বাংলাদেশের বিতিহাসের একটি অত্যান্ত গুরুত্ব বহ দিন ১৭ ই এপ্রিল। এই দিন মুজিবনগরে প্রতিষ্ঠিত হয় প্রবাসি বাংলাদেশ সরকার। তারপর কেটে গেছে বহুদিন। অনেক কিছু ঘটে গেছে এর মধ্যে। স্বাধীনতার কর্নধাররা কেউ আজ বেচে নাই। শুধু বেচে আছে ইতিহাস। এরই কিছু সত্য ঘটনা এখন তুলে ধরব। এর পূর্বের লেখাগুলোতে আমি কিছু ইতিহাস তুলে ধরেছি। এটা বলতে পারেন ৪র্থ পর্ব।
শেখ মুজিব সাহেব আসলে কোন পন্থি ছিলেন?
শেখ মুজিব সাহেব কি আসলে স্বাধীনতা চেয়েছিলেন না অন্যকিছু?
মুক্তিযুদ্ধের সত্যিকারের স্বপক্ষের শক্তি কারা?
এই পর্ব তুলে ধরব কি ঘটেছিল ১৭ ই এপ্রিল।
২৫ শে মার্চ কালো রাতের পর থেকে যখন দেশের মানুষ পন্জাবীদের নৃশংসতায় দেয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছিল তখন কলকাতা আর দিল্লির চিত্র ছিল ভিন্ন। মিসেস গান্ধিজি তার স্বপ্ন বাস্তবায়ন হতে দেখে আনন্দ লাফাচ্ছিলন। বহুদিন পর তিনিউ সফল ভাবে পাকিস্তানকে খন্ডিত করার পথে এগুচ্ছেন। একদিকে দিল্লির তৎপরতা, আওয়ামীলীগারদের বিশ্বাসঘাতকতা আর পান্জবীদের সীমাহিন নৃশংসতা। ত্রিমুখি চাপে বাংলাদেশিরা তখন অস্তিত্বহীন।
দিল্লিতে তখন তাজউদ্দিন আর শেক মনি ব্যস্ত দেশ বিরোধী এক ভয়াবহ চুক্তি করতে। এই চুক্তি আর কেউ জানতো না। খুবই গোপন রাখা হয়েছিল সব ডকুমেন্টস। এই ব্যাপারে শুনুন দৈনিক মানব জমিনের বর্তমান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরীর বক্তব্য।
"নয় মাস আমরা যুদ্ধ করেছি পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে। পাক বাহিনী শেষ পর্যন্ত আত্নসমর্পন করেছিল ১৬ই ডিসেম্বার ১৯৭১ সালে। মিত্রবাহিনীর কাছে আত্নসমর্পন করেছিল প্রায় এক লাখ পাকিস্তানি আধুনিক সৈন্য। কিন্তু দু:খজনকভাবে এই আত্নসমর্প অনুষ্ঠানে মাত্র একজন মুজিব সরকান প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। জেনারেল ওসমানি জিবিত থাকা অবস্থাও কেন সেখানে থাকেন নি? তিনি কি্ছু বলে ও যাননি তার না যাওয়ার কারন হিসাবে। ১৯৭১ সালের অক্টোবার মাসে এই মুজিব নগর সরকারের সাথে দিল্লিন একটি চুক্তি হয়। চুক্তিতে সাক্ষর করেন বাংলাদেশের পক্ষে সৈয়দ নজরুল। চুক্তির ভয়াবহতা দেখে তিনি সেন্স হারিয়ে ফেলেন। চুক্তির মধ্যে অন্যতম ছিল যারা ৭১ এ সক্রিয় যদ্ধ করেনি তাদেরকে বাধ্যতামুলক অবসর দেয়া হবে। আর এদের শুন্য স্থান পুরন করবে ভারত থেকে আসা কর্মকর্তারা। পরবর্তিতে তাই ঘটেছিল আর এসব কর্মকর্তাদের দেশ থেকে তাড়ান শেখ মুজিব সাহেব। "
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই এপ্রিল, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:২৭