সারা দেশে প্রায় সকল জেলাতে নৈরাজ্য লোমহর্ষক পরিস্থিতি। কোথাও পুলিশ, কোথাও বিজিবি, কোথাও শিবির মারা পড়ছে । কোথাও সরকার দলীয় ২ জন'তো কোথাও বিরোধীদলীয় ১৭জন। টি ভি চ্যানেল গুলো কোন এক বিশেষ ধরনের নিরপেক্ষীয় আচরণে শুধুই গাড়ি পোড়ানো আর বিজিবি'র কাভারেজ থাকলেও, মারা পড়া কর্মীরা খুব একটা জায়গা পায় না কাভারেজে মৃতের সংখ্যা গণনা ব্যতীত। হয়তোবা গাড়ি গুলোর দাম পোড়া দেহ বা গিলু উড়ে যাওয়া দলীয় কর্মী গুলোর থেকে বেশীই দামী। কর্মী গুলো হয়তোবা কখনই মানুষ নয় , হয়তোবা রক্তে মাংসে গড়া দেহ ছিল,কারও পরিবারের সর্বমুল,সর্বকুল।তবুও কিন্তু তারা শুধুই দলীয় কর্মী !
সারা শহরে নিরবিচ্ছিন্ন প্রশাসনিক নিরাপত্তার বেষ্টনী এতই কঠোর ছিল যে সারা দেশে যাই হোক না কেন শহর টা এখনও নিরাপদ । তার মধ্যেও গাড়ি পোড়ানো আর গাড়ির নেমপ্লেট সহ টি ভি কাভারেজ পাওয়া দেখে মনে হল এতো "চমৎকার নৈরাজ্য উপস্থাপন" ।হয়তো সত্য নাহ্য সাজানো। ভালো হয়েছে ! ভালো লেগেছে ! পলিটিসিয়ানরা এটাই করেন, এটাই পলিটিক্স !
তবুও,এতদিন গাড়ি পুড়লেও কোথাও গাড়ির ভেতরে মাংস পোড়ার গন্ধ না মেলায় মনে হয়েছিল, যাহ ! বিরোধী দল বা সরকারী দল , নাটক করুক আর যাই করুক এখনও মানুষের জন্য কিছুটা হলেও দরদ বাকি আছে তাদের।
সন্ধ্যের পর থেকে অনেকক্ষণ নির্বাক হয়ে রইলাম !!
ব্রিফিংএ ,শাহবাগে গাড়িতে আগুন, ১৯ জন হাসপাতালে ভর্তি , তিন জনের অবস্থা আশংক্ষাজনক !!
শাহবাগের মত নিছিদ্র নিরাপত্তা বেষ্টনীর ভেতরে থাকা গোল পয়েন্টে এই রকম হত্যাযজ্ঞ ! সরকারদলীয় নাটক নাহয় বিরোধীদলীয় নৃশংসতা। আমরা আসলেই কি কোন মানব সভ্যতায় বাস করছি ? বাস করলে এটাকে কি সভ্যতা নামকরণ করা হবে ??
২তি,১৭ টি, ২৩ টি , ১৯ টি প্রাণ ঝরে গেল। আরও শ'খানেক ঝরার পথে ।
সরকার নির্বিকার, বিরোধী দল নির্বিকার।
বিরোধী দলের আরও কঠোর কর্মসূচীর ঘোষনা,সরকারী দলের নির্লজ্জের মত বিরোধী দলকে রাজপথে সহিংসতার আহ্বান ।কেউ কারও জায়গা থেকে নড়তে অনড়। ক্ষমতার জন্য এরা এতটাই মানসিক ভাবে বিকলাঙ্গ হয়ে পড়েছে যে ,দেশের মানুষ আর এদের কাছে মানুষ বলে একটা প্রনি হিসেবেও বিবেচ্য হচ্ছে না।
আমরা কোন পথে আসলে এগুচ্ছি ?? আমাদের আগামী কি তবে শুধুই কুকুর আর হায়নাদের ক্ষমতা লিপ্সার শেষ তলানি হয়ে বিলীন হয়ে যাবে ? আমাদের কি তবে কিছুই করার নেই ??