somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

যায়যায়দিন’র মহামান্য সম্পাদক সমীপেষু...

২৮ শে জুন, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:০২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


জনাব, আপনি ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব নেবার পর শফিক রেহমানের ( ডবল স্ট্যান্ডার্ড মেইনটেইন না করা) যায়যায়দিনকে খোল নলচে পাল্টে ফেলছেন। তবে এ কারণে আপনাকে ধন্যবাদ জানাতে পারছি না। কারণ শফিক রেহমান যে আইডিয়া নিয়ে ছিলেন আপনি সে আইডিয়ায় নেই। সিনে ম্যাগাজিনের আইডিয়া নিয়ে আপনি ঝাপিয়ে পড়ছেন যায়যায়দিন সাজাতে। তাই উদ্ভট আর হাস্যকর পৃষ্ঠার নাম ( বাণিজ্যে বসতি লক্ষী ও বাংলাদেশের হৃদয় হতে) দেখতে হচ্ছে। এসব আইডিয়া আর যাই হোক একটি জাতীয় দৈনিক (অন্তত যায়যায়দিন) হতে পারে না।
কেউ স্বীকার করুক আর নাই করুক সম্পাদক হিসেবে শফিক রেহমান একজন শিক্ষিত ও আধুনিক সম্পাদক। তার আইডিয়াও ব্যতিক্রম ধর্মী। সেকেলে ফর্ম নিয়ে তার পত্রিকা করেন নি। আর তা জানান দিয়েছিলেন পত্রিকার শুরুর দিকে। যায়যায়দিন আমাদের পত্রিকা জগতে একটি বাড়ি দিয়েছিল তা দুর্জনেরাও শিকার করেন। কিন্তু অস্থিরমতি স্বভাব ও একগুয়েমির কারণেই তিনি আজ লক্ষ্যচ্যুত। হারিয়েছেন লন্ডনের বাড়িটিও (বন্ধ হওয়ার পর বেতন পরিশোধ করতে গিয়ে, শোনেছি), সাথে অপপ্রচারে সম্মানও গেছে!! এখন বিনা পয়সায় শুধু বিল্ডিং লোন পরিশোধ করে এইচআরসি আজ পত্রিকা, বিল্ডিংসহ যায়যায়দিনের সব সত্ত্বের মালিক। আর তার বদৌলওত আপনি বিশাল একটি প্রতিষ্ঠানের সম্পাদক হয়ে কাসুন্দি ঘাটছেন। জপাই রঙ্গের পোষাকওলাদের ছবি প্রতিদিন ছাপিয়ে আতœতৃপ্তিতে ভোগছেন। কারণ তিনাদের বদৌলতেই আপনি এই অবস্থানে আসতে পেরেছেন। এখন নিজের ঢোল নিজেই পিঠাচ্ছেন। সাবাশ! খান! একটি স্মরণিকা বানাতে আপনি আর আপনার ব্যবস্থাপনা সম্পাদক মহোদয় প্রতিদিনই লেখা পাঠানোর আহবান জানাচ্ছেন। ধন্যবাদ!!
আপনি সম্পাদক হিসেবে জয়েন করার পর জাতিকে যা দিচ্ছেন তা কোনো মতেই একটি ভালো জাতিয় দৈনিকের ‘‘ বিশেষ সম্পাদকীয়’’ পর্যায়ের নয়। সম্পাদক মহোদয়রা তো বিশেষ বিশেষ সময়ে ( প্রতিদিন আপনার মতো বালকসুলভ আবর্জনা নয়) লিখেন। কেউ পড়–ক আর নাই পড়–ক সে চিন্তা না করে যে আপনার লেখা মাশাআল্লাহ চালিয়ে যাচ্ছেন সে জন্য...। দাম কমিয়েও পাঠককে গিলাতে পারছেন না। জানেন দাম কমার পর সার্কলেশন আরো কমেছে।
আপনার এসব লেখায় আমরা নিয়মিত পাঠকরা বিরক্ত। দুঃখ হয় এমন একটি সম্ভাবনাময় পত্রিকার বারোটা বাজা আপনার হাতেই সম্পন্ন হবে!!









৩টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বিচারের জায়গা না পেলে মানুষ প্রেত হয়ে ওঠে

লিখেছেন শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু, ১২ ই মে, ২০২৫ সকাল ১১:৩৯


(সামাজিক অবিচার, রাষ্ট্রীয় অনুপস্থিতি এবং আন্ডারওয়ার্ল্ড কাঠামোর মধ্যে সাধারণ মানুষ কীভাবে হারিয়ে যায়।)

মানুষ যখন বারবার অবিচারের শিকার হয়,... ...বাকিটুকু পড়ুন

=একদিন এসো সন্ধ্যে ফুরোলেই=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১২ ই মে, ২০২৫ বিকাল ৩:৪৫



ভালোবাসা ছড়ানো পাতায় পাতায়, সবুজাভ স্নিগ্ধ প্রহর আমার
এখানে উঁকি দিলেই মুগ্ধতারা চুয়ে পড়ে টুপটাপ;
ধূসর রঙ প্রজাপতিরাও এখানে রঙিন ডানায় উড়ে,
কেবল অনুভূতির দোর দিতে হয় খুলে, চোখগুলো রাখতে হয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

চীনের জে-১০ যুদ্ধবিমান কোনো চকচকে ল্যাব বা বিলাসবহুল ফ্যাক্টরিতে জন্মায়নি

লিখেছেন নাঈম আহমেদ, ১২ ই মে, ২০২৫ বিকাল ৪:২৬

চীনের জে-১০ এর পেছনেও রয়েছে সেই ত্যাগ আর সংকল্পের গল্প—
১: গবেষণা ও উন্নয়ন (R&D) দলের অক্লান্ত পরিশ্রম।
২: বাইসাইকেলে চেপে কাজে যাচ্ছেন প্রধান প্রকৌশলী সু চিশৌ।
৩: প্রথম উড্ডয়নের পর কেঁদে... ...বাকিটুকু পড়ুন

Bangladesh bans ousted PM's Awami League under terrorism law

লিখেছেন মেঠোপথ২৩, ১২ ই মে, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৫৬





হায়রে এরেই বলে কর্মফল। ১৭ টা বছর গুম , খুনের মাধ্যমে এক ভয়ের রাজ্য তৈরী করে কেড়ে নেয়া হয়েছিল মানুষের বাকশক্তি। চোখ, কান, মুখ থাকতেও... ...বাকিটুকু পড়ুন

দিন গেলে আর দিন আসে না ভাটা যদি লয় যৌবন

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১২ ই মে, ২০২৫ রাত ১০:২৬


এমন কোনো ইস্যু আছে, যা নিয়ে জাতি পুরোপুরি একমত? ৫০%ও একমত এমন কোনো বিষয় চোখে পড়ে না। একপক্ষ রবীন্দ্রনাথের গান জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে মনেপ্রাণে ধারণ করে, আরেক পক্ষ বদলাতে চায়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×