খুব মন চায় যদি মন্ত্রী বা এমপি হইবার পারতাম। তাইলে সংসদে বসে লাশ নিয়ে টানাটানি করতে পারতাম। প্রতি মাসে হাজার হাজার টাকা ট্যাক্স দেই । আর আমাদের মন্ত্রীরা এই টাকা দিয়ে সংসদে মজা নে্য়। রাস্তায় মানুষ ঘন্টার পর ঘন্টা যানজট আর গরমে নাভিশ্বাস। দ্রব্যমুল্যের উধ্ধগতিতে দিশেহারা সাধারন মানুষ। লোডশেডিংয়ে অতিষ্ট জনগন। তারপরও এটা আল্লাহর বিশেষ রহমত যে দেশে এখনও টিকে আছে।
প্রথমে আসি আমাদের আইন প্রনেতাদের কথায়।
সর্বশেষ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ যে সব এমপিদের মনোনয়ন দিয়েছিল তারা বেশীরভাগই সভ্য পৃথিবীতে বসবাসের অনুপযুক্ত। তারা সংসদে যেয়ে কি করবে সেটা বুঝার ক্ষমতাও আমাদের নেই আর বুঝার দরকারও নেই। তবে আপনার যদি খুবই আগ্রহ থাকে তাদের কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে তবে আমাদের স্পিকারের বক্তব্যটি শুনুন।
আপনাদের যদি এতই আন্দোলনের আর লআইয়ের আগ্রহ থাকে তবে সংসদ নয়, পল্টন আছে, সংসদের সামনে বিশাল মাঠ আছে সেখানে যান । তারপর খালি গায়ে হাফপ্যান্ট পরে ভাল মত শরীরে ষরিষার তেল মাখুন। এরপর নেমে পড়ুণ।
এটা কোন কুস্তিগীরদের প্রতি নয়, নয় কোন বস্তির বান্দর ছেলপলেদের প্রতি। মহান স্পীকারের যুগান্তরী এই আহবান আমাদের মহান সংসদদের প্রতি।
সেদিন কোন্ পেপারে যেন দেখলাম সংসদে নাকি প্রতি মিনিটে ১০হাজার টাকা খরচ হয়। তাহরে তো স্পীকারে কথা ঠিকই আছে। তার কথার প্রতি সমমান প্রদর্শন করে এমপিরা মাঠে চলে গেলে আমাদের লাভ দুইটা।
এক, আমাদের কষ্টের টাকাটা বাচবে।
আর দুই, উল্টা এই লড়াইয়ের প্রদর্শনী দর্শকদের নিকট টিকেট বিক্রি কররে সংসদের বিশাল আয় হবে। আমি নিশ্চত এই প্রদর্শনীতে পাকিস্তান বাংলাদেশ ক্রিকেট ম্যাচের চেয়ে বেশি দর্শক হবে।
ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়া এখন শেষ পর্যায়ে। বংগবন্ধু ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন ১৯৬৫ সালে। ১৯৭১ সালে এই স্বপন বাস্তবায়নে আমরা এক গুরুত্বপুর্ন ধাপ অগ্রসর হয়েছিলাম। এরপর চলেছে ভিতরে ভিতরে পরিবর্তনের প্রক্রিয়া। ১৯৯৬ সালে আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশের চুড়ান্ত ধাপে অগ্রসর হই। আর এখন আমরা সেই কাংখিত ডিজিটাল বাংলাদেশের একদম দোড়গোড়ায়। আসুন আমরা কে পেয়েছি দেখী।
১. এখন থেকে আমরা আর ডেসকো বা ডেসার কাছে বিদ্যুত কিনবনা। ডিজিটাল বাংলাদেশের প্লান অুযায়ি সকল নাগরিক তার িনজ গৃহেই বুদ্যুত উৎপন্ন করতে হবে। তাই সরকার এখনই লোড শেডিং করে আমাদের দ্রুত বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য চাপ সৃষ্টি করছে।
২. এখনই নতুন প্রযুকত্ আপবিষ্কার করতে হবে, যেন আমরা মোমবাতি দিয়ে কম্পিউটার, টেলিভিশন , ফ্যান চালাতে পারি।
৩. দেশের সব মানুষের কাছে ইন্টারনেট পৌছে দেওয়ার বংগবন্ধুর স্বপ্ন এইবার সফল করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এই জন্য ৫০০ টাকার ইনটারনেট লাইন এখন পাওয়া যাচ্ছে ১২০০ টাকায়। আর সীমাহিন স্পিড তো আছেই। ১.৫৫৫৫ কি বিট পর মিনিট।
৩. আরও কত কি ? সেগুলো না হয় নাই বললাম।
আর যানজট সম্পর্কে আর কি বলভ? আমি আসলে এই টপিকে আসলেই আবেগ প্রবন হয়ে পড়ি। তাই আর বলত চাইনা। শুধু একটা কথাই বলভ এই স্বপ্নটা দেখে বংগবন্ধুও আবেগপ্রবন হয়ে পড়তেণ । যে বাংলার পথে প্রান্তরে মানুষ আর গাড়ি আর গাড়ি। সবাই গাড়ি নিয়ে রাস্তায় দাড়িয়ে থাকবে। আর বাইরের দেশের মানুষরা বলবে এই দেশটা কি বড় লোকরে! কত গাড়ি।