সেপ্টেম্বর মাসের মাঝামাঝি কোনো একদিন দৈনিক সমকালের তরুন ও অভিজ্ঞ সাংবাদিক জনাব রাশেদ মেহেদী আমাকে ফোন দিয়ে জানালেন, তিনি তথ্য অধিকার দিবস উপলক্ষ্যে বেশ বড়সড় একটা প্রতিবেদন প্রকাশ করতে চান। পিএসসির বিরুদ্ধে আমার অভিযোগের সর্বশেষ অবস্থা তিনি দৈনিক সমকালের প্রতিবেদনে প্রকাশ করবেন । আমি তাকে আমার লেখার লিংক দিয়ে জানালাম, আগে লেখটি পড়েন তাহলে পুরো বিষয়ের একটা ধারনা পাবেন। এরপর কোন বিষয়ে সন্দেহ বা অস্পষ্টতা থাকলে আমি আছি। তিনি লেখাটি পড়ে বিভিন্ন বিষয়ে আমার সাথে আলাপ করেন। আমি শুধু একটি কথাই বলেছিলাম, ধীরে সুস্থে আগান, তাড়াহুড়োর দরকার নেই, প্রয়োজনে সিরিজ রিপোর্ট করেন। ষড়যন্ত্র, পক্ষপাতিত্ব, দালালি, নিজেদের আইন নিজেরাই ভংগের কারনে তথ্য কমিশন আজ লাইনচ্যুত। সাবেক প্রধান তথ্য কমিশনার মোঃ জমিরের রেখে যাওয়া সেই তথ্য কমিশন আজ আর নেই।
অবশেষে ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ইং বিশ্ব তথ্য অধিকার দিবসে তিনি তার পত্রিকায় বেশ বড় সড় করে রিপোর্টটা প্রকাশ করলেন।
তার এই রিপোর্ট পড়েই আমার অভিযোগের একটা জট খুলে যায়।
এ ব্যাপারে প্রধান তথ্য কমিশনার মোহাম্মদ ফারুক সমকালকে জানান, পিএসসি থেকে একটা লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। এ কারণে বিষয়টি সাবজুডিস বিবেচনা করা যেতে পারে। এ নিয়ে তাই আর আলোচনা না করাই ভালো। অবশ্য পিএসসির চেয়ারম্যান ইকরাম আহমেদ শনিবার সমকালকে বলেন, পিএসসি তথ্য অধিকার আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তথ্য কমিশনের রায় পাওয়ার পর কিছু তথ্য দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কিছু তথ্য পিএসসির নিজস্ব বিধি অনুযায়ী দেওয়া সম্ভব নয়। এ বিষয়টি চিঠি দিয়ে তথ্য কমিশনকে জানানো হয়েছে। তবে কোনো লিগ্যাল নোটিশ বা আইনগত প্রক্রিয়ায় যাওয়া হয়নি। ভবিষ্যতে প্রয়োজন হলে সে বিষয়টি ভাবা হবে।
প্রধান তথ্য কমিশনার ও পিএসসির চেয়ারম্যানের বক্তব্য থেকে স্পষ্ট প্রতীয়মান হয় যে, পিএসসি হাইকোর্টে যায়নি, কোন রিটও করেনি । তাহলে তথ্য কমিশন আমার তথ্য না পাওয়ার চিঠি পেয়েও বসে রইল কেন। তাদের অলস ঝিমুনি বা পক্ষপাতিত্বের কারন জানতে তথ্য অধিকার আইনে রাশেদ মেহেদির সেই রিপোর্টের ফটোকপি সহ তথ্য কমিশনের কাছেই জানতে চাইলাম।
তারা তাদের পক্ষপাতিত্ব বা যড়যন্ত্রের অংশ যাই বলেন না কেন, হাতেনাতে ধরা পড়ে যাওয়ার কারনে আমার অভিযোগ যথা যথ হয়নি মর্মে বাতিল করে দেয়।
এবার আসুন তথ্য কমিশনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তথ্য কমিশন আমলে নেয়ার বিধান আছে কিনা দেখি। তথ্য কমিশনের নিউজ লেটার বিজয় দিবস সংখ্যা ২০১৩ বর্ষ ১ সংখ্যা ২ এর সাত নং পৃষ্ঠার একটি নিউজ দেখাই আপনাদের।
দেখা যাচ্ছে, তথ্য কমিশনের বিরুদ্ধে সেই অভিযোগই গৃহিত হয় যা আমলে নিলে অন্য কোন কত্তৃপক্ষ বিপদে পড়বে । তথ্য কমিশন নিজেই যদি কোন অভিযোগের কারনে বিপদে পড়বে বলে দেখতে পায়, তাহলে উপরোক্ত তিনটি কারনে অভিযোগ আর আমলেই নেয়না। কী অগ্রহনযোগ্য দৃশ্যমান বা অদৃশ্যমান লেনদেন বা FEAR & FAVOUR এর কারনে তথ্য কমিশনের এ বিভ্রান্তি ঘটেছে তা ভবিষ্যতের একজন অনুসন্ধিতসু গবেষকের জন্য তোলা থাক।
এরপর তথ্য আধিকার আইনে তথ্য কমিশনের কাছে জানতে চাইলাম, যে কাগজখানির কারনে বা জাদুতে তাদের এই গভীর নিদ্রা বা পক্ষপাতিত্বের কারন তার চেহারাখান আমি দেখতে চাই।
তারা আমাকে তা দেখতে দিল।
এই হলো আমাদের প্রধান তথ্য কমিশনারের যোগ্যতা। আকাশের উদ্দেশ্যে লেখা একখান উকিলের মনের কথাকে প্রধান তথ্য কমিশনার বলে সাব জুডিস বিষয়! তথ্য কমিশন এই সার্টিফিকেট পাওয়ার পর তাদের কার্যক্রম সাব জুডিস বিষয় মনে করে থামিয়ে দিল কেন তা জানায়নি, তবে অনুমান করতে পারি-
(ক) প্রধান তথ্য কমিশনার এই সার্টিফিকেট যে সাব জুডিস বিষয় নয় তা জানে না।
(খ)অগ্রহনযোগ্য দৃশ্যমান বা অদৃশ্যমান লেনদেন
(গ)উপর দিয়ে বিভিন্ন জন বিভিন্ন কমিশনের প্রধান হয়ে জনগণের পক্ষে কাজ করার শপথ নিলেও, ভিতর দিয়ে তারাই জন হয়রানীর কারন।
(ঘ)FEAR & FAVOUR
এরপর শুধু নিয়ম রক্ষার জন্য তথ্য না পাওয়ার আবেদন করি। সেই আবেদনে দীর্ঘ দুই বছরের হতাশা, আইনের প্রতি সবার বৃদ্ধাংগুল প্রদর্শনের ক্ষোভ প্রকাশ করি। তথ্য অধিকার আইনের অভিযোগ ফরমের ৫,৬ ও ৭ নং যুক্তিতে নিজের দুঃখ প্রকাশ প্রকাশ করি।
৫।রায়ের বাধ্যবাধকতা অনুযায়ী ১৫/০৭/২০১৪ইং তারিখ রাত ১২ টা পার হয়ে যাওয়া মানেই আদালত অবমাননা। পিএসসি সেই কাজটা করেছে। পরবর্তীতে আমি তথ্য না পাওয়ার বিষয় তথ্য কমিশনকে অবগত করি। কারো উদ্দেশ্যেও নয়, আকাশের উদ্দেশ্যে একজন উকিলের নিজ প্যাডে লেখা একটি চিঠিকে গুরুত্বের সাথে বিবেচনার কারনে বিষয়টা ধামাচাপা পড়ে যায়। এই উকিল সেই উকিল যে তথ্য কমিশনের চিঠি পিএসসি পায়নি বলে অস্বীকার করে, অথচ তথ্য কমিশনের নথিতে দেখা যায় পিএসসি ঠিক সময়েই চিঠি পেয়েছিল । এর মিনিট দশেক আগে -যাহা বলিব সত্য বলিব, বলে সত্যপাঠ করেছিল।তথ্য কমিশনে তথ্য দেয়ার মুচলেখা দিয়ে পরের শুনানীতে ভয়ে আর আসেনি। আরেকজন উকিল সম্পুর্ন অপ্রাসংগিকভাবে একজন শ্রদ্ধাভাজন তথ্যকমিশনারকে ব্যক্তিগত আক্রমন করে। তথ্য কমিশনের রায়ে বা চিঠিতে তাদের নামের আগে "বিজ্ঞ" শব্দ যোগ করা হয়। উকিলের কাজ যেখানে আদালতকে গাইড করা সেখানে তারা বিভ্রান্ত করছে আর এই হয়রানির কারনে ক্ষতির শিকার হচ্ছি আমি।তথ্য অধিকার আইনে সময়ের বাধ্যবাধকতা একটা বিরাট ব্যাপার। ৭৫ দিনের মধ্যে অভিযোগ নিষ্পত্তি করার কথা বলা হয়েছে কিন্তু বিষয়টাকে সম্পুর্ন উপেক্ষা ঙ্করা হচ্ছে ,৭৫ দিনকে ৭৫ বছরে টেনে নেয়ার যুক্তি দেখানো হচ্ছে। যেহেতু বিষয়টা পাবলিক পরীক্ষার বিষয়,তাই এই দীর্ঘ সময় ক্ষেপনের কারনে আমি বিকৃত তথ্য পাওয়ার আশংকা করছি। সবার মংগলের জন্য যত দ্রুত সম্ভব তথ্য উদ্ধার করা উচিত।
৬। আমার মোট দুইটি অভিযোগে তথ্য কমিশন সর্বমোট ৫০০০*২=১০,০০০(দশ হাজার টাকা)জরিমানা করতে পারে। দুই তথ্য কর্মকর্তাকে দুই হাজার এবং গত ২৯/০৬/২০১৪ ইং সমন জারি করা হয়নি, চিঠি দিয়ে আমন্ত্রণও দেয়া হয়নি- এমন ছয়জন পিএসসির কর্মকর্তা বিধিবহির্ভুতভাবে শুনানীতে উপস্থিত থেকে নিজেদের পদের ক্ষমতা ও তথ্য দেয়ার মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে বক্তব্য দিয়েছিল এবং স্বাভাবিক বিচার কাজের প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছিল। এটা তথ্য কমিশনের ইতিহাসে নেতিবাচক দৃষ্ঠান্ত হয়ে থাকল। তাই, তাদের প্রত্যেককে একহাজার টাকা করে জরিমানা করতে হবে। গত দুই বছরে যাতায়াত এবং বিভিন্ন কারনে অর্থ অপচয়ের জন্য ক্ষতিপুরন আদায় করতে হবে। সর্বোপরি ১৩ ধারা ব্যবহার করে তথ্য কমিশনের নিকটে অবস্থিত পিএসসি থেকে তথ্য আদায় করতে হবে। যেহেতু ১৫/০৭/২০১৪ ইং তারিখ পার হয়ে গেছে তাই সমন জারী,শুনানী প্রভৃতি আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে না গিয়ে সরাসরি জরিমানা ঘোষনা করা হোক। কারন শুনানীতে গেলেই আইনের ধারা মত যুক্তি তর্ক বাদ দিয়ে সেই চিঠি পাঠ, বোর্ড মিটিংয়ের প্রয়োজন, অপ্রাসংগিকভাবে সংবিধান, মাননীয় রাস্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে টেনে এনে বক্তব্য,পুলিশ প্রহরাধীন রুমের তালা খোলা যাচ্ছে না, চেয়ারম্যান বিদেশে ইত্যাদি ইত্যাদি নানা অজুহাত দেখানো হবে।
৭। আমার বক্তব্যের সমর্থনে কাগজপত্র তথ্য অধিকার আইনে তথ্য কমিশনের কাছ থেকেই সংগৃহীত।
৯ ডিসেম্বর শুনানীর (অযথা হয়রানির!) ডাক পড়ে। পিএসসির কারো আসার প্রয়োজন পড়েনি। আমিই একা। আবার সেই হাস্যকর "যাহা বলিব সত্য বলিব" পাঠ শেষে আগে যেখানে প্রধান তথ্য কমিশনার কোন কথাই বলতেন না , সেখানে আজ তিনিই প্রথম কথা বলা শুরু করলেন। দীর্ঘ দুই বছর তারা চেষ্টা করেছেন, ফলাফল শুন্য। এরপর বিজয়ীর বেশে হাইকোর্টের রীট তিন পাতা আমার হাতে তুলে দিলেন। তাদের ভাবসাব দেখে মনে হল, এই তিন পাতা পাওয়ার জন্যই দুই বছর আগে দরখাস্ত করেছিলাম। অতএব এ নিয়ে আমার ধন্য ও তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকা উচিৎ।
রীট পড়ে একটা বিষয় স্পষ্ট যে পিএসসি আমাকে কোন পক্ষ করেনি। অর্থ্যাত ব্যয়বহুল হাইকোর্টে দৌড়ানো আমার মত পুওর, স্ট্রিট বেগারের পক্ষে যে সম্ভব নয় তা তারা ভালো করেই জানে। অবশেষে যুক্তি বা আইনের কাছে নয়, অর্থের কাছে হেরে গেলাম। দীর্ঘ আইনি জটিলতায় সহজ বিষয়টি ঝুলে গেল।
একই রকম বিষয়ে হাইকোর্টে দায়েরকৃত একটি রীটের রায় ও পর্যবেক্ষনঃ
এই রায়ে জোর দিয়ে বলা হয়েছে-
১।এই আইনে শুধু দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নয় কমিশন চাইলে প্রতিষ্ঠানকেও জরিমানা করতে পারবে।
২। নাগরিকদের তথ্য প্রদান directory নয় Mandatory
৩। এবং অবশ্যই আইনে বর্নিত নির্ধারিত সময় ৭৫ দিনের মধ্যে সবকিছু-
তথ্য কমিশনের ওয়েবসাইটে বলা আছে-
কমিশনের ক্ষমতা ও কার্যাবলী
তথ্য অধিকার আইনে উল্লেখিত যে কোন সরকারী/বেসরকারী সংস্থার প্রয়োজনীয় তথ্য জানার অধিকার বাস্তবায়নে এবং আপনার যাচিত তথ্য খুঁজে বের করায় আমরা আপনাকে সাহায্য করতে পারি।
তথ্য কমিশন যে কোন নাগরিকের নিকট থেকে তথ্য না পাওয়া সংক্রান্ত অভিযোগ গ্রহণ করে থাকে। এ সংস্থাটি তথ্য অধিকার আইন এবং এর অধীন প্রণীত বিধিমালা বাস্তবায়নকল্পে ব্যবস্থা গ্রহণ করে। আমাদের মূল কাজ হচ্ছে, আমরা সকল সরকারী ও সরকারী বা বিদেশী সাহায্যপুষ্ট সকল বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের তথ্যাদি পেতে জনগণকে সহায়তা করি এবং প্রতিষ্ঠানগুলোকে তথ্য প্রদানে উৎসাহিত ও বাধ্য করে থাকি।
তথ্য না পাওয়া সংক্রান্ত অভিযোগ নিষ্পত্তি করি। আর কেউ মিথ্যা বা বিভ্রান্তিমূলক তথ্য সরবরাহ করলে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করি।
অথচ তথ্য পাওয়ার আবেদন করার পর থেকে আজ পর্যন্ত তথ্য কমিশন নিজেই যে তিনটি ধারা লংঘন করেছে সেগুলো হল-
১।
২।
৩।
আমার অভিযোগ দায়ের থেকে শুরু করে স্থগিতাদেশ পাওয়া পর্যন্ত প্রায় ৭৫০ (৭৫ দিনের ১০ গুণ!)দিন সময় লেগেছে, চারবার জরিমানা করার সুযোগ পাওয়ার পর ও তথ্য কমিশন করেনি।
উপসংহারঃ
এই কমিশন সেই কমিশন সারা দুনিয়াতে যত ধরনের কমিশন আছে, তার সবই আছে আমাদের দেশে। কিন্তু এই কমিশনগুলো জনগণের কোন কাজেই আসে না। বরং উল্টো হয়রানির কারন হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু কেন? এর সর্বজন গ্রাহ্য একটা ব্যাখ্যা দিয়েছে ডঃ আকবর আলী খান-
আকবর আলি খান : বাংলাদেশের প্রশাসনের অবস্থা বুঝতে হলে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ল্যান্ট প্রিচেটের সুন্দর একটি তত্ত্ব খুবই প্রযোজ্য। তিনি বলছেন, বিশ্বের বেশির ভাগ উন্নয়নশীল দেশে পশ্চিমা প্রতিষ্ঠানগুলোকে অনুকরণ করা হয়েছে, কিন্তু পশ্চিমা প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রাণশক্তি এখানে নেই। এ ধরনের প্রতিষ্ঠানগুলোকে তিনি বলছেন আইসোমরফিক মিমিক্রি, অর্থাৎ সমরূপ কিন্তু কার্যক্ষমতাহীনএমন একটি অবস্থা। ধারণাটা নেওয়া হয়েছে বিবর্তনবাদী জীববিদ্যা থেকে। সেখানে দেখা যায়, অনেক সময়ে অনেক প্রাণী ভান করার চেষ্টা করে। যেমন একধরনের সাপ আছে, যাদের বিষ নেই। এই সাপগুলোকে মানুষ মেরে ফেলবে সে জন্য দেখা গেল, তারা নীল হয়ে গেছে। দেখলে মনে হয় এগুলো অসম্ভব বিষাক্ত। কিন্তু আসলে মোটেই তা নয়। বাংলাদেশে বর্তমানে যে ধরনের প্রতিষ্ঠান রয়েছে, সেগুলো ওই সাপগুলোর মতো। দেখে মনে হয় সবই ঠিক আছে, আসলে মোটেই ঠিক নেই। এ ধরনের প্রতিষ্ঠান ব্রিটিশরা এ দেশে প্রতিষ্ঠা করে গেছে। ব্রিটিশ শাসনের মূল ভিত্তি ছিল আইসিএস অফিসাররা। এক হাজার আইসিএস অফিসার দিয়ে তারা সারা ভারতবর্ষ শাসন করত। এই শাসনের মূল লক্ষ্য ছিল: উন্নতি হোক বা না হোক, দেশবাসীকে নিয়ন্ত্রণে রাখা। সেই নিয়ন্ত্রণে তারা রেখেছে, কিন্তু প্রকৃত অর্থে প্রতিষ্ঠানগুলো গড়ে তোলেনি। এ অবস্থায় আইসোমরফিক মিমিক্রির ধরনের সমাধান করতে হলে দেশীয় আবহাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে নতুন করে প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে হবে।
আকবর আলি খান : দুর্বৃত্তদের অভয়ারণ্য আমি যে অর্থে বলেছি, সেটা কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে চলছে। আমাদের দেশে বাইরের দিকে আইনের শাসন রয়েছে, কিন্তু তৃণমূল পর্যায়ে সাধারণ মানুষ আইনের শাসনের উপকার পায় না। তার একটা কারণ, আদালতে নালিশ করলে বিচার সহজে হয় না। এবং এটা করতে এত সময় লাগে, তখন বিচার প্রায় অর্থহীন হয়ে যায়।
সুত্রঃ
১। দৈনিক সমকালের সেই রিপোর্ট
http://www.samakal.net/2014/09/28/89230/
২। প্রধান তথ্য কমিশনারের সাক্ষাৎকার
http://www.samakal.net/2014/09/28/89066
৩। ব্যরিস্টার হালিমের অভিযোগ নং ৭১/২০১৩
http://www.infocom.gov.bd/
৪।আকবর আলী খানের সাক্ষাৎকার
৫। সাবেক তথ্য কমিশনার অধ্যাপক ডঃ সাদেকা হালিমের সাক্ষাতকার
http://www.samakal.net/2014/09/28/89067