শাক দিয়ে মাছ ঢাকা যায়, কিন্তু মাছ যদি পচা হয় তবে ঢেকেও লাভ হয় না। এই সরকার তার পদ্মাসেতু দুর্নীতি, শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারি, হত্যা-খুন-গুমসহ বার্থতা ঢাকতে এবং সস্তা জনপ্রিয়তার লোভে তাড়াহুড়ো করে যুদ্ধাপরাধী বিচারের রায় ঘোষণা করে। কিন্তু শাক দিয়ে মাছ ঢাকা যায়নি। কারণ, এই রায় নিয়ে সরকার পরেছিল উভয় সঙ্কটে। যদি জামাতের শীর্ষ নেতাদের ফাঁসীর রায় দেয়, তবে তিনটি সমস্যা রয়েছেঃ (১) জামাতের যুদ্ধাঙ্গদেহী আচরণের মোকাবেলা করা, (২) জামাতের রাজাকারমুক্ত হওয়া এবং আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরেরে রাজাকারদের বিচারের দাবী ঊঠা, যা বিএনপি করে আসছে তার সম্মুখীন হওয়া, (৩) জনসাধারণে জামাতের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাওয়া; বিশেষ করে মফঃস্বল এবং গ্রামাঞ্চলে। অপর দিকে ফাঁসীর রায় না দেয়ায় ছিলঃ (১) জনরোষের স্বীকার হওয়া, (২) ভোটার ব্যাংকের ভোট হারানো, (৩) দলের ভেতরের থেকে প্রতিবাদ এবং (৪) নির্বাচনী জোটে ভাঙন। সরকার হয়তো দ্বিতীয় পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে চাচ্ছে।
তাহলে সরকারের কী করণীয় ছিল? যা করার সরকারতো করেছে, এখন দেখা যাক পরবর্তী কয়েক দিনে ঘটনা কোন দিকে মোড় নেয়। শাহবাগ স্কয়ারের পরিণতি কোন দিকে যায় কে জানে? অনেকে তাহরির স্কয়ারের কথাও বলছেন। আমরা চাই শান্তিপূর্ণ সমাধান। কোন ধরণের সহিংসতা কোনভাবেই কোন পক্ষের কাছ থেকেই কাম্য নয়। কারণ, পত্রিকা মারফত জানতে পারলাম, শাহবাগ স্কয়ারের নিয়ন্ত্রণ এখন সরকারী ছাত্র সংগঠনের হাতে।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:৫২