নামঃ শাপলা, ইংরেজীতেঃ Water lily,
জ্ঞানী-গুণীরা বলেনঃ Nymphaea nouchali
এই ছবিটা তোলা হয়েছিল বাগেরহাটের ষাট গম্বুজ মসজিদ সংলগ্ন দিঘী থেকে
(এই ফুলটা শাপলা না পদ্ম, এটা নিয়ে কিছুটা সংশয় আছে। কেউ জেনে থাকলে কষ্ট করে জানিয়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি)
(একটু আগে একজন সংশয় দূর করে দিয়েছেন... এটা পদ্ম)
এই দুইটা ছবি তুলছিলাম, শ্রীমঙ্গলের মাধবপুর লেক থেকে
বাংলাদেশের জাতীয় ফুল, সাদা শাপলার দেখা খুব কমই পেয়েছিলাম। যখন দেখেছি তখন ক্যামেরাও ছিল না। এই কারনে এই ফুলটার কোন ছবি তুলতে পারি নাই।
কোন জায়গায় পাওয়া যায় না, তবু কেন যে এটারে জাতীয় ফুল কয় কে জানে...
এই ছবিটা ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহ করা (শিল্পীর তুলিতে আঁকা)
এই ফুলটা নিয়ে একটা উপকথা প্রচলিত আছে। সংক্ষেপে কিছুটা বলার চেষ্টা করি...
অনেক দিন আগে ব্রাজিলিয়ান আদিবাসীদের এক ভারতীয় বালিকা তার বাবার কাছে শুনেছিল আকাশের চাঁদের মধ্যে একজন সুদর্শন ও মহা ক্ষমতাবান যোদ্ধা সম্রাট বাস করে। সেটা ছিল একটা গল্প মাত্র। কিন্তু মেয়েটা সেটা সত্যি বলে বিশ্বাস করে ফেলে।
আস্তে আস্তে মেয়েটা বড় হতে থাকে কিন্তু তার বিশ্বাসটা দূর হয় না। তার বিয়ের বয়স হলে বাবা-মা প্রতিবেশীরা তাকে অনেক ছেলে দেখায়। কিন্তু মেয়েটার কোন ছেলেকেই পছন্দ হয় না। তার মনে হতে থাকে একদিন চাঁদের সেই সুদর্শন যোদ্ধা সম্রাট তার কাছে আসবে, তখন সে তাকেই বিয়ে করবে। সবাই তাকে বোঝায় যে এটা একটা গল্প, চাঁদে সত্যি সত্যি কোন যুবক নেই। কিন্তু সবার কথা তার বিশ্বাস হয় না। সে প্রতি রাতে চাঁদটাকে পুরোপুরি দেখার জন্য দৌড়ে জঙ্গলের ভিতরে চলে যায়। যখন চাঁদের কিরণ তার শরীরের উপর পড়ে, সে পুলকিত হয়ে উঠে। তার কাছে মনে হয় সেই যোদ্ধা বুঝি তার সাথে আলিঙ্গন করছে।
এভাবে দিন অতিবাহিত হতে থাকে। একদিন সে পণ করে আজকে যে করেই হোক ওই যোদ্ধার কাছে সে চলে যাবে। একসময় রাত হলে পরিষ্কার আকাশে সুন্দর, পূর্ণ রূপে চাঁদের আবির্ভাব ঘটে। মেয়েটা তখন এক ছুটে জঙ্গলের ভিতরে একটা কাচের মত স্বচ্ছ জলের পুকুরের কাছে চলে যায়। চাঁদের একটা সুন্দর প্রতিবিম্ব পানিতে তৈরী হয়ে যায়। সেটা থেকে সুন্দর আলো চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। মেয়েটার মনে হতে থাকে তার স্বপ্নের যোদ্ধা তাকে নেওয়ার জন্য আকাশ ছেড়ে পানিতে নেমে এসেছে। এই কথা ভেবে সে আস্তে করে পানিতে নেমে যায়। একসময় সে পুরোপুরি পানিতে ডুবে যায়। কিন্তু কোন যোদ্ধা তাকে নেওয়ার জন্য এগিয়ে আসে না। এই গল্পটা এখানেই শেষ হতে পারত কিন্তু চাঁদের সেই কাল্পনিক যোদ্ধা সেটি শেষ হতে দেয় না। সে বুঝতে পারে মেয়েটা তাকে সত্যি সত্যি অনেক ভালবেসে ফেলেছে। কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে যায়, তার কাছে মানুষকে জীবিত করার কোন ক্ষমতা নেই। তখন সে অনেক ভেবেচিন্তে মেয়েটার মৃত দেহকে তারাতে রুপান্তরিত করে ফেলে এবং সেই তারাকে পুকুরের পানিতে ভাসিয়ে রাখে। এই তারাটাই পরে শাপলা/পদ্ম ফুলে পরিনত হয়ে পুকুরে ভাসতে থাকে। মানুষের ধারনা মেয়েটা এখনো ওই কাল্পনিক যোদ্ধা সম্রাটকে ভালবাসে বলে তাকে কাছে পাওয়ার জন্য মাঝরাতে যখন চাঁদটা পূর্ণ রূপে আবির্ভূত হয় তখন তার পাপড়ি গুলোকে সর্বোচ্চ পরিমানে মেলে ধরার চেষ্টা করে। যার ফলে মাঝরাতের দিকে শাপলা ফুলকে অনেক বড় দেখায়...
(গল্পটা ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। আসল গল্পে পুকুরের জায়গায় আমাজান নদী ব্যবহৃত হয়েছিল)
নামঃ কাঠগোলাপ
কষ্ট করে ক্লিক করে দেখে নিতে পারেন।
এই ফুলটা আমার খুব প্রিয় ফুল। এখানে তিন ধরনের কাঠগোলাপ আছে। প্রথম দুইটা আমার হলের বাগান থেকে তোলা, আর পরেরটা বোটানিক্যাল গার্ডেন থেকে তোলা হয়েছিল।
এবারে কিছু জঙ্গলী ফুল...
নাম জানি না, সব ধরনের ঝোপেই দেখা যায়। শ্রীমঙ্গলের কোন এক জঙ্গলা ঝোপ থেকে তোলা।
এটারও নাম জানি না। তেতুলিয়ার একটা প্রাচীন মন্দিরের গায়ে জড়ানো ছিল, ওইখান থেকে তোলা।
যথারীতি নাম জানি না। ময়মনসিংহ শহরের জয়নুল আবেদীন সংগ্রহশালার বাগান থেকে তোলা।
এটা একটা ক্যাকটাস গাছের ফুল। এক বন্ধুর বাসার টব থেকে তোলা।
এটারও নাম জানি না। টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠ থেকে তুলেছিলাম। এটাও সব ধরনের ঝোপে দেখা যায়।
পিঁয়াজ ফুল। ময়মনসিংহ শহরের জয়নুল আবেদীন সংগ্রহশালার বাগান থেকে তোলা।
এই দুইটা খুব কমন টাইপের ফুলের ছবি। এই মুহুর্তে নামটা মনে পড়তেছে না। (অবশেষে নামটা পেয়ে গেলাম, বাগান বিলাস। ব্লগার ত্রিনিত্রি কে অনেক ধন্যবাদ দুইটা নাম সঠিক করে দেওয়ার জন্য।) কেউ জেনে থাকলে জানিয়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি। দুইটা ছবিই বোটানিক্যাল গার্ডেন থেকে তোলা।
নামঃ কৃষ্ণচূড়া, ইংরেজীতেঃ Peacock flower
জ্ঞানী-গুণীরা বলেনঃ Caesalpinia pulcherrima
প্রথম দুইটা বোটানিক্যাল গার্ডেন থেকে, বাকিটা আমার হলের ছাদ থেকে তোলা। এই ফুলটাও আমার খুব প্রিয়। কৃষ্ণচূড়া গাছের তলে প্রেম নিয়ে সবার পরিচিত কিশোর কুমারের একটা গান আছে।
সবার শেষে একটা মৌচাকের ছবি। গতদিন হলের বাগানে ঢুকার সময় খেয়াল করলাম।
আরও অনেক ছবি দেওয়ার ইচ্ছা ছিল। কিন্তু পোস্টটা এমনিতেই অনেক বড় হয়ে গেছে। অন্য কোনদিন এটারই সিক্যুয়েল হিসেবে আরেকটা পোস্ট দিয়ে দিব
সবাই ভাল থাকবেন...
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে এপ্রিল, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:২০