আসলটা পড়ুন
বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ইশতেহারে প্রধান বক্তব্য যুদ্ধাপরাধিদের বিচার। তারা পারলে আজকেই বিচার করে। প্রতিদিন সভা সমাবেশ করে তারা দেশ নাড়া দিয়ে দিচ্ছেন। তাদের দাবী শিবির তাদের এই সুকর্মের পিছে(সামনে লিখলাম না) এক মাত্র বাধা। যা হোক আমরা একটু ইতিহাম পর্যারোচনা করি।
১৯৯২ সালের ২৬ শে মার্জ জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে ঘাতক দালাল নির্মুল কমিটি গোলাম আযমের ফাসি তো প্রায় দিয়েই ফেলেছিলেন। তখন কে ফাসি ঠেকালো?? গোলাম আযমকে গ্রেফতার তো বিএনপিই করেছিল। এই প্রশ্ন কারও মনে উঠতেই পারে্ । তার ফাসি সেদিন কেন হলনা?? তাহরে তো জাতি অন্তত এই একটা ঝামেলা থেকে মুক্ত হতে পারত। কিছু বলার আগে এই ছবিটা দেখুন।
এই মিটিং টা করার সময় নিজামী যুদ্ধাপরাধী ছিলেননা। তাহলে আরও একটা যুদ্ধ হয়ে ৭১ এর পর। সেটার নাম কি??
সত্য জানার সাহস রাখাটাও অনেক বড় ব্যাপার
এবার আসি মুল কাহিণীতে।
গোলাম আযমের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপরাধ কার্যক্রমের অভিযোগে গন আদালতে ফাসির রায় হয়। সেই রায় বাস্তবায়নের দাবীতে শুরু হয় গন আন্দোলন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে জামায়াত এবং আওয়ামীলিগের মধ্যে গোপন বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। তাদের লিয়াজো করেন শেখ হেলাল। তার বাসায় গোপন বৈঠক হয় স্বঘোসিত রাজাকার নেতা গোলাম আযম ও গনতন্তের মানসকন্য মুক্তিযুদ্ধ কন্যা শেখ হাসিনার।
মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত হয় গোলাম আযমের ফাসির দাবীতে যেই আন্দোলন তা বন্ধ করার দায়িত্ব শেখ হাসিনার। আর জামায়াতের কাজ হল বিএনপির সাথে সব সম্পর্ক বন্ধ করে সরকার বিরোধি আনদালনে যোগ দেয়া।
প্রতিশ্রুতি রেখেছিলেন দুই নেতাই। নিবিড় এবং আনতরিক সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল এর পর গোলাম আযম এবং হাসিনার মধ্যে। গোলাম আযম মুক্তি পান সেই সময় আর জামায়াত আওয়ামীলীগকে সাহায্য করে ক্ষমতা লাভ করার জন্য।
এখন কেন হটাত আওয়ামী লীগ যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে এত সক্রিয় সেই প্রশ্ন আমার পাঠকদের কাছে।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ সকাল ১১:১৯