টস জিতলো সাকিব নিলো ফিল্ডিং!! সবার মনে আছে কি না জানি না! হাবিবুল বাশার ক্যাপ্টেন থাকার সময় তীব্র গরমের মধ্য এই মীরপুরে হাবা সাহেব কি বুঝে ফিল্ডিং নিয়ে ছিলেন। হাবা সাহেবের কথা এখানে চলে আসার কারন হইলো। সময় বদলেছে কিন্তু আমাদের চিন্তা চেতনায় তেমন বদল হয় নি। টস জিতেলে-ই কি বা হারলে কি? আমরা উল্টা পাল্টা সিদ্ধান্ত নিবো-ই। এ ছাড়া মিরপুরের ইতিহাসে আগে যারা ব্যাটিং করেছে তারা-ই জিতেছে সব চেয়ে বেশী। এটা আমাদের জিমি এবং সাকিব জানে।
যাই হোক এবার আমাদের কিরা সাম্বাদিকদের নিয়া একটু কথা বলি। বাংলাদেশের বেশীর ভাগ মিড়িয়ার সাম্ভাদিকদের যোগ্যতা এবং সততা নিয়া আমার সন্দেহ আছে। এরা রাজনীতি কি খেলাধুলা সব জায়গায় দলাদলি করে। কোন খেলোয়াড় কে আকাশে তুইলে দিতাছে আবার কোন খেলোয়াড় কে মাটিতে নামাইয়া দিতাছে।
এবার আমাদের জগত সেরা খেলোয়ারদের আলুচনা করি।
আব্দুর রাজ্জাক
বাংলাদেশ কেন পৃথিবীর শ্রেষ্ট বোলার আব্দুর রাজ্জাক! তার উপর নাকি বাংলাদেশের অনেক ভরসা সেটার কাহিনী কাইলকা প্রথম আলুতে ও দেখলাম। আব্দুর রাজ্জাক পৃথিবীর শ্রেষ্ট বোলার ঠিক আছে তবে সেই পৃথিবীতে যদি ভারত,পাকিস্তান, শ্রীলংকা, অস্টেলিয়া সহ অন্যান দেশ না থাকে! আমার কথা যদি মিথ্যা হয় তার রেকর্ডবুক খুইলা দেখেন। রাজ্জাক কে কোন ভাবে-ই বাংলাদেশের সাথে ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলংকা, অস্টেলিয়া ম্যাচে রাখা উচিত নয়।
নাঈম
যারে সাম্ভাবিকেরা চক্কা নাঈম বইলা পতরিকায় লেকা ছাপে! এই নাঈমের কোন যোগ্যতা নাই বর্তমান বাংলাদেশ দলে থাকার। অবশ্য তার ভক্তকুলেরা বিশাল বিশাল ছয়ে জিম্বাবুয়ের সাথে মাত্র একটা ম্যাচ জিতার উদাহরন দিবো কিন্তু সে এখন পর্যন্ত কয়টা ম্যাচ খেলছে? আর যেই বোলারের বলে সে বিশাল বিশাল চক্কা মার ছিলো সেই বোলার আমাদের সালমা আপারা মারতে পারতো তারপরে ও যদি বাংলাদেশ দলে তারে রাখার দর্কার পরে তবে শুধু জিম্বাবুয়ে অথবা কেনিয়া, নেদারল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড-ই ঠিক আছে অন্য দলের সাথে না। তার পরিবর্তে অলক কাপালি এক লক্ষ গুন ভালো অথবা আফতাব নয়তো সাব্বির আহমেদ।
মুশফিক
পোলাটারে দেকলে মায়া লাগে তবে মায়া দিয়া তো মাওয়া ফলার কোন সম্ভবনা নাই!!
বাংলাদেশ দলে প্রয়োজন তার থেকে ও ভালোমানের একজন উইকেট কিপার কাম আক্রমনাক্ত ব্যাটসম্যান। মুশফিকের পরিবর্তে জহিরউল ইসলাম অথবা অনুর্ধ্ব ১৯ দল থেকে কারোরে নিয়ে আসা।
শফিউল ইসলাম
বেচারা মনে হয় বিশ্বকাপ প্লাস মাশরাফির বিকল্প হইতে যাইয়া। ঠিক ঘোরের মধ্যে ছিলো। তবে আমার বিশ্বাস এই পোলাটা মাশরাফির থেকে ও ভালো বোলার হবে একদিন।
মাহমুদুল্লাহ
পোলাটার খেলার ধরনে কয় তার জায়গা ব্যাটিং এর ৬/৭ এ নয়!! তারপরে ও
আশাকরি পোলাটা ভবিষৎতে ভালো করবো।
রাকিবুল
ব্লগ পড়ে যেটা ধারনা হইলো তা হলো বাংলাদেশের ক্রিকেটে খেলোয়াড়দের মধ্যে সব চেয়ে বেশী অজনপ্রিয় আশারাফুল, তারপরে রাকিবুল অথচ নাঈম ইসলাম এই দুই জনের তুলনায় কিছু-ই না। তবে সে চক্কা নাঈম! আশরাফুল যে কত চক্কা চার মেরে বাংলাদেশ কে জিতিয়ে ছিলো কত ম্যাচ?
রাকিবুল কে নিয়ে আমার ব্যক্তিগত একটা কথা.......
যে দিন থেকে তার খেলা দেখিছি আমি কেন জানি তার খেলার ধরনের মধ্যে পাকিস্তানের মোহাম্মদ ইউসুফের খেলার মিল খুইজা পাই!! যদি ও আমি জানি মোহাম্মদ ইউসুফ হয়ে উঠা রাকিবুলের জন্য হিমালয় ফাঁড়ি দেয়া সমান। তারপরে ও আশাকরি সে একদিন ভালো করবে।
সব শেষে কথা হইলো বাংলাদেশ দলের ৬/৭ নাম্বারের ব্যাটিং দেইখা বার বার যার কথা মনে পড়ে সব সময় সেই আফতাব আহমেদ। (যদি ও সে বাংলাদেশ দলে বিভিন্ন জায়গায় ব্যাটিং করতো তবে ৬/৭ মনে হয় বেশী করেছে।) দুঃখ হয় তার জন্য কি সুন্দর ভবিষৎত কে সে লাথি মেরে আইসিএলএ গিয়ে ছিলো! আরও দুঃখ হয় অলক কাপালির জন্য সে অন্তত নাঈম ইসলামের চেয়ে ব্যাটিং বোলিং দুই দিক দিয়ে-ই ভালো। অথচ সুযোগ পায় নি! আর আশরাফুল যে স্বপ্ন দেখিয়ে দেখিয়ে নিজে-ই বাস্তুহারা!! শাহরিয়ার নাফিস নিজেকে প্রমান করার পরে ও অনেকটা বিদ্রোহী ভাব দেখিয়ে আইসিএল গমন! যেখানে তার সুন্দর ভবিষৎতের অর্ধেক শেষ!! বাংলাদেশের জনপ্রিয় খেলোয়াড় তামিম, সাকিব, মাশরাফির পরে-ই সে। ব্লগ পইরা যেটা বুঝা যায় আর কি।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১:৫৭