সামুর সেরা দশ ব্লগারের একজন শায়মা। তিনি জনপ্রিয় এবং নন্দিত একজন ব্লগার। কিন্তু সেরা হওয়ার পরে দেখা গেল, তার কপালে জুটল রান্নাবান্নার পোষ্ট দেয়ার অপবাদ; যদিও তার সারা ব্লগ ঘুরে কোন রান্নাবান্নার পোষ্ট আমার চোখ পড়ল না। তিনি নিন্দিত হলেন(!) এবং আমরা ভুলে গেলাম তার বৈচত্রিময় গদ্য ও কবিতার কথা।
এ-ক'দিন সেরা দশ নিয়ে যে-বিতর্ক পোষ্ট ও কমেন্ট-রিপ্লাই ঘরে। অত বড় বড় কথা আমি বলত পারি না, বারবার আমার এই একটা কথা মনে হয়েছে যে, "কতৃপক্ষ বিশেষ কিছু বিষয়কে বিবেচনায় নিয়ে সেরা দশের একটি তালিকা করেছেন।" কোন এক কমেন্টে দেখলাম। ''এই বিশেষ কিছু'' তো যেকোন কিছুই হতে পারে। কতৃপক্ষের উচিত ছিল, ক্যাটাগরি ভিত্তিক পুরুস্কার দেয়া, এবং সেটা স্পষ্ট করা। বিতর্ক হলে আসলে এখানেই হওয়া উচতি ছিল। কিন্তু তা না হয়ে, বিষয়টির মূলে না ঢুকে, ব্যক্তিগত পর্যায়ে আমরা দেখলাম কেবল বিতর্ক নয়, নোংরামি করা হল। আমি মনে করি, কতৃপক্ষ এটিই চেয়েছিলেন, হিট বাড়াতে চেয়েছেন; এবং সফল হয়েছেন।
সেরা যারা হন নি, তাদের নিয়েও বিতর্ক দেখা গেল, যারা পান নি তাদের পক্ষে অনেককে ব্যাথিত হতে দেখা গেল; এতে এবং সব মিলিয়ে এটি স্পষ্ট যে, এই পুরুস্কার(!) কতটা গুরুত্বপূর্ণ অনেক ব্লগারের জীবিনে। ঠিক এই জায়গা থেকেই আমরা ধরে নিতে পারি, আমাদের সহ ব্লগারদের মানসিকতা, মুল্যবোধ। তাদের মানসিকতা ও মুল্যবোধ দেখে কেউ কেউ হয়তো আতঙ্কিত হন, আমি আতঙ্কিত হই না। এরা তো আমাদের সমাজেরই অংশ, আমরা এদেরকে প্রতনিয়িত দেখি, এদেরকে দেখে আতঙ্কিত হতে হতে আমরা এখন আতঙ্কিত হতে ভুল গেছি।
শায়মাকে নিয়ে যে-নেতিবাচক সমালোচনা হল, দেখলাম, তা এতই নিম্নমানের, অযৌক্তিক আর মনগড়া বা ভিত্তিহীন; এই নিয়ে কিছু বলার সময় বা ধৈয আমার নেই। এসব নিয়ে কিছু বলা বা উপরে যা বললাম, তা-ও আমার উদ্দশ্যে নয়, সে-জন্যও আমার এ-পোষ্ট নয়। এ-পোষ্টের তাৎপর্য হল শায়মাকে আমাদের অভিনন্দন ও ভালোবাসার একটা নমুনা তুলে ধরা, (সেই সাথে যদি সেই মহান ব্লগারগন বুঝতে পারেনা যে, ''যুগে যুগে গর্দভেরাই বিলীন হয় অন্ধকারে'')। যার মধ্য দিয়ে আমি তাকে বলতে চাই, দেখ, সামুর সেরা দশ ব্লগারের একজন নও তুমি, তুমি অনেক অনেক ব্লগারে প্রিয় একজন।
শায়মার ব্লগ থকে
সুপান্থ সুরাহী : ব্লগ ডের পুরষ্কার নিয়া যা হইছে... তা নিন্দুকেরা চিরকালই করে গেছে... আমাদের গ্রামে একটা কথা আছে... আকাইম্যার কাম আউলা লাগানো... আপ্নারে নিয়া যে মিথ্যাচার করা হয়েছে এতে সবাই বুঝতে পেরেছে... যে পোস্ট দাতার উদ্দেশ্য কী? আমি আমার মেমোরি হাতরেও আপ্নার কোন রেসিপি পোস্ট পাইনি... তবুও কেউ তা বলেছে...
আমার এই কমেন্টের উদ্দেশ্য হল আমরা আমি আপনার পাশেই আছি... চাই আপ্নার ব্লগিং হোক আপ্নার মনো-আনন্দে...
আর কারো কারো ঈর্ষাকে ঠেলে ফেলে দিননা ঘামের মত...! ঘাম যেমন আমরা চাইনা তবুও ওটা আসে... ঠিক তেমনি আজাইরা নিকগুলা ব্লগে আসবেই... ওদের গুরুত্বদিরে মাথায় উঠতে চায়... নইলে কতক্ষণ ঘেউ ঘেউ করে নেতিয়ে পড়ে...
শাহ্রিয়ার খান : অভিনন্দন শায়মা... কারো সফলতা মেনে নেওয়ার ক্ষমতা যদি আমাদের বাঙ্গালী রক্তে থাকতো তাহলে আমরা জাতি হিসেবে বিশ্বের অনেক সফল দেশের মধ্যে একটা দেশ থাকতাম, আমাদের জনসংখ্যাই আমাদের প্রধান সম্পদ।জনসংখ্যায় বেশি এমন কোন দেশে নেই যারা পিছিয়ে আছে শুধু মাত্র বাংলাদেশ ছাড়া।এমন মানুষ হাট বাজারে পাওয়া সত্যি দুষ্কর যে কারো কোন ভালো কাজে বা সফলতায় সমালোচনা না করে নিজের অজান্তেই একটা গর্বের শ্বাস নিয়ে বুক উচু করেছে।
এমন আছে কিন্তু খুঁজতে হবে।রাস্তা ঘাটে চলাফেরা করলে দেখা যায় কিছু মানুষ আছে সমালোচনা করবেই, মসজিদে আযান দিলেও তারা আযানের সুর নিয়ে একটা মন্তব্য করে বসে, আর কিছু মানুষ আছে যারা সব সময় নিরব ভুমিকা রাখে, চুপ করে শুনে আর কারো কোন ভালোর জন্য তাকে সাদুবাদ জানাতে ভুল করেনা।
শায়মা কথা গুলো কেন বলেছি জানো নিশ্চই, গত দুইদিনে সেরা দশ নিয়ে পক্ষে বিপক্ষে অনেক পোস্ট কথা চোখে পড়লো, সেখানে তোমাকে বলতে শুনেছি তুমি লেখার স্পৃহা হারিয়ে ফেলেছো।এমন নজির খুব কম যে নিন্দুকের ভয়ে কোন সফল মানুষ ভীতু হয়।
তুমি চেয়ে দেখো ব্লগে কাদের নিয়ে সমালোচনা হয় যারা ব্লগে নিজের অবস্থান করে নিয়েছে তাদের, হাজার হাজার ব্লগার পড়ে আছে যাদের নিয়ে আলোচনা সমালোচনা কিছুই হয়না। কারণ তাদেরকে নিয়ে কেউ হিংসায় জ্বলেনা। তাদেরকে নিয়ে হিংসা করার মত কিছু নেই ।
ব্লগ সবার জন্য উম্মুক্ত, ব্লগের সেফ হবার শর্তের মধ্যে কোথাও লেখা নেই সেফ হতে হলে আপনাকে ভদ্র ও মার্জিত হতে হবে, এক কথায় ব্লগে সেফ হতে হলে কোনরূপ মানবীয় গুনাবলীর শর্ত ব্লগ কর্তৃপক্ষ জুড়ে দেননি, তারা শুধু চেয়েছেন ভালো লেখা, ভালো মন্তব্য। ভালো লিখতে হলে ভদ্র হতে হবে এমন কথা নেই। ভদ্রতা, মানবতা, ব্যক্তিত্ব এগুলো মানুষের মধ্যে বিধাতা প্রদত্ত।এগুলো কেউ চাইলে একদিনে একযুগে এক জীবনে নিজের মধ্যে চাষ করতে পারবেনা যতক্ষন না তার শিরার মধ্যে প্রবাহীত না হয়।
আমাদের বঙ্গ জীবনে সব চেয়ে বড় বিষয় হলো বঙ্গ ললনাকে আমরা কোমল নরম ভালোবাসার প্রতিক হিসেবে দেখি কিন্তু এই ব্লগের এসে দেখে অবাক হলাম কিছু নারী ব্লগারের চিন্তাভাবনা কর্মকান্ড আমাদের দুই নেত্রীকে হার মানিয়ে দেয়, যা তোমার অজানা নয়। এদের সুবুদ্ধির উদয় হোক কামনা।
নিজের মানদন্ডের কথা মাথায় রেখে নিজেকে স্পষ্ট একটা জায়গায় দাড় করিয়ে ব্লগিং করে যাও।মনে রেখ বদ মানুষ বিদ্যান হলেও বদ।
তোমার সুন্দর ও আরও সফল জীবন প্রত্যাশায়....
রেজওয়ান মাহবুব তানিম : .... শায়মা সবার ব্লগে যাবে কমেন্ট দেবে, ভালবাসা নেবে । অতীব জ্ঞানী গুনী আর আগ্রাসী ব্লগারদের শেখাবে কি করে বিনয়ী হতে হয় । শায়মা শেখাবে কি করে গায়ে পরে ঝগড়া করতে চাওয়া ব্লগারদেরকে এড়িয়ে না গিয়ে মোকাবেলা করা যায় ।
বাবুনি সুপ্তি : যত লিস্টেই আপুর নাম থাকুক বা না থাকুক, আপুর নাম আমার প্রিয় লিস্টে সব সময় আছে আর থাকবে
anisa : যে দিন থেকে তোমার লেখা পরছি সে দিন থেকেই সেরা হিসেবে জানি......অভিনন্দন সায়মা তুমি......তুমি পরিশ্রমী তুমি এর যোগ্য তাই পেয়েছ, দু হাত ভরে নিয়ে নাও দোয়া, ভালো লাগা আর ভালবাসা, মানুষ বেঁচে থাকে তার কজে!
মে ঘ দূ ত : একজন কিছু বললো বলেই কি আপনার সব কৃতিত্ব নেই হয়ে গেল? আর দশজনে যে আপনার প্রশংসায় পঞ্চমুখ হচ্ছে সেটি চোখে পড়ে না আপনার? ..... আপনাদের মত সহব্লগাররা এখনো আছে বলেই ব্লগে এখনো ফিরে ফিরে আসি।
শুভ্রতা : ... আমরা সবাই জানি তুমি কত ভালো লেখ। তুমি সেরা দশের একজন না হলেও আমরা তোমার লেখা পড়তাম, পড়বো। আস্থা রেখ নিজের উপর। কাউকে দেবতা বানাতে গিয়ে অন্যকে বানাবে দানব, এটা সমর্থনযোগ্য নয়। মিথ্যে কখনো প্রতিষ্ঠিত হয় না , কিছুটা চমক হয়ত থাকে। অনেক আগ হতে আমরা তোমার লেখা পড়ি , আর ভবিষ্যতেও পড়বো। শুভ ব্লগিং উইথ হাসি মাখা মুখ
এছাড়াও অভিনন্দন জানিয়ছেনে :
রোকন রাইয়ান / ভিয়েনাস / অন্ধ দাঁড়কাক / শ।মসীর / জিসান শা ইকরাম / একাকী বালক / সুরঞ্জনা / সায়েম মুন / শোশমিতা / রেজোওয়ানা / জিকসেস / নিশাচর ভবঘুরে / তন্ময় ফেরদৌস / কামরুল হাসান শািহ / ইসরা০০৭ / শাহেদ খান / শিপু ভাই / ময়নামতি / স্বদেশ হাসনাইন / নিম
মাহী ফ্লোরার পোষ্ট থেকে
শায়মা আপু আমার অনেক প্রিয় একজন মানুষ। একদিন উনার প্রশংসা করতে গিয়ে দেখলাম উনি সুন্দর। ......ভাবলাম সৌন্দর্য্যই কি মানুষের সেরা গুন! আপু তুমিই সেরা। সত্যিই সেরা। কোনো বিতর্ক ছাড়াই। আমাদের কখখোনো ছেড়ে যেওনা প্লিজ। এই পোষ্ট আর সামান্য লেখাগুলো তোমার জন্য!..... [পোষ্টরে অংশবশিষে]
কমেন্ট ঘরের অংশ থেকে
ঘুমন্ত আমি : শায়মা আপু ফিরে আসুক তার নিজের জায়গায় অর্থাত্ ব্লগে ।আমরা হয়তো বিবেকহীন মন্তব্য করেছি অতিউত্সাহে ।আবার যারা পোষ্ট করেছে তারা বির্তকের সাথে সাথে অসংখ্য মন্তব্য পাওয়ার জন্য পোষ্টগুলো করেছে ।তারা তাদের ব্যাক্তিস্বার্থ দেখেছে এতে মন খারাপের কিছু নাই ।আপনার পরবর্তী পোষ্ট পড়ার অপেক্ষায় শায়মা ।
রিমঝিম বর্ষা : ....... তুমিই [শায়মা] একদিন আমাকে বলেছিলে "কতজনেই কতকিছু বলে, তাই বলে হাল ছেড়ে দেবে কেন?"। তুমি আবেগী জানি, তারপরেও তোমাকে ভীষণ শক্ত ধাঁচের বলেই আমার ধারনা ছিলো। ....... সেই পোস্ট এবং সেখানে তোমার কমেন্ট দেখে আমি একটু মুচকি হেসেছি। একজনকে আমি আজ সকালে বলছিলামও "শায়মা আপিকে এই প্রথম আমার সিরিয়াস মনে হোল"। সবসময় তোমাকে দেখেছি অন্যের অনেক কটাক্ষ মন্তব্যের জবাব ভীষণ আদর করে, হাসির সাথে দিয়েছো। তোমার মত আর কাউকে আমি এমনটা পাইনি। কেউ তোমাকে ভীষণ নেগেটিভ একটা কথা বললেও তুমি সেটাকে পজিটিভ ওয়েতে চালিত করেছো। আমার সেই আপুটা আজ ওরকম একটা পোস্টে এমন বেসামাল হয়ে পরবে এটা মানা যায়না কিন্তু।.....
মিরাজ is : ......আপনি যাদের কাছে প্রিয় তাদের কাছে প্রিয় থাকবেন। যারা আপনার বিরোধীতা করেছে বা করবে তাদেরকে আমলে নেওয়ার কিছু নেই। হইতো তারা আপনার ব্লগে কখনোই যায়নি, সমালোচনা করার দর্কার তাই করেছে। ......
সায়েম মুন : শায়মা আপিকে ডিস্টার্ব কৈরেন্নাতো। সে চলে যাচ্ছে কাকে বলছে! সে মন খারাপ করে চলে যাওয়ার কথা বলেছিল। তাও একটা কমেন্টের রিপ্লাইয়ে। আপনারা পোষ্ট দিয়ে দিয়ে তার চলে যাওয়াটাকে কনফার্ম করতে চাচ্ছেন। তার মন খারাপটাকে আরও প্রশ্বস্ত করতে চাচ্ছেন। এই সংক্রান্ত একটা পোষ্টও নাজিল হৈছে দেখলাম। যাই হোক সে আমাদের সবার প্রিয় ব্লগার। আমাদের ছেড়ে থাকতে পারবে না। এতজন মানুষের ভালোবাসাকে চাইলেও অগ্রাহ্য করতে পারবে না। সে থাকবে তার চমৎকার সব পোষ্ট নিয়ে। বহুগুনে গুনান্বিত একমাত্র ব্লগার যদি থাকে সেই। তার লেখাতেই আমরা অনেক ভেরিয়েশন দেখতে পাই। যেটা আর কারও ব্লগে দেখা যায় না। গল্প কবিতা থেকে শুরু করে নাচ গান জীবন চরিত, রান্নাবান্না (যদিও এই নিকে দেয়না) কোনটাতে সে সিদ্ধহস্ত নয়? অন্যান্য ব্লগার যারা শীর্ষ নির্বাচনে জিতেছেন তারা বেশীরভাগই একবিষয়ধর্মী পোষ্ট লিখে অভ্যস্থ। তার পোষ্টেই আমরা পাই বহুমূখী স্বাদ। এই স্বাদ থেকে শায়মা আপি এত সহজেই আমাদের দূরে ঠেলবে বলে মনে হয় না। আফটার অল তার সহ্যক্ষমতা, ধৈর্যক্ষমতা অসীম। সেটা এক/ দুইজন ব্লগারের হালকা চালের মতামতে চলে যাওয়ার কথা না। কে কেমন ব্লগার সেটা আমজনতাই ভালো জানে। এবং জানে বলেই তার ব্লগে যায়।......
ভালোবাসা ও অভিনন্দন জানয়িছেনে
আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় / টুকিঝা / মেহবুবা / কামরুল হাসান শািহ / রিয়েল ডেমোন / শোশমিতা / নস্টালজিক / সানজিদা হোসেন / সাইফুলহাসানসিপাত / আর.এইচ.সুমন / হানিফ রাশেদীন / স্বদেশ হাসনাইন
এর বাইরেও শায়মাকে অনেকে অভিন্দন জানিয়েছেন। আমি এখানেই সায়েম মুনের কথার সূত্র ধরে শেষ করি : এক/ দুইজন ব্লগারের স্থুল মতামতে গুরুত্ব দেয়ার কিছু নেই। কে কেমন ব্লগার সেটা কারো অজানা নয়। এবং এখানে আমরা লক্ষ্য করলে দেখব, একটা মাত্র উদাহরন দিই এখানে যে-নিক নেইমগুলো আমরা দেখছি, এঁরা অনেকেই গুরুত্বপূর্ণ (লেখার মানের দিক থেকে)। তার মানে কেবল সংখ্যার দিক থেকে নয়, শায়মার পাশে কারা আছেন এটাও বেশ তাৎপর্যমণ্ডিত।