দেশে একের পর এক খুন হচ্ছে। বেশির ভাগ খুনের দায়ভার ইসলামিক স্টেট (আইএস) ও আল কায়েদার ভারতীয় উপমহাদেশের (একিউআইএস) কথিত বাংলাদেশ শাখা আনসার আল ইসলাম নিচ্ছে। কিন্তু কেন? কোন একটি চক্র দায় স্বীকার করে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। রাজধানীর কলাবাগানে জোড়া খুনের ঘটনায় তিনজন শনাক্ত হয়েছে। খুনের ঘটনা ঘটলেই দায় স্বীকার করে টুইট বার্তা দিয়ে দেশের ভাবমূর্তি বিনষ্ট করা হচ্ছে। দেশ-বিদেশে জঙ্গী তৎপরতার ইঙ্গিত দেয়া হচ্ছে। কারা কিভাবে কোথা থেকে এই ধরনের টুইট বার্তা পাঠাচ্ছে তাদের চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে, তবেই একের পর এক ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটাতে পারবে না। এ পর্যন্ত যেসব খুনের ঘটনাগুলো ঘটেছে তার মধ্যে ১৫ ঘটনায় ব্যবহার করা হয়েছে আইএসের নাম। এর মধ্যে ১৪ ঘটনার সঙ্গে দেশী জঙ্গী সংগঠন জামা’আতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) সদস্যরা জড়িত। বিদেশী ও ভিন্ন মতাদর্শী হত্যার কয়েকটি ঘটনায় জেএমবির বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। অন্যদিকে আল কায়েদার ভারতীয় উপমহাদেশের (একিউআইএস) বাংলাদেশ শাখা আনসার আল ইসলাম, ৭, ৮, ১৩-সহ বিভিন্ন নাম ব্যবহার করে দায় স্বীকারের ঘটনাগুলোর সঙ্গে আনসারুল্লাহ বাংলা টিম জঙ্গিদের জড়িত থাকার তথ্য মিলেছে। দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি করানোর এটা এক গভীর ষড়যন্ত্রের নীলনক্সা বলে মনে করা হচ্ছে। সরকারকে বেকায়দায় ফেলার উদ্দেশ্যে পর্দার অন্তরাল থেকে কোন রাজনৈতিক মহল থেকে কলকাঠি নাড়ানো হচ্ছে।এদের বিরুদ্ধে কঠোর নজরদারি করতে হবে। নাশকতা এড়াতে নজরদারির বিকল্প নেই।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা মে, ২০১৬ বিকাল ৩:০১