উড়াই চল স্বপ্নডানা
হারিয়ে যেতে নেইকো মানা
আকাশ হবে মনের বাড়ি
সাত কন্যা দেব পাড়ি।
অ্যা ভার্চুয়াল জার্নি টু আওয়ার সুইট সেভেন ডটার অব সী। বাস্তবে না হলেও আসুন ভার্চুয়াল জগতে ঢু মেরে আসি এই সাতকন্যা থেকে।
হাতিয়াঃ প্রথমেই শুরু করি হাতিয়া দিয়ে। হাতিয়া মূলত বেশ কিছু উপকূলীয় দ্বীপ নিয়ে গঠিত একটি উপজেলা যা নোয়াখালী জেলার অন্তর্গত। ২৫.৭২ বর্গ কিলোমিটার এলাকার এই দ্বীপটির উত্তরে নোয়াখালী সদর উপজেলা ও রামগতি উপজেলা, দক্ষিণে ও পূর্বে বঙ্গোপসাগর, এবং পশ্চিমে মনপুরা উপজেলা অবস্থিত। সাবেক উপজেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আমীন রচিত ‘তিলোত্তমা হাতিয়া : ইতিহাস ও ঐতিহ্য’ বই ও দ্বীপের প্রবীণদের কাছ থেকে হাতিয়ার ইতিহাস সম্পর্কে জানা গেছে, আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ১৫০০ শতাব্দীর দিকে বঙ্গোপসাগর আর মেঘনার মোহনায় গড়ে ওঠা সবুজে ঘেরা দ্বীপটি মানুষের নজরে আসে। হাতিয়া একটা বিশাল চর, এটাকে বরং দ্বীপ বললে কিছুটা মানায়। এই হাতিয়া হয়ে আপনাকে যেতে হবে আরেক কন্যা নিঝুম দ্বীপের তরে।
নিঝুম দ্বীপঃ হাতিয়া হতে চলে আসুন একটু এগিয়ে নিঝুম দ্বীপে। নোয়াখালী জেলার হাতিয়া উপজেলার অর্ন্তগত নিঝুম দ্বীপ বাংলাদেশের একটি ছোট্ট দ্বীপ হলেও এটি মূলত একটি 'চর'। নিঝুম দ্বীপের পূর্ব নাম ছিলো চর-ওসমান। ওসমান নামের একজন বাথানিয়া তার মহিষের বাথান নিয়ে প্রথম নিঝুম দ্বীপে বসত গড়েন। তখন এই নামেই এর নামকরণ হয়েছিলো। পরে হাতিয়ার সাংসদ আমিরুল ইসলাম কালাম এই নাম বদলে নিঝুম দ্বীপ নামকরণ করেন। মূলত বল্লারচর, চর ওসমান, কামলার চর এবং চুর মুরি- এই চারটি চর মিলিয়ে নিঝুম দ্বীপ। প্রায় ১৪,০০০ একরের দ্বীপটি ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দের দিকে জেগে ওঠে। ১৯৭০ খ্রিস্টাব্দের আগ পর্যন্ত কোনো লোকবসতি ছিলো না, তাই দ্বীপটি নিঝুমই ছিলো। বাংলাদেশের বনবিভাগ ৭০-এর দশকে বন বিভাগের কার্যক্রম শুরু করে। প্রথমে পরীক্ষামূলকভাবে চার জোড়া হরিণ ছাড়ে। নিঝুম দ্বীপ এখন হরিণের অভয়ারণ্য। ১৯৯৬ খ্রিস্টাব্দের হরিণশুমারি অনুযায়ী হরিণের সংখ্যা ২২,০০০। নোনা পানিতে বেষ্টিত নিঝুম দ্বীপ কেওড়া গাছের অভয়ারণ্য। ম্যানগ্রোভ বনের মধ্যে সুন্দরবনের পরে নিঝুম দ্বীপকে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন বলে অনেকে দাবী করেন।
সন্দ্বীপঃ একটু দক্ষিন-পশ্চিমে সরে এসে আমরা চলে আসি বঙ্গোপসাগরের উত্তর-পূর্বকোণে মেঘনা নদীর মোহনায় অবস্থিত সন্দ্বীপে যা বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলে অবস্থিত একটি দ্বীপ। এটি । সন্দ্বীপ থেকে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপকূলের দূরত্ব প্রায় দশ মাইল, নোয়াখালীর মূল ভূখন্ড থেকে প্রায় ১২ মাইল পশ্চিমে এবং প্রায় বিশ মাইল পশ্চিমে হাতিয়া দ্বীপের অবস্থান। সন্দ্বীপের নামকরণ নিয়ে বিভিন্ন জনের কাছে বিভিন্ন মতামত শোনা যায়। কারও কারও মতে ১২ আওলিয়ারা চট্টগ্রাম যাত্রার সময় এই দ্বীপটি জনমানুষহীন অবস্থায় আবিস্কার করেন এবং নামকরণ করেন শুন্যদ্বীপ যা পরবর্তীতে ‘‘সন্দ্বীপে’’ রুপ নেয়। ইতিহাসবেত্তা বেভারিজের মতে চন্দ্র দেবতা সোম এর নামানুসারে এই এলাকার নাম সোম দ্বীপ হয়েছিল যা পরবর্তীতে সন্দ্বীপে রুপ নেয়। কেউ কেউ দ্বীপের উর্বরতা ও প্রাচুর্যের কারণে দ্বীপটিকে স্বর্ণদ্বীপ আখ্যা প্রদান করেন। উক্ত স্বর্ণদ্বীপ হতে সন্দ্বীপ নামের উৎপত্তি হয়েছে বলেও ধারণা করা হয়। দ্বীপের নামকরণের আরেকটি মত হচ্ছে পাশ্চাত্য ইউরোপীয় জাতিগণ বাংলাদেশে আগমনের সময় দুর থেকে দেখে এই দ্বীপকে বালির স্তুপ বা তাদের ভাষায় স্যান্ড-হীপ (Sand-Heap) নামে অভিহিত করেন এবং তা থেকে বর্তমান নামের উৎপত্তি হয়। ইউরোপীয়দের লেখা ইতিহাসে জানা যায় যে সন্দ্বীপে প্রায় তিন হাজার বছরের অধিককাল ধরে লোক বসতি বিদ্যমান। এমনকি এককালে এর সাথে সংযুক্ত থাকা নোয়াখালীতে মানুষের বসতি স্থাপনের পূর্বেই সন্দ্বীপে জনবসতি গড়ে উঠেছিল। সন্দ্বীপের লবণ শিল্প, জাহাজ নির্মাণ কারখানা ও বস্ত্র শিল্প পৃথিবী খ্যাত ছিল।
মহেশখালিঃ আরেকটু এগিয়ে গিয়ে চলে আসুন মহেশখালীতে। মহেশখালী উপজেলা বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের একটি দ্বীপ এবং স্বতন্ত্র উপজেলা; যা মহেশখালী দ্বীপ নামেও পরিচিত। অধ্যাপক ড. সুনীতি ভূষণ কানুনগোর মতে, ১৫৫৯ খ্রিস্টাব্দের প্রচণ্ড ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে মূল ভূ-খন্ড থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে এই দ্বীপের সৃষ্টি হয়। একজন পর্তুগীজ ভ্রমণকারী আরাকান অঞ্চলে এই প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড়ের বিবরণ লিপিবদ্ধ করে গেছেন। তাছাড়া দ্বীপের পূর্ব প্রান্ত দিয়ে উত্তর দক্ষিণমুখী পাহাড় এবং তার পাদদেশে প্রবাহিত চ্যানেল থাকার কারণে অনুমিত হয় যে, দ্বীপটি একসময় মূল ভূ-খন্ডের সাথে যুক্ত ছিলো। মহেশখালী উপজেলা আরো তিনটি ছোট ছোট দ্বীপের সমন্বয়ে গঠিত। এগুলো হলো: সোনাদিয়া, মাতারবাড়ী ও ধলঘাটা। পান, মাছ, শুঁটকী, চিংড়ি, লবণ এবং মুক্তার উৎপাদন এই উপজেলাটিকে দিয়েছে আলাদা পরিচিতি।
সোনাদিয়াঃ এবার চলে আসি মহেশখালীর অন্তর্গত সোনাদিয়া দ্বীপে। বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলার মহেশখালী উপজেলার অর্ন্তগত হোয়ানক ইউনিয়নে অবস্থিত একটি দ্বীপ। এটি জীববৈচিত্রের দ্বীপ নামেও পরিচিতি এবং এ দ্বীপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য পিপাসুদের জন্য অন্যতম পর্যটন স্থান। চারদিকে গভীর সমুদ্রের সাগরের ঢেউ সমৃদ্ধ এটি মুলত প্যারাদ্বীপ নামে পরিচিতি। অপরূপ সৌন্দর্যের আধার এ দ্বীপ ককসবাজার শহর থেকে ৭ কিলোমিটার উত্তর পশ্চিমের দূরে সাগর গর্ভে অবস্থিত। দ্বীপটির আয়তন প্রায় ৯ বর্গকিলোমিটার। তিন দিকে সমুদ্র সৈকত,সাগর লতায় ঢাকা বালিয়াড়ি, কেয়া- নিশিন্দার ঝোপ, ছোট-বড় খাল বিশিষ্ট প্যারাবন। বিচিত্র প্রজাতির জলচর পাখি দ্বীপটিকে করেছে অনন্য বৈশিষ্ট্য মন্ডিত। এটি মহেশখালী কেনেল দ্বারা কক্সবাজারের মূল ভূখন্ড থেকে বিছিন্ন হয়েছে। এটি দেশের প্রধান শুটকি মাছ উৎপাদন কেন্দ্র। এখানকার ম্যানগ্রোভ বন এবং উপকুলীয় বনভূমি, সাগরে গাঢ় নীল পানি, কেয়া বন, লাল কাঁকড়া, বিভিন্ন প্রকারের সামুদ্রিক পাখি পর্যটকদের মনে দোলা দেয়। এই দ্বীপটি বাংলাদেশের গভীর সমুদ্র বন্দর তৈরির জন্য নির্বাচিত হয়েছে।
কুতুবদিয়াঃ এবার চলুন যাই কক্সবাজারের আরেক দ্বীপ কুতুবদিয়া। কিভাবে জেগে উঠল এই অদ্ভুত সুন্দর দ্বীপটি? জানা যায় যে, দীর্ঘদিন ধরে কুতুবদিয়া দ্বীপের গঠন প্রক্রিয়া শুরু হলেও এ দ্বীপ সমুদ্র বক্ষ থেকে জেগে উঠে চতুর্দশ শতাব্দীর শেষের দিকে। ধারণা করা হয়, পঞ্চদশ শতাব্দীর শেষের দিকে এ দ্বীপে মানুষের পদচারণা। “হযরত কুতুবুদ্দীন” নামে এক কামেল ব্যক্তি আলী আকবর, আলী ফকির, এক হাতিয়া সহ কিছু সঙ্গী নিয়ে মগ পর্তুগীজ বিতাড়িত করে এ দ্বীপে আস্তানা স্থাপন করেন। অন্যদিকে আরাকান থেকে পলায়নরত মুসলমানেরা চট্টগ্রামের আশেপাশের অঞ্চল থেকে ভাগ্যাণ্বেষণে উক্ত দ্বীপে আসতে থাকে। নির্যাতিত মুসলমানেরা কুতুবুদ্দীনেরপ্রতি শ্রদ্ধান্তরে কুতুবুদ্দীনের নামানুসারে এ দ্বীপের নামকরন করেন“কুতুবুদ্দীনের দিয়া”, পরবর্তীতে ইহা‘কুতুবদিয়া’ নামে স্বীকৃতি লাভ করে। দ্বীপকে স্থানীয়ভাবে ‘দিয়া’ বা ‘ডিয়া’বলা হয়।
পশ্চিম উপকূল ঘেষে রয়েছে প্রায় ২২ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে বালির আঁড়িযুক্ত অপরূপ সৌন্দর্যমন্ডিত সমুদ্র সৈকত। দৃষ্টিনন্দন সারি সারি ঝাউবীথি দেখলেই মনটা ভরে উঠে।উপজেলা সদর হতে ৩ কিলোমিটার দক্ষিণেই আলী আকবর ডেইল এলাকার সমুদ্র সৈকতে রয়েছে দেশের সর্বপ্রথম বায়ুবিদ্যুৎ পাইলট প্রকল্প। উপজেলা সদর হতে ৫ কিলোমিটার উত্তরে দক্ষিণ ধুরংয়ের আলী ফকির ডেইলের সমুদ্র সৈকত সংলগ্ন বিখ্যাত বাতিঘর। এখানে সমূদ্র সৈকত হতে অন্তত ৩ কিলোমিটার পূর্বে কুতুব আউলিয়ার সুযোগ্য উত্তরসূরি হযরত শাহ আবদুল মালেক আল কুতুবী (র.)-এর মাজার শরীফ, যেখানে প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে প্রতিদিন অসংখ্য ভক্তের আসা যাওয়া রয়েছে। উপজেলা সদরের ৩ কিলোমিটার উত্তর-পূর্ব চ্যানেল সংলগ্ন বিশাল লবণ উৎপাদন প্রদর্শনী খামার, যেখানে লবণ উৎপাদন মৌসুমে প্রতিদিন দেশী-বিদেশী ইতিহাসবিদ, গবেষক, প্রযুক্তিবিদ ও সাংবাদিক লবণ উৎপাদন প্রক্রিয়া দেখতে আসেন। উপজেলা সদর হতে ৭ কিলোমিটার উত্তরে উত্তর ধুরংয় রয়েছে প্রাচীন স্থাপত্য নিদর্শন কালামার মসজিদ।
সেন্ট মার্টিনঃ সব শেষে আমরা যাব বাংলাদেশের গর্ব, আমাদের সুন্দরীতমা সাগরকন্যা সেন্ট মার্টিনে। কবে, কে প্রথম এই দ্বীপটিকে মানুষ শনাক্ত করেছিল তা জানা যায় না। কিছু আরব বণিক চট্টগ্রাম থেকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার যাতায়াতের সময় এই দ্বীপটিতে বিশ্রামের জন্য ব্যবহার করতো, যাদের মাধ্যমে প্রথম এই দ্বীপটির নামকরণ হয় জিঞ্জিরা। । ১৮৯০ খ্রিষ্টাব্দের দিকে কিছু বাঙালি এবং রাখাইন সম্প্রদায়ের মানুষ এই দ্বীপের বসতি স্থাপনের জন্য আসে। এরা ছিল মূলত মৎস্যজীবি। যতটুকু জানা যায়, প্রথম অধিবাসী হিসাবে বসতি স্থাপন করেছিল ১৩টি পরিবার। এরা বেছে নিয়েছিল এই দ্বীপের উত্তরাংশ। কালক্রমে এই দ্বীপটি বাঙালি অধ্যুষিত এলাকায় পরিণত হয়। আগে থেকেই এই দ্বীপে কেয়া এবং ঝাউগাছ ছিল। সম্ভবত বাঙালি জেলেরা জলকষ্ঠ এবং ক্লান্তি দূরীকরণের অবলম্বন হিসাবে প্রচুর পরিমাণ নারকেল গাছ এই দ্বীপে রোপণ করেছিল। কালক্রমে পুরো দ্বীপটি একসময় 'নারকেল গাছ প্রধান' দ্বীপে পরিণত হয়। এই সূত্রে স্থানীয় অধিবাসীরা এই দ্বীপের উত্তরাংশকে নারিকেল জিঞ্জিরা নামে অভিহিত করা শুরু করে। ১৯০০ খ্রিষ্টাব্দের দিকে ব্রিটিশ ভূ-জরীপ দল এই দ্বীপকে ব্রিটিশ-ভারতের অংশ হিসাবে গ্রহণ করে। জরীপে এরা স্থানীয় নামের পরিবর্তে খ্রিষ্টান সাধু মার্টিনের নামানুসারে সেন্ট মার্টিন নাম প্রদান করে। এরপর ধীরে ধীরে এই অঞ্চলের বাইরের মানুষের কাছে, দ্বীপটি সেন্ট মার্টিন নামেই পরিচিত লাভ করে।
সেন্ট মার্টিন্স দ্বীপের আয়তন প্রায় ৮ বর্গ কিলোমিটার ও উত্তর-দক্ষিণে লম্বা। এ দ্বীপের তিন দিকের ভিত শিলা যা জোয়ারের সময় তলিয়ে যায় এবং ভাটার সময় জেগে ওঠে। এগুলোকে ধরলে এর আয়তন হবে প্রায় ১০-১৫ বর্গ কিলোমিটার। সেন্ট মার্টিন্সের পশ্চিম-উত্তর-পশ্চিম দিক জুড়ে রয়েছে প্রায় ১০-১৫ কিলোমিটার প্রবাল প্রাচীর। দ্বীপের দক্ষিণে ১০০ থেকে ৫০০ বর্গমিটার আয়তনের ছোট দ্বীপ আছে যা স্থানীয়ভাবে ছেড়াদিয়া বা সিরাদিয়া নামে পরিচিত। এটি একটি জনশূন্য দ্বীপ। ভাটার সময় এই দ্বীপে হেটে যাওয়া যায়। তবে জোয়ারের সময় নৌকা প্রয়োজন হয়। এই ভূখণ্ডই ছেঁড়া দ্বীপ নামে পরিচিত।
সেন্ট মার্টিন্স দ্বীপে প্রায় ৬৬ প্রজাতির প্রবাল, ১শ ৮৭ প্রজাতির শামুক-ঝিনুক, ১শ ৫৩ প্রজাতির সামুদ্রিক শৈবাল, ১শ ৫৭ প্রজাতির গুপ্তজীবী উদ্ভিদ,২শ ৪০ প্রজাতির সামুদ্রিক মাছ, চার প্রজাতির উভচর ও ১শ ২০ প্রজাতির পাখি পাওয়া যায়। এছাড়াও রয়েছে ১৯ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রানী, মেরুদন্ডী প্রাণীদের মধ্যে রয়েছে স্পঞ্জ, শিল কাঁকড়া, সন্যাসী শিল কাঁকড়া,লবস্টার ইত্যাদি। মাছের মধ্যে রয়েছে পরী মাছ, প্রজাপতি মাছ, বোল করাল,রাঙ্গা কই, সুঁই মাছ, লাল মাছ,উড়ুক্কু মাছ ইত্যাদি, সামুদ্রিক কচ্ছপের (গ্রিন টার্টল ও অলিভ টার্টল প্রজাতি) ডিম পাড়ার স্থান হিসেবে জায়গাটি খ্যাত। দ্বীপে কেওড়া বন ছাড়া প্রাকৃতিক বন বলতে যা বোঝায় তা নেই। তবে দ্বীপের দক্ষিণ দিকে প্রচুর পরিমাণে কেওড়ার ঝোপ-ঝাড় আছে। দক্ষিণ দিকে কিছু ম্যানগ্রোভ গাছ আছে। অন্যান্য উদ্ভিদের মধ্যে রয়েছে কেয়া, শ্যাওড়া, সাগরলতা, বাইন গাছ ইত্যাদি। দ্বীপটি একটি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র। পর্যটন মৌসুমে এখানে প্রতিদিন ৫টি লঞ্চ বাংলাদেশের মূল ভূখন্ড হতে আসা যাওয়া করে। সেন্ট মার্টিন্স দ্বীপে বর্তমানে বেশ কয়েকটি ভালো আবাসিক হোটেল রয়েছে। একটি সরকারি ডাকবাংলো আছে। সেন্ট মার্টিন্স দ্বীপের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভাল।
ইনফো এন্ড পিকচার কার্টেসিঃ
Click This Link
Click This Link
Click This Link
Click This Link
Click This Link
http://www.coxsbazar.gov.bd/node/767480
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে জুন, ২০১৪ রাত ৯:৩৩