ডিএমপির শর্তে বলা হয়েছিল সমাবেশ শুরুর দুই ঘণ্টা আগে কেউ নয়াপল্টনে আসতে পারবে না। কিন্তু আজ সকাল নয়টার মধ্যে নয়াপল্টন এলাকা দখল(!) করে নিয়েছে জামায়াত-শিবির। বাংলানিউজ২৪- লিখেছে-
খালেদা জিয়া ঘোষিত মহাসমাবেশে ব্যাপক শো-ডাউন দিচ্ছে জামায়াত। আজ সোমবার দুপুর ২টায় এ সমাবেশ শুরুর কথা থাকলেও সমাবেশস্থল নয়াপল্টন ও এর আশপাশে সকাল থেকেই ব্যানার-ফেস্টুন-পোস্টার নিয়ে অবস্থান নেয় জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা।
সমাবেশ স্থলে বিএনপি, চার দলীয় জোটে তাদের শরিক ও সমমনা দলগুলোর জন্য সংরক্ষিত স্থানগুলো বেলা ১১টা পর্যন্ত মোটামুটি খালি থাকলেও জামায়াত-শিবিরের জন্য সংরক্ষিত স্থানগুলো কানায় কানায় ভরে যায় সকাল ন’টার আগেই।
এদিকে নিজস্ব নিরাপত্তা পরিকল্পনায় বিএনপির সহযোগী সংগঠনগুলোর ছয় শতাধিক কর্মী থাকার কথা থাকলেও এর মধ্যে এক তৃতীয়াংশ শিবির কর্মী বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। বাংলানিউজের সংগ্রহ করা ওই নিরাপত্তা ম্যাপ অনুযায়ী মঞ্চের কাছেই ‘সংরক্ষিত’ অঞ্চলে দেড়শ’ শিবির কর্মীকে মোতায়েন রাখা হয়েছে।
সব মিলিয়ে নয়াপল্টন জুড়ে যেন শিবিরেরই দাপুটে বিচরণ দেখা গেছে।
এ খবর যদি সত্যি হয় তাহলে এটাকে ডিএমপির নির্দেশের বরখেলাপই বলতে হবে। সাহারা খাতুন এবার নিশ্চয়ই হাজার হাজার জামায়াত-শিবির কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করবেন। আর ডিএমপি যেহেতু জনতার বাধভাঙ্গা জোয়ার রুখতে ব্যর্থ হয়েছে সেহেতু ডিএমপি কমিশনার নিশ্চয়ই পদত্যাগ করবেন। অবশ্য এ সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেয়া যায় না- সরকারের পায়ের নিচের মাটি সরে যেতে দেখে হিরক রাজার মত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী, পুলিশ প্রধানসহ সরকারের লাঠিয়াল বাহিনী জনতার কাতারের শামিল হবেন।