আয়নায় তাকালে প্রেমিকে দেখতে পাই,
শীতনিদ্রায়-
হাওয়ায় তার নগ্ন শরীর উড়ছে
সুযোগ পেলে আছড়ে ভাঙছে কূলে।
চোখ বুজতে শুনতে পাই
একশ ফড়িঙের গান,
গত বসন্তে ওরা মরে গিয়েছিল,
এপিটাফটায় ছিল
ফাল্গুন, ১৩৮০
বজ্রডাকেও কিছুটা নির্জনতা থাকে,
কিছুটা আবেগ-
অদৃশ্য ভায়োলিন যাদের জাগিয়ে দিয়েছে
আমায় ক্ষ্যামা দিয়ো,
সে শোকের ভাগি আমি হবো না ভগবান!
পষ্ট মনে আছে
ভাল ঘোড়া ওড়াতে তুমি,
সাগর ফুঁড়ে কুড়ে আনতে প্রভাত!
সে বার শ্রাবণে যে বার,
ফুটলো না একটিও কদম,
উড়ল না সাদা ফড়িং,
বৃষ্টি হলো না-
কৃষ্ণ বটতলায় আমরা পাহাড় এঁকেছিলাম ;
ভূমিকম্পের ঘণ্টা দুয়েক আগে অনুরোধের স্বরে তুমি যখন বলেছিলে-
একটা কথা রাখতে পার?
কেয়ামত অব্ধি বলে
প্রতিজ্ঞা করেছিলাম তোমার মনে নেই?
মনে নেই প্রিয় পিশাচীনি?
"বড় ভুলো ছিলাম,
বড্ড ভুল ছিল ইসরাফিল!"
ভুলে গ্যাছো বলে অস্বীকার করবে এ তোমার ধৃষ্টতা,
আমায় ইশ্বর ভেবো না!”
পঞ্জিকা দেখো,
ভোর ভুলে কত দাগ-ই আমরা কেটেছিলাম,
কত্ত দলান!
ফজরের কুকুররা যখন ঘেউ ডেকে আসতো
ভয়ে তুমি কেঁপে কেঁপে উঠতে
বেহায়া ঠোঁট তখন ছুঁতো তোমার রাগ,
কোণঠাসা চিবুক,
তুমি সকাল যেই না দিতে বলে
বৃষ্টি হয়ে ঝরে যেত কুয়াশা!
কত শতাব্দী ছিল সে সকাল!
কত দীর্ঘ ছিল সে শতাব্দী!
অথচ এই শেষ জমানায় এসেও
আয়নায় তাকালে
কোনো কোনো দিন তোমায় শীতনিদ্রায় দেখি
চোখ বুজতেই শুনতে পাই একশ ফড়িংয়ের গান
আরো দেখতে পাই সাগর
দোতলায় এপিটাফ
অদৃশ্য ভায়োলিন;
কে জানতো!
কে জানতো জলেই তোমার ভয়,
তাহলে বেঁচে নৌকো কেনাতাম?
তারপর থেকেই আমি শিবের উপাসক;
উড়িয়ে দিয়ে ক্রুশ
পুড়িয়ে দিলাম বাইবেল
কোরান মুড়িয়ে ঠোটে ধরালাম সিগারেট,
আফিম ছাইয়ে পাহাড় গুড়িয়ে গেলে
ফিসফিসিয়ে যীশু এসে বলতো-
আদেশ করুন পিতা !
হুংকার দিয়ে বলতাম
-কুন
ফাইয়াকুন।
ভেঙে যেত আয়না
ধ্বংস হতো পৃথিবী!
প্রতিজ্ঞারাও মুক্তি পেতো;
সঙ্গমকে আর শীতনিদ্রা বলতে হবে না ভেবে
টুটি চেপে ধরে বলতাম-
জল্লাদ হবো
আমায় কলমা পড়াও মোহাম্মদ!
“পাপি তো আমি ঈশ্বর কে মেরেই হয়েছি
তুমি আমায় কী শাস্তি দিবে জাহান্নাম!”
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:৫০