এই পোস্টটা অন্য একটা পোস্টের মন্তব্যের ঘরে খুব সুন্দর করে জায়গা হয়ে যেত। কিন্তু ভিন্ন একটা কারনে পোস্ট আকারে দিচ্ছি। কারণটা বলি, কখনো কখনো কারো পোস্টে মন্তব্য করে খুব পস্তাতে হয়। কারন তিনি প্রতিউত্তর করেন না। পরে দেখি উনাদের আগের পোস্টগুলোতেও অনেকের মন্তব্য অবহেলায় পড়ে আছে। পরবর্তীতে চেষ্টা করি ওই ব্লগারের কোন পোস্টে মন্তব্য করব না। অনেক সময় ভুলে যাই, মনে থাকে না বা ব্লগারকে চিনতে পারি না। এমনই একজন ব্লগারের পোস্টে মন্তব্য না করে আলাদা করে পোস্ট করছি।
বিষয়টা এমন, ধার্মিক আর মানুষ। একজন ধার্মিক কতটা মানুষ ? বা ধার্মিক হলেই কি মানুষ হয়ে গেলেন।? নাকি একজন সত্যিকারের মানুষ একজন ধার্মিক থেকে বেশি বৈ কম নন? সম্মানের দিক থেকে ।
আমার একটা ধারনা শেয়ার করি আমদের আচরন বা চর্চা নিয়ে। আমাদের চার পাশের ৯৯% যাদের আমরা ধার্মিক হিসেবে মূল্যায়ন করি। তারা যথা সম্ভব ধর্মীয় নিয়ম কানুন, বেশভূষা, সৎ এবং সংস্কার মেনে চলাদের বুঝি। তারা মুলত বেহেশতে যাওয়ার জন্য প্রাপ্ত ফর্মুলা মত চলেন। যেভাবে জীবন চালিয়ে নিলে বেহেশত পাওয়া যাবে তার একটা হিসাব কষে ফর্মুলা বের করা আছে সেটাই ফলো করে ধার্মিক। কখনো সৃষ্টিকর্তার মিশন বা চাওয়া নিয়ে মাথা ঘামান না, সে দিকে ইন্টারেস্ট ও নাই। ৩৩ পাওয়াই লক্ষ্য।
উনাদের যদি কখনো জিজ্ঞেস করা হয় ভিন্ন ধর্মের কেউ কি বেহেশত বা স্বর্গে যাবেন? উনারা এমন ভাবে জানিয়ে দেন যে, সেটা সম্ভব না। অভিব্যাক্তিতে স্পষ্ট ফুটে উঠে এটা বিধাতা কি চাইছেন সেটা বড় না, বড় হচ্ছে উনি এটা মেনে নিতে পারেন না। হিংসা।
ইসলাম ধর্মের মানব সৃষ্টির বর্ণনা পড়লে স্পষ্ট বুঝা যায়, আল্লাহ এই একটা বিষয়ে চ্যালেঞ্জ নিয়েছেন। তার মহান সৃষ্টি "মানুষে"র হিংসা থাকবে, সাথে এর নিয়ন্ত্রন করার ক্ষমতা। আর মানুষ রাগ, হিংসা নিয়ন্ত্রণই শুধু করবে না । রাগ, হিংসাকে ভালো ও উপকারের জন্য ব্যাবহার করবে। আর তার এই মিশনের সিপাহী ই হল, মানুষ। জয়ীদের জন্য রেখেছেন। পুরস্কার। আর ধার্মিকরা (আমরা যাদের মানি) একটা চিপাগলি পাকড়েছেন পুরস্কার হাতাতে। আমরা তাদের ধার্মিক বলি।
মানুষ বলতে চাই (হয়ত বলি) সিপাহিদের।
ধন্যবাদ। সময় ব্যয় করার জন্য ।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:৩৫