* মন্ত্রনালয়ে প্রেরন করা বন অধিদপ্তরের সুপারিশকৃত কপিটি অষ্পষ্ট থাকায় জুম করে দেখতে হবে।
তওফিক ই ইলাহী তার সরকারী প্রেসনোটে বলেছেন, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করা হলে ওই এলাকার অর্থনৈতিক অবস্থার আমূল উন্নতি হবে। ফলে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর সুন্দরবনের প্রাকৃতিক সম্পদের ওপর নির্ভরশীলতা কমবে। সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য রক্ষা পাবে। দেশের প্রথম ‘স্টেট-অব-দ্য-আর্ট’ প্রযুক্তিসমৃদ্ধ বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বাস্তবায়নের জন্য দেশপ্রেমিক নাগরিকদের সহযোগিতা চান।
সত্যিই হাস্যকর কথা । কয়লাভিত্তিক বিদ্্যতকেন্দ্র স্থাপিত হলে 'সুন্দরবনের জীববৈচিত্র রক্ষা পাবে' একথা কোন পাগলেও বিশ্বাস করবে না।
তিনি আরো বলেছেন, উন্নতমানের আমদানিনির্ভর কয়লা ব্যবহার হবে রামপাল কেন্দ্রে একারনে নাকি কার্বন, সালফার ও অন্যান্য বায়ুদূষণের উপাদান খুব কম থাকবে।
ফলে পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়বে না।
এ কথার মাজেজা আমি ব্যাখা করবো না , বরং সবার উপরই ছেড়ে দিলাম।
তিনি আবার বলেছেন, প্রকল্পটি নাকি নিরাপদ দূরত্বে অবস্থিত।
নিচের ছবিটি ক্লিয়ার আইডিয়া দেবে এটি আসলেই কত্তো (!!!)দূরে
তবে, নিচের ছবিতে দেখানো আন্ত:মন্ত্রনালয় চিঠিটি স্বয়ং জ্বালানী উপদেষ্টারই বিশ্বাস করতে কষ্ট হবার কথা।
এ বিষয়টির বিরোধিতা করে সরকারের একটি অধিদপ্তরেরই পাঠানো না-সূচক মতামতপত্র ।
যেখানে সুন্দরবন রক্ষার দায়িত্বে সরকারের এই বিশেষ বিভাগটি স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিলো, জীববৈচিত্র সংরক্ষনকে গুরুত্ব দিয়ে সিদ্ধান্তটি পুর্নবিবেচনা করার সেখানে সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা এখনও তার সিদ্ধান্তে অটুট থাকেন!!!
সবশেষে, এ বিষয়ে অধ্যাপক আনু মুহম্মদের একটি বক্তব্য যোগ করে দিলাম,
“জ্বালানি উপদেষ্টা বলেছেন, লংমার্চে অংশগ্রহণকারীদের কোনো কাজ নাই। তাই তারা লংমার্চ করে বেড়াচ্ছে।
“লংমার্চকারীরা দেশের স্বার্থে কাজ করছে। কিন্তু তৌফিক-ই-ইলাহী বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের মাধ্যমে দেশের সর্বনাশ করে কমিশন খাওয়ার কাজে ব্যস্ত রয়েছেন।”
সম্পূর্ন বিষয় বহির্ভূত একটি ভিডিও লিংক:
https://www.youtube.com/watch?v=Ewvqw443JzY
লেখা পড়ে ভালো না লাগলে কিংবা বিরক্তবোধ করলে ভিডিওটি দেখতে পারেন।
ভিডিওটি স্কিপ করে যেতে পারেন(recommended)
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:২৭