টিকে থাকার জন্য মানুষে ঐক্যবদ্ধকরণ দরকার ছিলো, ফলাফল সমাজ। সামাজিক বিভক্তি গড়ে তুলেছিলো সংস্কৃতি। ধর্ম মূলত ভীতি আর সংস্কৃতির একটি সফল সংমিশ্রণ। মানুষের কল্পনার শক্তি সীমাবদ্ধ হওয়ায় সামাজিক যে যে অঞ্চলে তারা ভাগ হচ্ছিলো তার সংস্কৃতিকে মূল ধরে তৈরি করেছিলো ধর্ম। ধর্মীয় যে বোধের (মূল্যবোধ) কথা বলা হয় তা আসে আসলে ভীতি থেকে। ভয় থেকে যা হয় তা কখনো মূল্যবোধ নয়। ধর্মীয় সংস্কৃতি, ধর্মীয় মূল্যবোধ বিশেষণের দুটি ভুল প্রয়োগ, ধারণাটিই একটি ভুল ধারণা।
ইসলামিক নয়, বলুন আরব্য সংস্কৃতি।
মূল্যবোধ ধারণাটি আপনা আপনি তৈরি হয় নি। আপনা আপনি আসলে কিছুই সৃষ্টি হয় না, উদ্ভব করতে হয়। মানবজাতি টিকে থাকার স্বার্থে মূল্যবোধ ধারণাটি উদ্ভব করেছে। আদিম যুগে পেশি শক্তিবলে যে অস্থিতিশীলতা দেখা দেয় তার দমনে, সমাজকে টিকিয়ে রাখার জন্য একটি ধারণার দরকার হয়েছিলো। মূল্যবোধ হলো সেই অতি উন্নত ধারণা, যার প্রয়োগ মানবজাতিকে ভেঙে পড়ার হাত থেকে বাঁচায়।
মূল্যবোধের অবক্ষয় হচ্ছে সাংস্কৃতিক অস্থিতিশীলতা। ভিন্ন ভিন্ন সমাজে স্থিতি আনার জন্য বিভিন্ন ধরণের ধারণার দরকার হয়েছিলো। ফলে এই মূল্যবোধের বৈচিত্র্য। মূল্যবোধ যেহেতু সংস্কৃতি কেন্দ্রিক, আজকে যখন দূরত্ব কমে এসেছে সাংস্কৃতিক ভিন্নতা মূল্যবোধের বিচিত্রিতাকে ঠিক মতো গ্রহণ করতে পারছে না। এক সমাজে যেটি মূল্যবোধের অবক্ষয়, অন্য কোথাও হয়তো সেটি সংস্কৃতিরই অংশ।
টিকে থাকা এবং উন্নত হওয়ার স্বার্থে যেমন সমাজ ধর্মের উদ্ভব, একই স্বার্থে মূল্যবোধের এই বৈচিত্র্যকে অবক্ষয় না ভেবে এর সাথে অভিযোজিত হওয়াই হবে মানুষের মতো কাজ ।
Merry Christmas!
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:১১