এই টপিকটা এখনকার তেমন কোন হিট টপিক না হলেও আমার মনে হল আপনাদের সাথে শেয়ার করা দারকার তাই করছি।
বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ভারত তোষন নীতি নিয়ে ঝাপিয়ে পড়ছে। অবস্থা দৃষ্টিতে মনে হচছে ভারতেরই কোন সরকার এটা। আওয়ামীলিগের রাজনৈতিক আদর্শ তাদের দলের এবং বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা শেখ মুজিব। বরাবরই আওয়ামী লীগের বর্তমান চেয়ারম্যান এবং শেখ মুজিব কন্যা শেখ হাসিনা একটা কথাই বলে থাকেন যে বংগবন্ধুর স্বপ্ন। তাই ভাবলাম একটি আলোচনা করা দরকার ভারতের ব্যাপারে বংগবন্ধুর নীতি কি ছিল?
১০ই জানুয়ারী বংগবন্ধুর স্বদেশ প্রর্তাবর্তন দিবস। এইদিন বংগবন্ধু পাকিস্তান কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে দেশে ফেরেন। কিন্তু ১০ ই জানুয়ারী পর্যন্ত ব্রিটেন বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়নি। তাহলে কেন বংগবন্ধু লন্ডন হয়ে ব্রিটিশ এয়ারলাইন্সে বাংলাদেশ আসলেন?? তিনি তো দিল্লি এয়ারলাইন্সেও আসতে পারতেন। এই দাবী দিল্লিরো ছিল। কারন কি? সেটা তার মুখ থেকেই শোনা যাক।
"বংগবন্ধু তার বন্ধু ভারত কে মনে মনে বিশ্বাস করতেন না। ভারত দাবী করেছিল তিনি যেন দিল্লি এয়ারলাইন্স হয়ে আসেন। তাদের দাবী আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুস সামাদ আজাদ শেখ সাহেবকে জানান। কিন্তু তিনি সাফ জানিয়ে দেন, আমি ব্রিটিশ এয়ার লাইন্সই আসবো। কেন তিনি এই স্বিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তা আমাদের অজানা। "
১৯৭১ সালে ২৮শে ডিসম্বার তিনজন সংখ্যা লঘু নেতা দিল্লি যান মিসেস গান্ধীর কাছে দেন দরবার করতে। তাদের আব্দার ছিল বাংলাদেশকে যেনো ভারতের একটা প্রদেশ করে নেওয়া হয়। এই তিনজন মহান দেশপ্রেমকি সেতা ছীলেন মনোরন্জন ধর, ফনিভুষন মজুমদার এবং চিত্তরন্জন সুতার। কিন্তু শেখ সাহেব সরা সরি এই খবরই প্রত্যাখ্যান করেন। এবং প্রচন্ড বিরোধীতা করেন।
বর্তমান সরকারের অন্যতম তরুন নক্ষত্র সোহেল তাজের দেশপ্রমিক পিতার মুজিব নগর সরকার কি করেছিলেন তা আরও ভয়ংকর। তারা দিল্লির সাথে একটি গোপন চুক্তি করেন। কিন্তু শেখ মুজিব দেশে ফিরেই এই চুক্তি প্রত্যাখান করেন।শেখ মুজিব চুক্তির সকল অংশ প্রত্যাখান করে বললেন এই চুক্তি আমি মানিনা। তিনি এর সব স্বিদ্ধান্ত বাতিল করে দিলেন। অবিলম্বে দেশ থেকে সকল ভারতীয় কর্মকর্তা কর্মচারীকে বের হয়ে যাওয়ার আদেশ দিলেন।সিমান্তের তিন মাইলের মধ্যে অবাধ বানিজ্যের চুক্তি বাতিল করলেন। ভারতে পরামর্শ অনুযায়ী সেনাবাহিনী একিভুত কারা স্বীদ্ধান্ত প্রত্যাখান করলেন। এবং সেনা বাহিণী শক্তিশালী করার উদ্যোগ নিলেন। এই ব্যাপারে মন্ত্রী সভার বৈঠকে তীব্র বাক বিতন্ডা হল। তাজউদ্দিনের নেতৃত্বে একপক্ষ তার সেনাবাহীনির রাখার স্বিদ্ধান্তে বিরক্ত হল। শেখ সাহেব জানালেন তিনি পশ্চিম পাকিস্তান থেকে সামরিক অফিসারদের দেশে ফেরাবার উদ্যোগ নেবেন। এতে ভারতীয় সেনাবাহিণী বিরক্ত হয়ে প্রতাশ্যে বিবৃতিও দেয়া শুরু করল।
শেখ সাহেবের সবচেয়ে দেশ প্রেমক ময় কাজ করলেন মিসেস গান্ধির সাথে বৈঠকে। ফেব্রুয়ারীর শেষের দিকে সামরিক নায়কদের নিয়ে গান্ধী বৈঠকে বসেছিলেন শেখ সাহেব কে নিয়ে সেখানে তিনি সরাসরি দাবী করলেন কবে আপনি বাংলাদেশ থেকে সব সৈন্য প্রত্যাহার করছেন? শুনে মিসেস গান্ধী খুবই বিরকত্ হয়ে মানেক শর দিকে তাকালেন। তারপর বললেন আপনি যেদিন বলবেন সেদিনই।
শেখ সাহেব স্বিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি ওআইসির শীর্ষ সম্মেলনে যাবেন। এই ব্যপারে ইনডিয়ার পরামর্শে তাজউদ্দিন পন্থিরা তাকে পরামর্শ দেয় সেই সম্মেলনে না যাওয়ার জন্য। কিন্তু তিনি স্পষ্ট বলেন আমি লাহোর যাব এবং সম্মেলনে যোগ দিয়ে সদস্য পদ নেব। দেখি কে কি করে। এই ব্যাপারে একজন মন্তব্য করে শেক সাহেব বেশি বেড়েছে। এর জবাবে তিনি বলেন সবে তো শুরু দেখেন আমি কি করি।