নিচের ভিডিওতে আহম্মকটার কান্ড দেখেন। চলন্ত ট্রেনের সাথে কেউ এইরকম এক্সপেরিমেন্ট করে? একটু তালবেতাল হলে ওর নাড়িভুড়িও খুঁজে পাওয়া যেত না। আহাম্মকটাকে ট্রেনের নিচে শুইয়ে দিয়ে সাথের আহাম্মকেরা দোয়া ইউনুস পড়তেছে। চলন্ত ট্রেনের নিচ থেকে বেরিয়ে আসার পর সাথেরগুলো হার্টফেল করার অবস্থা দেখালেও আহাম্মকটা নিজেকে পালোয়ান ভাবতেছে। একে ধরে গালে গালে থাপড়ানো দরকার। এটাকে সবাই নিরুৎসাহিত করুন এই এক্সপেরিমেন্ট যেন কেউ না করে।
তরুণদের মৃত্যু নিয়ে খেলা করার পিছনে দায়ী সেলফী। মোবাইলের সেলফীতে অস্বাভাবিক কিছু ভিডিও বা ছবি ধারন করে ইউটিউব বা ফেসবুকে দেয়ার জন্য অতি উৎসাহী তরুণরা মৃত্যু ডেকে আনতেও দ্বিধাবোধ করে না। অথচ তারা এটুকু ভেবে দেখে না সামান্য ত্রুটি হলেই মৃত্যু অবধারিত এবং অনেকে মারাও যাচ্ছেন।
এই তো কিছুদিন আগে এই ব্লগেই কারো পোষ্টে পড়লাম। গুলিভরা পিস্তল মাথায় ঠেকিয়ে সেলফি তুলতে গিয়ে সেলফির সুইচে টিপ দেয়ার সাথে সাথে পিস্তুলের ট্রিগারেও টিপ পরে যায়। বাস আর যায় কোথায়--- সেলফি তোলার সাথে সাথে নিজের খুলিটাও উড়ে যায়। এই ঘটনার পর সেই দেশের সরকার নাকি সেলফি তোলা নিষিদ্ধ ঘোষনা করেছে।
ভিডিওর এই দৃশ্য দেখে মনে হচ্ছে বড় কোন দুর্ঘটনা ঘটার আগে বাংলাদেশেও জীবনবাজি রেখে মৃত্যুময় সেলফি তোলা নিষিদ্ধ করা দরকার।
নিচের ভিডিওটি ওপেন করলেই আপনার গা শিউরে উঠবে।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই মে, ২০১৬ দুপুর ১২:১৫