somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ওষুধ সম্পর্কে ২০টি পরামর্শ !

০৩ রা জুলাই, ২০১৩ সকাল ৯:৩৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

১। নিজের ইচ্ছামতো, অনুমান করে, আত্মীয় বা পড়শির (যাঁরা চিকিৎসক নন) পরামর্শ কিংবা দোকানির দেওয়া ওষুধ সেবন করবেন না।

২। রোগ নির্ণয়ের আগেই উপসর্গের শুরুতে ওষুধ সেবন করবেন না।

৩। সর্দি-কাশিতে অ্যান্টিহিস্টামিন-জাতীয় ট্যাবলেট, সিরাপ বা কাশির সিরাপের কোনো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেই। তবু সামান্য ভালোর জন্য অনেকেই টানা কয়েক দিন অ্যান্টিহিস্টামিন-জাতীয় ওষুধ সেবন করে থাকে, যা ঠিক নয়।

৪। অ্যান্টিবায়োটিক, স্টেরয়েড ও নেশাজাত-এ তিন ধরনের ওষুধ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া নিজে নিজে কিনে সেবন করবে না।

৫। অসুখ হলেই সাধারণ চিকিৎসকের কাছে না গিয়ে বিশেষজ্ঞের কাছে যাওয়ার প্রবণতা বাদ দিতে হবে। কেননা, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ ফি ও নানা রকম পরীক্ষার জন্য বেশ অর্থের প্রয়োজন হয়। এসব এড়াতে অনেকেই স্বনির্বাচিত ওষুধ ব্যবহার করে থাকে।

৬। শিশুদের ক্ষেত্রে ন্যালিডাক্সিক এসিড, সিপ্রোফ্লক্সাসিলিন, কিশোর-বয়সীদের ক্ষেত্রে টেট্রাসাইক্লিন খুব সতর্কতার সঙ্গে ব্যবহার করতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ প্রয়োগ করতে হবে।

৭। পেপটিক আলসারে অ্যাসপিরিন, কিডনির অসুবিধায় সালফার-জাতীয় ওষুধ ব্যবহার না করা উত্তম।

৮। একসঙ্গে একাধিক অ্যান্টিবায়োটিক সেবন না করা ও নির্ধারিত বিরতি অর্থাৎ ছয় বা আট ঘণ্টা পর অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করতে হবে। ভরাপেটে অ্যান্টিবায়োটিক খাবেন না, খাওয়ার আধঘণ্টা বা এক ঘণ্টা পর খাওয়া অধিক কার্যকর।

৯। নির্ধারিত সময় পর্যন্ত অর্থাৎ পুরো কোর্সটি সম্পূর্ণ খাবেন। কিছুটা ভালো হওয়ার পর অ্যান্টিবায়োটিক বাদ দেবেন না, এতেও ওষুধটি পরে আর শরীরে কাজ করবে না।

১০। ওষুধ চলাকালে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, যেমন শরীরে লাল দাগ বা দানা, চুলকানি, চামড়ায় ফুস্কুড়ি দেখা দিলে ওষুধ খাওয়া বন্ধ করে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। ওই ওষুধটির নাম মনে রাখবেন, যাতে পরে আপনি চিকিৎসককে বলতে পারেন।

১১। অ্যাজমা বা হাঁপানি, শ্বাসকষ্টের অসুখসহ দীর্ঘমেয়াদি রোগে স্টেরয়েড তাড়াতাড়ি উপশম এনে দিলেও শরীরের রোগ-প্রতিরোধক্ষমতা কমিয়ে দেয়। শিশু-কিশোরদের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ব্যাহত করে, অন্য ওষুধের কার্যকারিতা কমিয়ে দেয়। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া স্টেরয়েড-জাতীয় ওষুধ সেবন করবেন না। স্টেরয়েডযুক্ত চোখের ড্রপ, ত্বকের মলমও চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ব্যবহার করবেন না।

১২। সর্দিজ্বর, গা ব্যথা হলে প্যারাসিটামল ট্যাবলেট ও শিশুদের বয়স অনুযায়ী সাসপেনশন দেওয়া যেতে পারে। দু-তিন দিনে অবস্থার পরিবর্তন না হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

১৩। অ্যাসপিরিন, ডাইক্লোফেনাক খালিপেটে খাবেন না।

১৪। অ্যান্টিহিস্টামিন, ভিটামিন, আয়রন অপ্রয়োজনে খাবেন না।

১৫। পুড়ে গেলে মলম না লাগিয়ে ঠান্ডা পানি দিয়ে জায়গাটি ধুয়ে পেট্রোলিয়াম জেলিযুক্ত গজ লাগাতে পারেন। জায়গাটি না ঢেকে বাতাস চলাচলের জন্য খোলা রাখুন।

১৬। মচকে গেলে বা ব্যথা পেলে প্রথমে ঠান্ডা পানি দেবেন, পরে গরম সেঁক দিতে পারেন। ব্যথার মলম দেওয়ার দরকার নেই। ব্যথার জন্য ব্যথানাশক ইনজেকশন, শরীর দুর্বল লাগলে অযথা ভিটামিন-জাতীয় ইনজেকশন নেবেন না।

১৭। শিশুদের অ্যান্টিবায়োটিক সিরাপ একবার তৈরির পর খাওয়া শেষে অবশিষ্ট অংশ সংরক্ষণ করবেন না।

১৮। নাক দিয়ে পানি পড়লেই নাকের ড্রপ ব্যবহার করবেন না। গরমপানিতে সামান্য একটু মেনথল দিয়ে ভাপ নিলে উপকার পাবেন।

১৯। গলা খুসখুস করলে অ্যান্টিহিস্টামিন না খেয়ে গরমপানির গড়গড়া করলে উপকার পাবেন।

২০। বাসার সব ওষুধ শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।

(সংগৃহীত)
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ সকাল ৯:৩৮
৫টি মন্তব্য ০টি উত্তর

১. ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ সকাল ৯:৪৯

সাদা রং- বলেছেন: আমার তো মনে হয় এ দেশে রোগীর ছেয়ে ডাক্তার বেশী, সবাই নিজে নিজে ডাক্তারি করে, ফ্রি পরামর্শ পাওযা যায়।

২. ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:৪৯

সাজিদ ঢাকা বলেছেন: পোষ্টে +++

৩. ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:১৫

বটের ফল বলেছেন: একগুচ্ছ প্লাস।

++++++++

৪. ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:২৮

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



প্রয়োজনীয় পোস্টে ++++++++ রইল। আমরা অনেকেই না জেনে ডাক্তারের পরামর্শ ছারাই ওষুধ খাই যেটা মোটেও উচিত নয়।

৫. ১৩ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:৫২

ময়নামতি বলেছেন: কাজের লেখা,ভাল লাগা পোস্ট ++++++++++++

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সংসদের দ্বিকক্ষবিশিষ্টকরণ: বিশ্বের অভিজ্ঞতা ও বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট

লিখেছেন শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু, ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১১:৩০

বাংলাদেশের সংবিধান সংস্কার কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী, সংসদকে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট করার প্রস্তাবটি বর্তমানে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। এই নিবন্ধে আমরা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সংসদীয় পদ্ধতির বৈচিত্র্য এবং বাংলাদেশের বর্তমান সংসদীয় ব্যবস্থার সাথে এর তুলনা... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারত-আফগানিস্তান কূটনীতি, ক্রিকেট ও বৈশ্বিক বাস্তবতা প্রসঙ্গে!

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১২:৪০


কথায় আছে শত্রুর শত্রুকে বানাতে হয় বন্ধু- এই প্রবাদ ভারত ও আফগানিস্তানের সমসাময়িক কূটনীতিক তৎপরতার প্রেক্ষিতে সবচেয়ে বেশি প্রযোজ্য। পাকিস্তান ও আফগানিস্তান... ...বাকিটুকু পড়ুন

সু-স্বাগতম হে সহযাত্রী

লিখেছেন জটিল ভাই, ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৫:৪১

♦أَعُوْذُ بِاللهِ مِنَ الشِّيْطَانِ الرَّجِيْمِ (বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহ্'র নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি)
♦بِسْمِ ٱللَّٰهِ ٱلرَّحْمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ (পরম করুণাময় অসীম দয়ালু আল্লাহ্'র নামে)
♦ٱلسَّلَامُ عَلَيْكُمْ (আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক)



আগেই বলে নিচ্ছি... ...বাকিটুকু পড়ুন

জুলাই মাসে কোন আন্দোলন বা বিপ্লব হয়নি, ইহা ছিলো আমেরিকান এম্বেসীর আরেকটি ক্যু

লিখেছেন জেনারেশন৭১, ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:০৫



১৯৭৫ সালের ১৫ই আগষ্ট'এর পর আমেরিকান এম্বসী আরেকটি বড় ক্যু করেছিলো এরশাদকে ক্ষমতা দখলে সাহায্য করে; এরপর আরেকটি বড় ক্যু করে শেখ হাসিনার সরকারের পতন ঘটায়েছে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধানসিঁড়িটির তীরে

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৮:৫৫



ধানসিঁড়িটির তীরে স্বপরিবারে ঘুরতে গেলাম। শালিক সাহেব পিছনে এসেই বসলেন। মেয়ে ছবি তুলতে গেলেই উড়ে গেলেন। বকের ঝাঁক কয়েকবার মাথার উপর দিয়ে টহল দিলেন। ছাগল ছানা খেলছিল বেশ... ...বাকিটুকু পড়ুন

×