তুর্কী প্রধানমন্ত্রী আহমেদ দেভুতঘ্লু শুক্রুবার দোহায় বলেন তুরুস্ক ইসরাইলের সাথে একটি সমন্নিত চুক্তি করতে চাই গাজায় পানি ও বিদ্যুত সমস্যা সমধানের জন্য। হারতেজ রিপোর্টে বলা হয় , এটা দু দেশের দীর্ঘ দিনের বৈরিতা অবসানের একটি প্রাথমিক পদক্ষেপ হতে পারে, বলেন দেভুতঘ্লু।
তিনি আরো বলেন , আল্লাহর ইচ্ছায় এটার সমধান হবে , যখন কিছুই হচ্ছে না , ছোট কিছু ছাড়া। দেভুতঘ্লু , হামাসের রাজনৈতিক নেতা খালেদ মেশালের সাথেও সাক্ষাত করেন। যদিও ইস্তাম্বুলে হামাসের সামরিক সদর দপ্তর বন্ধের বিষয়ে এখনো দুদেশের মতানৈক্য বিদ্যমান।
জেরুজালেমে একজন উর্দ্ধতন কর্মকর্তা জানান , আগামী মধ্য মে তে দু পক্ষই পরবর্তী সংলাপে বসতে প্রস্তুত। গাজার বিদ্যুত সংকট সমধানে উপকূলবর্তী একটি ভাসমান বিদ্যুত কেন্দ্র বসাতে তুরুস্কের এই প্রস্তাব পুরনো আলোচ্য সুচী , ইসরাইল তুরুস্কের সাথে গাজার জন্য বিকল্প মানবিক পরিকল্পনা নিয়ে আগাতে চাই।
ইসরাইল ও তুরুস্ক চাচ্ছে সম্পর্কে পুনঃস্থাপনে , যেটা ২০১০ সালের মারমারা ঘটনার পর তলানিতে নামে , যখন গাজা উপকূলে ইসরাইলী কমান্ডো হামলায় ফ্লোটিলা নামক জাহাজে ৯ জন তুর্কী নাগরিক নিহত হয়। সম্পর্ক উন্নয়নের ধারা ধীর ও থেমে থেমে ছিল। তখনই দুর্লভ সুযোগটি আসে খোলামেলা কূটনীতির জন্য যখন ২০১৩ সালে সন্ত্রাসী হামলায় ইস্তাম্বুলে ৩ জন ইসরাইলী নিহিত হয়। সে সময় দুদেশের কর্মকর্তারা অনুস্তানিক আলোচনায় মিলিত হয়। এরদোগান ও রিভেন রিব্লিনের মধ্যে কয়েক মিনিটের সরাসরি আলোচনায় শুধু সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে আলোচনা হয়নি , সমস্যা নিয়ে আলোচনার ব্যাপারেও কথা হয়।
ঐ দিনের ফোনালাপের ব্যাপারে নেতনিয়াহু বলেন , ইসরাইল সবসময় তুর্কীর সাথে সঠিক সম্পর্কই চাই। অনুবাদ i24news
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা মে, ২০১৬ দুপুর ২:১৭