আমাদের সমাজের একটা অংশের হাতে অনেক টাকা । পেঁয়াজ, তেলের দাম ১০/২০ গুন বেড়ে গেলেও সমস্যা হবে না । আরেকটা অংশের হাতে যে পরিমাণ টাকা আছে তা দিয়ে অন্তত ২০০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বা ৪০০ টাকা লিটার দরে সয়াবিন খেতে সমস্যা হবে না।
সমাজের এই মানুষ গুলো নিত্য পন্যের দাম বাড়তে থাকলে, পাড়ে-তো এরা পুরো বাজার কিনে ফেলে। এদের হৈ হোল্লর দেখে অসাধু ব্যাবসায়িদের উৎসাহ আরও বাড়ে । দাম আরও বাড়ায়, যতক্ষণ না এদের ঘি বের হয়। আর একটা কথা, এরা দ্রব্যমুল্য প্রসঙ্গে মুখে ফেনা তুলে ফেলে, পরক্ষণেই মজুত করতে পাড়ার বুদ্ধিমত্তায় গর্বে গদ্গদ হয়ে উঠে ।
এর পর যা হয় –
* এক দেড় মাসের একটা তাণ্ডব শেষে আস্থে আস্থে দাম স্বাভাবিক পর্যায়ে চলে আসে।
* যারা ২ কেজির যায়গায় ২০ কেজি পেঁয়াজ কিনেছিল তাদের অন্তত ২ কেজি নষ্ট হয়। ২ কেজি পেঁয়াজ শুকিয়ে যাবে। আর নষ্ট হয়ে যাবে সেই ভয়ে বেশি বেশি ব্যাবহার তো আছেই।
তেলের ক্ষেত্রে দরকারের চেয়ে বেশি ব্যাবহার হবেই যেহেতু ৪/৫ গুন বেশি মজুদ আছে। পরিণতি ব্যাখ্যার দরকার আছে কি?
* ৫/৬ মাস যেতেই সেই অসাধু ব্যাবসায়িদের আবার কিছু ফাউ মুনাফার লোভ জাগবে । যেহেতু টাকাওয়ালাদের মজুদের সুখ আছে তাই আবার একটা সফল তাণ্ডব চালাবে বাজারে। আর এটা কয়দিন পরপর চলবে।
সমস্যা হল সমাজের ঐ অংশের , যাদের প্রতিদিনের আয়ের উপর নির্ভর করে প্রতিদিনের খাবার খরচ অন্যান্য জরুরী খরচ। তাদের হাতে জমানো টাকা নাই তাই মজুদ করার ক্ষমতাও নাই। সমাজের ঐ অংশের লোভাতুর খেলায় এরা তাদের আয়ের পুরোটাই হারিয়ে বসে। এটা এদের সব ধরনের অর্থনৈতিক, সামাজিক, মানসিক পরিকল্পনায় ব্যাঘাত ঘটায়। সমস্যায় ফেলে।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই মার্চ, ২০২২ বিকাল ৫:১৯