমরা ছিলে বলেই আজ আমি কবিতার স্বপ্ন দেখি, সাহস ও আত্মবিশ্বাসের সাথে হাবিজাবি লিখি, শুধু তোমরা পড়েছ বলেই আমি লিখে গেছি, আমার কবিতায় বাংলা সাহিত্যে কী যোগ বিয়োগ করবে সেইটা নিতান্তই বাহুল্য বিষয় মাত্র! সাহিত্য করার দুঃসাহস নিয়ে আমি লিখিনি, আমি লিখলে তোমরা পড়, শুধুমাত্র এই কারনেই লিখে গেছি!

*** শেষ কথা-
ব্লগিং করে কী হয়?
- অনেক কিছুই হয়!
যেমন?
- যেমন আমার মত মহা মফিজ কবিতা লিখতে থাকে এবং সেইটা বই ছাপিয়ে ফেলার সাহস করে!
হ্যাপি ব্লগিং!


নস্টালজিক মেঘদল


নষ্ট অতীতের জ্বালা বয়ে আনা,
নস্টালজিক কালো কাজল মেঘদল আমার,
তোমাদেরকেই নৈবেদ্য দেব বলে-
সর্বনাশের ডানা মেলে প্রতীক্ষায় আছি বহুকাল!
খেয়ালী এক তিলক কামোদে পুষ্যি দেওয়া,
বেহিসেবী বিস্তার আর ছন্নছাড়া হাহাকার সব-
বৈশাখের ঘনঘোর ঘনঘটায় মেঘ মেঘ রবে
নড়েচড়ে উঠে ঝালাই করে নিচ্ছে শেষদৃশ্যের ঝড়!
আধপোড়া এক দিয়াশলাই কাঠির কাছ থেকে,
চুপিসারে ধার নিয়েছিলাম কিছু জ্যোতির্ময় সন্তাপ!
নষ্ট অতীতের সাথে মোকাবেলা হবে শুনে,
অন্ধ এক তীরন্দাজ ডেকে বলল, ‘মনে রেখ,
জলপরীদের কিন্তু কখনও ডানা ছিল না,
তাই প্রজাপতির গল্পে বিভ্রান্ত হয়ো না শেষবেলায়!’
আসন্ন প্রলয় সঙ্কেতে - শিউড়ে উঠল এক দলছুট দাঁড়কাক,
মুষ্টিতে অশ্রু পোড়া ছাই, এবার আমার ফিরবার তাড়া নেই!
পিছুটান? - সে যে তাপগতিবিদ্যার দ্বিতীয় নিয়মে ,
চুরচুর চুরমার হয়ে গেছে বিশৃঙ্খল বিন্যাসে!
ভালোবাসা? - সে তো এক রুদ্র কবি নীল খামে ভরে,
আকাশের ঠিকানায় পাঠিয়ে দিয়েছে সেই কবেই!
স্বপ্নেরা? - জবর ফন্দি এঁটেছি বটে, একগুচ্ছ অন্ধকারে-
একদম শীতনিদ্রায় পাঠিয়ে দিয়েছি চুপচাপ!
বাসনা? - সে তো আমারও ছিল একরাশ! ধবধবে সাদা,
ঠিক শিউলি ফুলগুলোর মত, বোঁটা জুড়ে বাসন্তী পাড়!
ভয়? - সে আমি খুব পাই বটে, এই ছায়াশূন্য অশরীরী পচন,
আর তার গন্ধে পিছু নেওয়া অনুতাপের শ্বাপদ সন্ত্রাস!
এবার আর ভুল হবে না, কপালে জ্যোতিশ্চক্র আঁকিনি!
এসো হে আমার নষ্ট অতীত, পূজারী প্রস্তুত, লগ্ন বয়ে যায়-
হে সুন্দর অমল ভ্রান্তিরা আমার, এসো মিলন অক্ষয় হোক!




সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ২:৩৫
৩৭৫ বার পঠিত
৩৬টি মন্তব্য ৩৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ভারতীয় পতাকার অবমাননা

লিখেছেন সরলপাঠ, ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৪ ভোর ৪:৪৩

বাংলাদেশের ২/১টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভারতীয় পতাকার অবমাননা আমার কাছে ছেলেমী মনে হয়েছে। ২০১৪ সাল থেকে ভারত বাংলাদেশের রাজনীতিতে সরাসরি হস্তক্ষেপ করার কারণে বাংলাদেশের মানুষের মনে প্রচন্ড রকমের ভারত বিদ্বেষ তৈরি হয়েছে।

কিন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভিসা বন্ধ করায় ভারতকে ধন্যবাদ।

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৩



ভারত ইদানীং ভিসা দিচ্ছেনা; তারা ভিসা না দিয়ে আমাদেরকে শিক্ষা দিতে চায়! তাদের করদ রাজ্য হাতছাড় হওয়া খুবই নাখোশ, এতোই নাখোশ যে মোদী মিডিয়া দিনরাত বয়ান দিচ্ছে এই দেশে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতের চিকিৎসা বয়কট এবং

লিখেছেন পবন সরকার, ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:৫৬


ভারতের এক হাসপাতাল ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশের কোন রুগিকে তারা চিকিৎসা দিবে না। কিন্তু মজার ব্যাপার হলো যে হাসপাতাল থেকে এই ঘোষণা দেয়া হয়েছে সেই হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়ার জন্য বাংলাদেশের... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। চামচা পুঁজিবাদ থেকে চোরতন্ত্রে পরিণত হয়েছিল দেশ

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:১৩






চামচা পুঁজিবাদ থেকে দেশ চোরতন্ত্রে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন অর্থনৈতিক শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রধান ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, আমলা, রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীরা মিলে চোরতন্ত্র করেছে।

সোমবার... ...বাকিটুকু পড়ুন

শেখ হাসিনাকে ভারত ফেরত পাঠাবে তবে............

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:৪২


শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে বিচারের জন্য ভারতের কাছে ফেরত চাইতে হলে অবশ্যই বাংলাদেশকে প্রতিহিংসামূলক বিচারপদ্ধতি বাদ দিতে হবে। বিচারে শেখ হাসিনা যাতে ন্যায় বিচার পান বাংলাদেশকে আগে তা নিশ্চয়তা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×