somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গনতন্ত্র আমাদের কি দিয়েছে? একটা হাসিনা আরেকটা খালেদা ছাড়া?

১৬ ই এপ্রিল, ২০১১ ভোর ৪:১২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :






দেশ স্বাধীন হওয়ার কয়েক বছর পর দেশের মানুষ "বাকশাল" তন্ত্র দেখলো! এর পরে সামরিক শাসন, আমলা কামলা এবং রাজনীতিবিদের ডিগবাজী তন্ত্র ও দেশের মানুষ দেখেছে। অবশেষে দেশের মানুষ শত শত দিনের অবরোধ, হরতাল এবং নুর হোসেনদের রক্তের বিনিময়ে শেখ হাসিনা এবং খালেদা জিয়ার গনতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্হা দেখেছে এবং দেখে যাচ্ছে। আশাকরি ভবিষৎতে ও দেখবে। যদি ও হাসিনা খালেদার কাগজের কলমের শাসন ব্যবস্হা কে গনতান্ত্রিক বলা হয়। আসলে কি এটা গনতন্ত্র? নাকি পরিবারতন্ত্র?

বাংলাদেশের কোন দলের মধ্যই গনতন্ত্র নাই। আবার তারাই গনতান্ত্রিক ব্যবস্হার জন্য মরিয়া!! কেন তারা মরিয়া? তারা জানে কিভাবে এবং কোন ব্যবস্হায় দেশের মানুষের অর্থ সম্পদ লুটপাট করে বাঁচা যায়। দেশের স্বার্থ জড়িত এমন সব বিষয়ে হাসিনা খালেদা এবং তাদের চ্যালা মুন্ডারা সব সময় দুই মেরুতে থাকে! অথচ গনতান্ত্রিক দুর্বল বিচার ব্যবস্হার সুযোগ নিয়ে (তাদের লালিত পালিত মানুষ নামের চাটুকার ধারায় পরিচালিত বিচার ব্যবস্হা দিয়ে) সব মামলা রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের নামে ক্ষমতায় এসে প্রত্যাহার করা হয়! এটা কতটা গনতান্ত্রিক?

আসল কথা হলো আমরা প্রতি ৫ বছর পর পর এক জন নির্বাচিত স্বৈরাচার পাই গনতন্ত্রের নামে। যদি ও মন্দ লোকে বলে আমরা প্রতি বছর পাতানো নির্বাচনের মাধ্যমে গনতন্ত্রের শিশু অবস্হা থেকে বালক হইবার চেষ্টায় আছি।

আমি এক জন নাদান আম বাংলাদেশী হিসেবে হলফ করে বলতে পারি এই দেশের শতকরা ৯৯ জন রাজনীতিবিদ-ই দূর্নীতিতে লিপ্ত। সেটা যেভাবে-ই হোক তারা করে। একমাত্র তারা-ই আমাদের দেশের কোটি কোটি মানুষের ভবিষৎত কে লাথি মেরে নিজেদের সন্তানদের জন্য ভবিষৎ গড়ে তুলছে পশ্চিমে কিংবা পুর্বে। এই দেশে কখনো সত্যেকারের দেশ প্রেমিক ত্যাগী রাজনীতিবিদ এবং আমলাদের স্হান হয়নি শাসন ব্যবস্হার উচ্চ স্তরে।

আমাদের দুর্নীতিবাজ রাজনীতিবিদ, আইজীবি, আমলারা জেনে বুঝে রাক্ষুস
ব্যবসায়ীদের কে লুটপাট করার সুযোগ করে দেয়। বিনিময়ে কমিশন ভোগ করে। আর মিড়িয়া-ই গুরুগম্ভীর বক্তব্য দেবে গনতান্ত্রিক বিচার ব্যবস্হার!

যে আইনজীবিরা কিছু দিন আগে বলেছে ইশ্বরের পরে-ই নাকি আমাদের বিচার ব্যবস্হার জেনারেল! আর ইশ্বর হচ্ছেন আমাদের গনতন্ত্রের মানস কন্য! আর আমাদের রাষ্ট্রপতি তো জননেত্রী শেখ হাসিনা কে ভুলের উর্ধ্বে স্হান দিয়েছেন। তবে নিজ দলের গনতান্ত্রিক নেত্রী সাজেদা খাতুনের ছেলে কে দুর্নীতির মামলার সাজা থেকে মুক্তি দিয়েছেন! যেন সাজেদার ছেলে না হোক নিজ দলের সভানেত্রীর ছেলে ওয়ারিদ টেলিকম কে ১ লক্ষ ডলারে এয়ারটেল কে খরিদ করিতে পারে আর চুপকে চুপকে কমিশন খাইতে পারে।
অথবা বানিজ্যমন্ত্রীর ভাই একচেটিয়া টেন্ডার পাইবে কারন সে শেখ সৈনিক।

এই রকম যে শুধু আ.লীগ করে তা নয় বিএনপি ও করে শুধু ক্ষমতা পরিবর্তনের জন্য অপেক্ষা করে। আর আমরা হাসিনা খালেদা কে নির্বাচিত করে পরিবারতান্ত্রিক গনতন্ত্রের জয়ে এক মাস হাসি আর ৫৯ মাস পাচায় বাঁশ লইয়া চক্কর দিই! যারা এই পদ সেই পদ ভাগায় তারা অবশ্য ভালো থাকে ৫ বছর। আর ৫ থেকে ৫০০ অথবা ৫০০০ কোটি টাকার মালিক হয়ে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সমাজ সেবক হয়ে যায়! তারপরে হাসিনা খালেদার কাছে আকুতি কাকুতি একটি আসনের জন্য!

উপরে যেটা উল্ল্যেখ করিলাম সেটা কে দুর্নীতি বলে মনে হয়। কিন্তু আমাদের
শেয়ার মার্কেটে যেটা ঘটেছে তাকে সোজা বাংলায় ডাকাতি বলে। এখন কথা হইলো গনতান্ত্রিক ব্যবস্হায় এই সব চোর, ডাকাতদের বিচার হইবার কোন সম্ভবনা নাই!! কেন নাই?? শুধু একটা-ই প্রশ্ন অতীতে কি হয়েছে? নাকি বিচার হইবার আগে-ই চোর মরিয়া গেলো অবস্হা হইবে? অতএব মৃত মানুষের মামলা প্রত্যাহার হইলো। বাংলাদেশের গনতান্ত্রিক ব্যবস্হায় একমাত্র আল্লাহ'র কাছে বিচার চাওয়া ছাড়া কোন উপায় নাই!! যদি ও নাস্তিক ভাইয়েরা মাইন্ড খাইবেন 'বিবেকের কাছে বন্ধি হয়ে"।

কথাবার্তায় মনে হয় আমাদের রাশেদ খান মেনন পিউর নাস্তিক সৎ রাজনীতিবিদ কিন্তু তার বিরুদ্ধে ও কমিশন খাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। কিন্ত আমার প্রশ্ন হলো তার বিচার কি বর্তমান গনতান্ত্রিক বিচার ব্যবস্হায় হবে? নাকি ৫ বছর পর খালেদার আমলে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র মামলা হবে?

রফিকুল হক কে নিয়ে কিছু বলার নাই! যে দুই জন জনেত্রী এবং দেশনেত্রীর দুর্নীতি মামলা দেখাভালা করেছেন।

আমার কথা হইলো যারা কৃষি ব্যাংকের ইব্রাহিম খালেদের কথায় প্রতিবাদ মুখর তারা সকল-ই সেই সব ডাকাত সংঘের কমিশন ভোগী গনতান্ত্রিক পন্হার সদস্য।

আর আমাদের বিচারকদের বিচারের দলীয় মনোভাব নিয়ে কিছু বলার নাই।
তারা আইনের রক্ষক কিন্তু বক্ষক হইবার কোন সম্ভবনা নাই। লেহন ছাড়া।

জয় হোক গনতন্ত্রের যাকে সত্যকারের গনতন্ত্র বলে। পরিবারতান্ত্রিক গনতন্ত্রের নয়। যে লুটবে আর ঘুম পাড়িয়ে স্বপ্ন দেখাবে....., দেশের প্রত্যক সন্তান-ই সমান অধিকার রাখে যেটার জন্য জয়, তারেক, কোকো অথবা সাজেদার ছেলেরা লাইনে আছে।

পরিবারতন্ত্র নিপাত যাক।
নুর হোসেনদের স্বপ্ন মুক্তিপাক।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই এপ্রিল, ২০১১ ভোর ৪:১২
৭টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

যুদ্ধে মিডিয়া একটি বড় অস্ত্র।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৯ ই মে, ২০২৫ রাত ১:০০


যুদ্ধে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার জন্য নানাবিধ কৌশল অবলম্বন করা হয়। যুদ্ধে জেতার জন্য সেনাপতি তার কৌশলগুলো পর্যায়ক্রমে প্রয়োগ করতে থাকে। যারা সাঞ্জুর আর্ট অব ওয়ার পড়েছেন, তারা যুদ্ধের অনেকগুলি কৌশলের... ...বাকিটুকু পড়ুন

অজানা সত্য কাহিনি: রবার্ট দ্য ব্রুস, আউটল’ কিং

লিখেছেন সত্যপথিক শাইয়্যান, ০৯ ই মে, ২০২৫ রাত ১:২৭



ব্রেভহার্ট ছিল ১৯৯৫ সালের একটি মহাকাব্যিক যুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র, যেটি পরিচালনা করেছিলেন বিখ্যাত অভিনেতা মেল গিবসন এবং যেখানে তিনি নিজেই অভিনয় করেছিলেন ১৩শ শতকের স্কটিশ বিদ্রোহী যোদ্ধা উইলিয়াম ওয়ালেস... ...বাকিটুকু পড়ুন

নবীজির জন্মের আগে আরবে গজব অবস্থা ছিলো

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৯ ই মে, ২০২৫ সকাল ১১:০২



নবীজির জন্মের আগে আরবে বেশ কিছু ধর্ম ছিলো।
ধর্ম না বলে কুসংস্কার বলা ভালো। সেই সময় মানুষ রসিকে সাপ মনে করতো। মগজহীন মানুষ দিয়ে ভরা ছিলো আরব। সেই... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনু গল্পঃ ব্যর্থ বাসনার দাহ

লিখেছেন সামিয়া, ০৯ ই মে, ২০২৫ বিকাল ৩:৩৮

ছবিঃনেট

খুব তাড়াহুড়া করে বের হয় তন্দ্রা, আজ স্কুলে যাবে না, কোনো টিউশনি করাবে না, ফোন করে সব student-কে মানা করে দিয়েছে। এগারোটার আগে ওকে এয়ারপোর্ট পৌঁছতে হবে।

নাবিল আসছে,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আজকের ডায়েরী- ১৫২

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৯ ই মে, ২০২৫ বিকাল ৫:২৩



এনসিপি আওয়ামীলীগকে এত ভয় পাচ্ছে কেন?
অলরেডি আওয়ামীলীগের তো কোমর ভেঙ্গে গেছে। তবু রাতদুপুরে এত আন্দোলন কেন? দেশে ১৮/২০ কোটি মানুষ। তারা তো আওয়ামীগকে ভয় পাচ্ছে না। তাহলে এনসিপির এত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×