ইসলাম আসহায় কে খুন করার অনুমতি দেয় না বলেই ইসলাম মেনে চলতে হলে পারমানবিক বোমা তৈরী ও ব্যবহার করা যাবেনা।
এই কথা বলেছন ইরানের ধর্মীয়নেতা আলী খমেনি।
সারা বিশ্ব যখন অস্ত্রের ঝনঝনানি আর মানবতা ধ্বংশের নোংরা আয়োজন চলছে তখন এই নেতা শুনালেন আমাদের ইসলামের সত্যিকাররে আদর্শ।
খবরটা পড়ুন
তেহরানের জুমা নামাজের অস্থায়ী খতিব ও প্রভাবশালী ইরানী আলেম আয়াতুল্লাহ সাইয়েদ আহমদ খাতামী বলেছেন, ইরানী জাতি যুক্তরাষ্ট্রের পুরনো প্রচারণা ও হুমকীর কাছে কখনও নতি স্বীকার করবে না এবং শত্রুদের যে কোনো উন্মাদনার কঠোর জবাব দেবে। তিনি ইরানের জাতীয় পরমাণু প্রযুক্তি দিবস উপলক্ষ্যে দেশবাসীর প্রতি অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, ইরান পরমাণু ক্ষেত্রে তার অধিকার রক্ষা করবে এবং ইরানী জাতি হুমকী প্রদানকারী শত্রুর মুখে প্রচন্ড চপেটাঘাত করবে। আয়াতুল্লাহ সাইয়েদ আহমদ খাতামী বলেন, ইরানের মুসলিম জাতি পরমাণু প্রযুক্তি অর্জনের চেষ্টা করছে, পরমাণু অস্ত্র নয় এবং এর কারণ, শত্রুদের ভয় নয়, বরং ইসলাম এর অনুমতি দেয় নি বলেই আমরা এ অস্ত্র লাভের চেষ্টা করছি না। ইসলাম ধর্ম যুদ্ধের সময় শত্রুদের পানিকে বিষাক্ত করার এবং তাদের শিশু ও বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের ক্ষতি করার, এমনকি গাছ-পালার ক্ষতি করার অনুমতি দেয় নি বলে তিনি স্মরণ করিয়ে দেন। আয়াতুল্লাহ সাইয়েদ আহমদ খাতামী বলেন, বিশ্ব সমাজ যদি বিশ্বের নিরাপত্তার ব্যাপারে উদ্বিগ্ন হয়ে থাকে, তাহলে তার উচিত দুই হাজার ৫০০'রও বেশী পরমাণু অস্ত্রের অধিকারী যুক্তরাষ্ট্রকে আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলতে বাধ্য করা, যে দেশটি জাপানের হিরোশিমা ও নাগাসাকি শহরে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করে নিজের জন্য চিরস্থায়ী কলংক বয়ে এনেছে। তেহরানের জুমা নামাজের অস্থায়ী খতিব বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যেখানেই গেছে সেখানেই লুন্ঠণ ও গণহত্যায় লিপ্ত হয়েছে; ইরাকসহ আফগানিস্তানই এর দৃষ্টান্ত, তাই বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য মার্কিন সরকারের বলদর্পীতার বিরুদ্ধে রুখে দাড়ানো জরুরী বলে তিনি মন্তব্য করেন।