somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বই বিনিময়ে কেন এই অনীহা?

২১ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
"বই পড়ুয়া মানুষগুলো প্রেমিক/প্রেমিকা হিসেবে চমৎকার। বই পড়ুয়ারা চমৎকার রুচিবোধ সম্পন্ন, উচ্চ ব্যক্তিত্বসম্পন্ন মানুষগুলো বইপোকা হয়"


বই পড়া বর্তমানে একটা ট্রেড হয়ে দাঁড়িয়েছে। ট্রেড দণ্ডের নিজের সূচক সুউচ্চ রাখার জন্য বই পড়ার দিকে ঝুকে পড়ছে মানুষ। কে কতগুলো বই পড়লো কার ব্যক্তিগত সংগ্রহ আজকাল আলোচনার হট টপিকে পরিণত হচ্ছে। কোমল বাক্য বিনিময় হচ্ছে জাগায় জাগায়।

মানুষ বই পড়ার দিকে ঝুঁকে পড়ছে তা সত্যিই ভাল খবর। পাশাপাশি কিছু খারাপ খবরও আছে।

এই মানুষগুলো বইয়ের আসল উদ্দেশ্য অনুধাবন করতে পারছে না। বই মানুষকে আলোকিত করার জন্য রচিত এই মূল মন্ত্র এড়িয়ে বই পড়ুয়া ট্যাগটিই মুখ্য হয়ে উঠছে আলোচনায়। ফলে বই সংগ্রহ, বুকশেলফ ভারি করার প্রবনাতা জনপ্রিয় হচ্ছে দিনে দিনে। সংগ্রহের মালিক হওয়ার সচেতন একটা তাড়না তাড়া করে বেড়াচ্ছে বইপোকা প্রজন্মকে। এতে করে বইকে ঠিক বইয়ের মত করে নিতে পারছি না আমরা। বইকে আমরা নিচ্ছি নিজের রুচি ও পাণ্ডিত্য প্রকাশের একটা স্কেল হিসেবে। আমরা জানার জন্য বই পড়ছি না, বই পড়ছি পড়ার লিস্টটি বড় করার উদ্দেশ্যে। আমরা পড়ার জন্য বই কিনছি না, বই কিনছি বুকশেলফ ভারি করার উদ্দেশ্যে। লিস্ট বড় বা বুকশেলফ ভারি করার এই মানসিকতা বই যে মানুষকে আলোকিত করার জন্য রচনা করা হয়ে থাকে তা অনুধাবন করতে দিচ্ছে না। যেহেতু এই অনুধাবনটা আমাদের মধ্যে তৈরি হচ্ছে না, বই নিলে বই যে ফেরত দেয়া উচিত সেই বোধটাও আমাদের সৃষ্টি হচ্ছে না।

এই প্রবৃত্তিকে অনুপ্রেরণা দিচ্ছে আমাদের বই সংগ্রহের সংস্কৃতি। আমার সংগ্রহে এতোটি বই আছে বলতে চাওয়ার এই আকাঙ্ক্ষা বই পড়ার মূল উদ্দেশ্যকে ব্যহত করছে বুঝেও বুঝিনি ভাণ করে থাকছি আমরা।


ভুলঃ বইগুলো আমার।
সঠিকঃ বইগুলো আমার কাছে রয়েছে।


বই অনেককাল ধরে ঘর সাজানোর কাজে ব্যবহারিত হয়ে আসছে। পড়তে পছন্দ করেন না তার বসার ঘরে শেলফ ভর্তি বাহারি বই! বই ঘরের সৌন্দর্য বৃদ্ধির কাজে লাগানো হচ্ছে।

বই হারানোর ভয় আমার মধ্যেও কাজ করছে যেহেতু চেতনার মধ্যে আমার বিশাল সংগ্রহের মালিক হওয়ার বাসনা। বিশ্বাসের জায়গাটি ঐভাবে তৈরি হচ্ছে না ফলে। অথচ অবাধ বই বিনিময় একটা সংস্কৃতি হতে পারে। যেখানে সবাই সবার কাছে থাকা বইগুলো পড়তে দেবে। যেখানে কোনো বই হারানোর ভয় থাকবে না। ভয়ের চেয়ে জ্ঞান ছড়িয়ে দেয়ার আনন্দই যেখানে মুখ্য হবে।
বই বিনিময়ের সংস্কৃতি একদিনে গড়ে উঠবে না এটা সত্য কথা, আমরা সবাই মিলে কাজ করলে এটা গড়ে তোলা সম্ভব!

"বই বিনিময় হোক সামাজিক প্রথা" শিরোনামে বই বিনিময়কে জনপ্রিয় ও নিরাপদ করার জন্য ইচ্ছে লাইব্রেরী নামে একটি উন্মুক্ত প্লাটফর্ম তৈরি করার জন্য আমরা কাজ করছি। আপনারা সকলেই আমন্ত্রিত!

লিংকঃ https://www.facebook.com/groups/icche.library/

সর্বশেষ এডিট : ২১ শে জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৭
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

পার্বত্য চট্টগ্রাম- মিয়ানমার-মিজোরাম ও মনিপুর রাজ্য মিলে খ্রিস্টান রাষ্ট্র গঠনের চক্রান্ত চলছে?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:০১


মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী লালদুহোমা সেপ্টেম্বর মাসে আমেরিকা ভ্রমণ করেছেন । সেখানে তিনি ইন্ডিয়ানা তে বক্তব্য প্রদান কালে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী chin-kuki-zo দের জন্য আলাদা রাষ্ট্র গঠনে আমেরিকার সাহায্য চেয়েছেন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাসান মাহমুদ গর্ত থেকে বের হয়েছে

লিখেছেন শিশির খান ১৪, ০৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:১২


যুক্তরাষ্ট্রের একটি বাংলা টেলিভিশন চ্যানেল হাসান মাহমুদের সাক্ষাৎকার প্রচার করেছে। আমি ভাবতেও পারি নাই উনি এতো তারাতারি গর্ত থেকে বের হয়ে আসবে। এই লোকের কথা শুনলে আমার গায়ের লোম... ...বাকিটুকু পড়ুন

দারিদ্রতা দূরীকরণে যাকাতের তাৎপর্য কতটুকু?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:১৮



দরিদ্র দূরীকরণে যাকাতের কোনো ভূমিকা নেই।
যাকাত দিয়ে দারিদ্রতা দূর করা যায় না। যাকাত বহু বছর আগের সিস্টেম। এই সিস্টেম আজকের আধুনিক যুগে কাজ করবে না। বিশ্ব অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

শেখস্তান.....

লিখেছেন জুল ভার্ন, ০৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:১৫

শেখস্তান.....

বহু বছর পর সম্প্রতি ঢাকা-পিরোজপু সড়ক পথে যাতায়াত করেছিলাম। গোপালগঞ্জ- টুংগীপাড়া এবং সংলগ্ন উপজেলা/ থানা- কোটালিপাড়া, কাশিয়ানী, মকসুদপুর অতিক্রম করার সময় সড়কের দুইপাশে শুধু শেখ পরিবারের নামে বিভিন্ন স্থাপনা দেখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেকালের বিয়ের খাওয়া

লিখেছেন প্রামানিক, ০৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:৪৮


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

১৯৬৮ সালের ঘটনা। বর আমার দূর সম্পর্কের ফুফাতো ভাই। নাম মোঃ মোফাত আলী। তার বিয়েটা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল। বাবা ছিলেন সেই বিয়ের মাতব্বর।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×