শৈশব, আমার প্রিয় শৈশব! শুধু আমার কেন? আবহমান কাল থেকে প্রতিটি মানুষেরই প্রিয় সময় বোধহয় শৈশব। আর এই শৈশবে সবারই অন্যতম প্রিয় একটি কমন বিষয় হল অর্থহীন মজার মজার সব ছড়া, যেগুলো ছিল আশৈশব খেলার সাথী। সময়ে, অসময়ে গুণগুণ করে গাইতাম সেইসব ছড়াগান। আজ বলব আমার কিছু প্রিয় অর্থহীন ছড়া, যার সাথে দুয়েকটি থাকবে স্মৃতিবিজড়িত। আসুন শুরু করা যাক, প্রথম দুটি আমার স্কুল জীবনে শিশু শ্রেণীতে (তখন এর নীচে প্লে-গ্রুপ, নার্সারি, ফার্ম
![;)](https://s3.amazonaws.com/somewherein/assets/css/images/emot-slices_09.gif)
“কাগজের টুকরা, কাগজের টুকরা
পড়ে আছে ঐ, পড়ে আছে ঐ।
জায়গা করে নোংরা, জায়গা করে নোংরা
তুলে নাও, তুলে নাও।”
=======================
“পাঁচটি সবুজ বোতল ঝুলছে দেয়ালে
পাঁচটি সবুজ বোতল ঝুলছে দেয়ালে,
হঠাৎ করে একট যদি পড়ে যায়
রইলো কয়’টি দেয়ালে?”
(হাত নেড়ে নেড়ে আঙ্গুল মুঠো করে এই কবিতা শুরু হয়ে দেয়াল শূন্য করে শেষ হোত। কল্পনায় দেখতাম সবুজ বোতলগুলো ঝুলতে ঝুলতে পড়ে গিয়ে ভেঙ্গে গুড়ো হয়ে যাচ্ছে।)
=======================
এবার শুরু করি আমার শৈশবের কিছু অর্থহীন খেলার ছড়া।
“ইন পিন সেফটি পিন,
বেবী খায় ভিটামিন।
ভিটামিনে পোকা
ডাক্তার সাহেব বোকা।”
=======================
“রাজার খবর এসেছে...
কি খবর এসেছে...
রাজা একটা বেলচা চায়...
বেলচা দিয়ে কি হবে...
যুদ্ধ হবে...
রাত কয়’টার সময়...
রাত বারোটার সময়...
কাকে দিয়ে কাকে চাও...
একে দিয়ে ওকে চাই...”
(রাত বারোটার সময় যুদ্ধ! তাও আবার বেলচা দিয়ে... কি হাস্যকর অথচ কি মজার ছিল)
=======================
“আকাশ থেকে নেমে এল ছোট্ট একটা প্লেন,
সেই প্লেনে বসে ছিল ছোট্ট একটা মেম।
মেম’কে আমি জিজ্ঞাস করলাম
হোয়াট ইজ ইওর নেম?
সে আমাকে উত্তর দিল
মাই নেম ইজ বোকা মানুষ
![;)](https://s3.amazonaws.com/somewherein/assets/css/images/emot-slices_09.gif)
(শেষের লাইনে নিজের সুবিধামত নাম বসাতাম নিজেকে বাঁচাতে
![:P](https://s3.amazonaws.com/somewherein/assets/css/images/emot-slices_25.gif)
=======================
“চড়ুই পাখি বারোটা
ডিম পেড়েছে তেরোটা
একটা ডিম নষ্ট
চড়ুই পাখির কষ্ট”
=======================
“ওপেনটি বাইস্কোপ,
নাইন টেন টেলিস্কোপ।
রাজবাড়ীতে যেতে,
পান সুপারি খেতে।
পানের আগায় মরিচ বাটা,
ইস্প্রিংয়ের চাবি আঁটা।
যার নাম রেনু বালা,
তারে দিব মুক্তার মালা।”
(এই কবিতাটি ঠিকঠাক মনে নাই, উল্টা-পাল্টা হতে পারে)
=======================
এবার একটা পাগ্লুটি ছড়া, ডোন্ট মাইন্ড ফর দিস আবোল-তাবোল
![:P](https://s3.amazonaws.com/somewherein/assets/css/images/emot-slices_25.gif)
“ছোট মামী রান্দে-বাড়ে
বড় মামী খায়,
মাইজ্জা মামী গাল ফুলায়া
বাপের বাড়ী যায়।
বাপে দিল লাতথি,
পাইলো একটা বাত্তি।
বাত্তিতে নাই তেল,
পাইলো একটা বেল।
বেলে নাই বিচ্চি,
পাইলো একটা কেঁচি।
কেঁচিতে নাই ধার,
পাইলো একটা হার।
হারে নাই লকেট,
পাইলো একটা পকেট।
পকেটে নাই টাকা,
কেম্নে যামু ঢাকা।
ঢাকায় নাই গাড়ী,
কেম্নে যামু বাড়ী।
বাড়ীতে নাই ভাত,
পাইলাম একটা পাত।
উঁহু...পাতে গন্ধ!
হাই স্কুল বন্ধ।”
(এই ছড়ার শেষ লাইন একটু সেন্সর করা
![;)](https://s3.amazonaws.com/somewherein/assets/css/images/emot-slices_09.gif)
=======================
অনেক হল এবার শেষ করি বুড়ো বয়সের ঘটনা দিয়ে। প্রফেশনাল একাউণ্টন্সি কোর্সে আমার এক জুনিয়র (বয়সে) সহপাঠী ছিল, নাম জনি। আমি তার সাথে জনি জনি ছড়াটা নিয়ে মজা করতাম, সেও মজা করতো। ইভেন পাবলিক প্লেসে। বুড়ো দুই ভামের কাণ্ড দেখে অন্যরাও মজা পেত। মাঝে মাঝে লিফটে যখন এটা করতাম, অপরিচিত মানুষ অবাক হয়ে আমাদের দুজনকে দেখতো আর মনে মনে ভাবতো...... পুরাই পাগল
![:P](https://s3.amazonaws.com/somewherein/assets/css/images/emot-slices_25.gif)
আমিঃ জনি... জনি... (তার দিকে তাকিয়ে)
জনিঃ ইয়েস পাপা (আমার দিকে তাকিয়ে সারা দেয়ার ভান করে)
আমিঃ ইটিং... সুগার? (প্রশ্ন করার সুরে)
জনিঃ নো পাপা। (কাঁদো কাঁদো সুরে)
আমিঃ টেলিং লাই?
জনিঃ নো পাপা। (পারলে সত্যি কেঁদে দেয়)
আমিঃ ওপেন ইওর মাউথ (কপট রাগের ভঙ্গিতে)
জনিঃ হা...হা...হা... (মুখ হা করে হাসতে হাসতে)
========== (সমাপ্ত) ==========
( বিঃ দ্রঃ সবগুলো ছবি নেট হতে সংগৃহীত। এতগুলো সোর্সের লিংক দিতে পারলাম না বলে নিজগুণে ক্ষমা করবেন। )
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৭:৫১