এই সামু ব্লগে কয়জন জুটি আছেন যেমন আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম আর সাদা মনের মানুষ উনাদের পোস্টের বিশেষ আকর্ষণ হল- একজনের পোস্টে আরেকজনের সরস মন্তব্য। আরেক জুটি হলেন চাঁদগাজী সাহেব আর নূর মোহাম্মদ নূরু । এই দুইজন আবার সাপে নেউলে । তাই বলে কামড়া কামড়ি নয়, কেউ কাউকে ছাড় দিতে নারাজ। যে যাকে পাচ্ছেন পচিয়ে ছাড়ছেন। আমাদের মত ক্ষুদ্র ব্লগারদের এতেই মজা।
চাঁদগাজী সাহেবকে আমারা অনেকেই চিনি জানি। উনার বিশেষত্ব হল উনি একটু তির্যক ভাষায় কথা বলে মানসিক অবস্থা যাচাই করে নেন তারপর উনি একটা লিমিট মেনে সেটার ভলিউম কমান বাড়ান। অনেকে সেই প্রথম ঝাড়িতে কেটে পড়ে বাকিরা টিকে থাকে। এবং উনি ঠিকে থাকাদের সম্মান করেন। উনি যেকোন ধরনের তিরস্কার শুনতে প্রস্তুত থাকেন । কারন , হয়ত ভাবেন, আমি যেমন কাউকে তিরস্কার করি আমাকে তিরস্কার করার অধিকারও তার আছে। আর সবচেয়ে বড় কথা উনি সব মন্তব্যের উত্তর দেন । সেটা যত অসংযতই হোক না কেন। নুরু ভাই যেমন চাঁদগাজী সাহেবের এই ফাঁদে আটকে গেছেন। কোন ব্যাপারে উনাকে শাসাতে গিয়ে বের হতে পারেন নি। এখন তারা বন্ধু(!)
হ্যাঁ বন্ধু। যারা মাঝে মাঝেই তাদের খুনসুটি খেয়াল করেছেন তারা জানবেন। নুরু সাহেব চাঁদগাজী সাহেবের চোখের যত্ন নিতে বলেন। আবার চাঁদগাজী সাহেব ও “ নুরু মিয়া ভয়ে পালিয়েছে” অনেকটা এমন মন্তব্য করেন ।
এখন দেখা যাচ্ছে কিছু নব্য ব্লগার যারা ফেসবুক স্টার হয়ে ব্লগে ঢুকেছেন। এবং ভাবছেন ফেসবুক মাতিয়ে এসে এখন ব্লগ জয় করে ফেলবেন তাদের অস্বাভাবিক আচরন দিয়ে । তাদের এমন সব উদ্ভট, অসুস্থ আর বেসামাল মন্তব্য এই জুটি দের শুধু বিব্রত ই করছে না রীতিমত অস্বস্তিতে পরতে হচ্ছে।
ব্যাপারটা শুরু , চাঁদগাজী সাহেবের ৭৮৬ জনের মনোনয়নপত্র বাদ, এরা ঋণ-খেলাপী, নাকি ব্যাংক ডাকাত? পোস্টটি থেকে। পোস্টটিতে ব্লগার নূর মোহাম্মদ নূরু যথারীতি ব্যাঙ্গাত্মক মন্তব্য করে বেশ কয়টা রেফারেন্স দিয়ে লেখককে (চাঁদগাজী সাহেব) ক্ষমা চাইতে বললেন। আর তার সুমতি কামনা করেন। (উনাদের মন্তব্যগুলো এমনই থাকে সব সময়)।
তারপর আগমন নিউজপ্রিন্ট নামক ব্লগারের । তাকে একটু পরিচয় করিয়ে দিই। তিনি বিশিষ্ট উচ্চ বংশের লোক, উনারা একসময় এদেশের মানুষদের শাসন করতেন আমরা উনাদের খাদেম ছিলাম উনাদের সামনে দাঁড়ানোর সাহস পেতাম না।(এমনটি উনি বলেন।) উনি মানুষদের বংশ পরিচয় উদ্ধার করে বেড়ান। উনার পোস্ট ঘেঁটে দেখলাম উনি চৌর্যবৃত্তি তে মাহির। আশাকরি আস্তে আস্তে উনার বংশ পরিচয় আপনারাই বুঝতে পাবেন।
তারপর পোস্টে হাজির ঠাকুরমাহমুদ নামক ব্লগারের। উনি নিজেকে খুব বেশি পড়ালেখা জাননেওয়ালা একজন মনে করেন। আশাকরি উনার বিদ্যার দৌড় ও সহজেই বুঝা যাবে।
তাদের একটা নতুন পরিচয় পেলাম সেটা হ্ল সুবিধাবাদী নব্য স্বাধীনতা(খেকো)বাদি । ইনাদের হাম্বিতাম্বি ইদানিং বেশ দেখা যায়। ইনাদের লম্পজম্প দেখে স্বয়ং মুক্তিযোদ্ধারাও লজ্জা পায়, কখনো ভয় ও পায়। উনারা উনাদের অপছন্দের যে কোন কিছুকেই রাজাকার কিংবা দালালে কনভার্ট করে ফেলেন। এমনকি মুক্তিযোদ্ধারা ও এদের থেকে রেহাই পায় না। এরই মাঝে আমরা কাদের সিদ্দিকির মত বেশ কয়জন স্বীকৃত মুক্তিযোদ্ধাকে এমন লাঞ্চিত হতে দেখেছি। আমরা ঐ দিকে হাঁটব না কারন, ঐ ক্যাচাল অন্য সময় হবে।
আমরা নূর মোহাম্মদ নূরু ভাইয়ের অনেক পোস্ট পড়েছি। মন্তব্য ও খেয়াল করেছি। আপনারা কেউ কখনো কি তার লেখায় এমন কোন ইঙ্গিত পেয়েছেন যাতে উনাকে একজন জামাত শিবিরের কর্মী বা রাজাকার গোছের কিছু মনে হয়? আমি কখনো পাই নি। এমনকি যার পোস্ট সেই চাঁদগাজী সাহেবের লেখায়/মন্তব্যে ও তা পাই নাই।
আসেন, প্রথমে একটু বিনোদিত হই। কয়টা ভাঁড়ামি পূর্ণ মন্তব্য পড়ি- এগুলো ব্লগার (!)নিউজপ্রিন্ট এর -
“আপনি তাকে হিংসা করছেন, আপনি মার্কিন রাষ্ট্রে যেতে পারছেন না তাই কি কারণ ?” (অনেকে জানেন হয়ত চাঁদগাজী সাহেব যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী)
বেড়ে উঠা স্বাভাবিক না হলে কেমন যুক্তি বের হয় চিন্তা করুন।
আপনার নিজের লেখা কি - কপি পেষ্ট “কার মৃত্যু, কার জন্ম” - তাতে কেউ কোনো মন্তব্য করছে না
তার পোস্টে ঘুরে আসুন । দেখুন কয়টা মৌলিক পোস্ট প্রসব করেছেন।তিনি । লজ্জাহীনতার এক আদর্শ দৃষ্টান্ত। আসুন দেখি নিউজপ্রিন্টের পোস্ট পোস্ট
আর এটা বাংলাদেশ প্রতিদিনের - ২০১৫ সালের ডেস্ক রিপোর্ট
অতি উচ্চ চোর বংশীয় মানুষ ? সে নুরু ভাইকে জেজ্ঞেস করতে চায় ..কপি পেস্ট ... ???
চলুন তার স্পর্ধা দেখি।
(খেয়াল রাখবেন নুরু ভাইয়ের ব্লগিং বয়স ৪বছর ১ মাস, পোস্ট ১৪২০, ভিউ ২৪০৭৪৫ আর নিউজপ্রিন্ট এর ব্লগিং বয়স ৩ মাস, পোস্ট ৮ টি, ভিউ ২৪৬ )
চাঁদগাজী ভাই,
আপনাকে অনুরোধ করছি, নূর মোহাম্মদ নূরু সাহেবের মন্তব্য মুছে দিবেন না, নূর মোহাম্মদ নূরু বাংলাদেশ আইন সম্পর্কে নিতান্ত দুধের শিশু, ব্লগে তিনি এতা বড় মাস্তানি করবেন আর তার জবাব পাবেন না, তা হতে পারে না, নূর মোহাম্মদ নূরু সাহেব অপেক্ষা করুন আপনার দুঃখ আপনি ব্লগে লিখবেন আর ক্ষমা আপনি অবস্যই চাইবেন ব্লগে, এবং চাঁদগাজী সাহেবের কাছে ।
লম্প জম্প দেখছেন।! বাংলা সিনেমায় কিছু ভাঁড় থাকত যারা মারামারির দৃশ্যে নায়কের সামনে গিয়ে প্রচুর কেরামতি করত আর শেষ পর্যন্ত নায়ক তাকে কসিয়ে কানের নিচে থাপ্পড় বসিয়ে দিত আর তাতেই যা হওয়ার হয়ে যেত। ১৪০২ টি পোস্ট আছে এই ব্লগে এমন ব্লগারকে শাসাচ্ছে ৮ টি পোস্ট দেয়া একটা ভাঁড়। এরচেয়ে বড় সার্কাস আর কি হতে পারে।
আপনি নূর মোহাম্মদ নূরু সাহেব আপনাকে বলতে চাই আপনি বাংরাদেশ আইন সম্পর্কে এখনো নাবালক, হাতে হাতকড়া পরে নিউজ পেপারে আপনার যখন ছ্ব আসবে আপনি বুঝবেন ব্লগ কারো নানা বাড়ী মামা বাড়ী না ।
হাসছেন ? হা হা হা ... । আমিও না হেসে পারছি না । নূর মোহাম্মদ নূরু সাহেবের অন্যায়টা দেখুন, চাঁদগাজী সাহেবকে ক্ষমা চাইতে বলেছেন। সুমতি কামনা করেছেন। আর এই আহাম্মক এই কারনে নুরু ভাইকে প্রথম আলোর ফ্রন্ট পেইজে কল্পনা করছে তা ও হাত কড়া হাতে। এই ব্লগারগুলো বড় হবে কবে?
এই দেখুন তার আকুতি,-
সামহোয়ারইনব্লগ কতৃপক্ষ নূর মোহাম্মদ নূরু সাহেবের কমেন্ট বিবেচনা করবেন বলে বিশ্বাস করি ।
সামহোয়ারইনব্লগ কতৃপক্ষের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি নূর মোহাম্মদ নূরু সাহেবের দুঃসাহসের মন্তব্য বিবেচনা করার জন্য ।
সামু কর্তৃপক্ষ সত্যই যদি তার আকুতি শুনত। তবে স্বাভাবিক ভাবেই সব মন্তব্য পড়ে নিউজপ্রিন্ট, ঠাকুর মাহমুদ এই দুই বান্দার অশ্রাব্য শব্দের ব্যাবহার, অসংলগ্নতা আর খ্যামটা লম্পজম্প দেখে এদের কান মলে বের করে দিত।
এবার আসি আরেক ব্লগার (!)ঠাকুরমাহমুদ এর প্রসঙ্গে এই মহাজ্ঞানীর তৈলচিত্র দেখি –
আমরা ব্লগে গর্বিত আমাদের মাঝে একজন মুক্তিযোদ্ধা আছেন, যিনি নিয়মিত ব্লগে লিখছেন, আমরা গর্বিত তার লেখা নিয়মিত পড়ার সুযোগ পাচ্ছি, আমরা জনাব চাঁদগাজী সাহেবের কাছে ঋণী এবং এই ঋণ পরিশোধ করার নয়।
ছিঃ ছিঃ ছিঃ ...... । আমি হা হা হা রিয়েক্ট দিতে পারতাম। কিন্তু নিজেকে পড়ুয়া হিসেবে জাহির করা একটা লোকের এমন তৈলকর্ম দেখলে লজ্জা পেতে হয়। আমি নিশ্চিত স্বয়ং চাঁদগাজী সাহেব ও হয়ত এরপর থেকে আয়নায় নিজেকে দেখে লজ্জা পেয়ে যান।
মূল যায়গায় যাই । এই সব ব্লগার নামক অপদার্থ গুলো কোন যোগ্যতায় নূর মোহাম্মদ নূরু ভাইদের মত ব্লগারদের অবলিলায় রাজাকার/জামাত/শিবিরের ট্যাগ লাগায়। ঠাকুরমাহমুদ এর মন্তব্য, আজ ৪. ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২০ ব্লগে চাঁদগাজী সাহবেরে পোষ্টে নূর মোহাম্মদ নূরু সাহেব যিনি নিজেকে গনমাধ্যম কর্মী হিসেবে পরিচয় দেন তিনি চাঁদগাজী সাহেবকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইবার দাবী জানিয়েছেন - এ যেনো ১৯৭১ এ মুক্তিযোদ্ধার বুকে রাজাকার আলবদর আলশামসের দাবী আজকের ২০১৮ এ নূর মোহাম্মদ নূরু সাহেব !
যাই হোক এখানে শেষ নয় বরং শুরু। নমুনা দেখুন (নিউজপ্রিন্ট)-
নূর মোহাম্মদ নূরু আপনি জামাত শিবিরে পান্ডা আপনি বাংলাদেশের আইন দেখুন ।
জামাত শিবিরের পান্ডা ব্লগে এসে লিখে যাবে ক্ষমা চাইবার এতা বড় দুঃসাহস কিভাবে হয় নূর মোহাম্মদ নূরু সাহেব আপনার । চাঁদগাজী সাহেব ভদ্য লোক আপনাকে ভালোমানুষ বলছে - কিন্তু ব্লগে চাঁদগাজী সাহেবের প্রতিটি পোষ্টে আপনাকে পাই হিংসাত্বক নিকৃষ্ট মানুষ হিসেবে।
দয়াকরে লক্ষ্য করুন একজন প্রবিণ মুক্তিযোদ্ধাকে ব্লগে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে বলছেন নুরু মোহাম্মদ নূরু - এটা, এটা কি কোনো রাজাকারের দাবী ! ? তার গ্লুকোজ কমে নি, নূর মোহাম্মদ নূরু ১৯৭১ ফিরে গেছে চাঁদগাজী সাহেব এখন তার কাছে শত্রু বই আর কিছই না ।
ছাগলের তিন নম্বরটার অবস্থা আরও করুন। দেখুন কি লিখেছে - কাজী ফররুখ আহমেদ বলেছেন: নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: - আল্লাহ তাকে সুমতি দিন।
নূর মোহাম্মদ নূরু সাহেব ব্লগে মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান আছেন তাদের জিগ্যাস করে জেনে নিন, ১৯৭১ এ রাজাকারের সাথে আল্লাহ ছিলো, তারা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়নেওয়ালা ছিলো, তারা দাড়ীওয়ালা টুপিওয়ালা ছিলো, তারা ইসলামিক শাসনের নামে বাংলাদেশের মেয়েদের পাক বাহিনীর হাতে তুলে দেয়। মুক্তিযোদ্ধারা নামাজ পড়ার সময় পান নাই- আপনার আল্লাহর কসম দিয়ে বলছি মুক্তিযোদ্ধারা নামাজ পড়ার সময় পান নাই তারপরও দেশ স্বাধীন হয়েছে - আল্লাহ আপনাকে সুমতি দিন নূর মোহাম্মদ নূরু ।
১৯৭১ এ রাজাকারের মুখেই সবচেয়ে বেশী আল্লাহর নাম শোনা গেছে - ভয়ংকর হলেও সত্যি ।
আল্লাহ আপনাকে সুমতি দিন নূর মোহাম্মদ নূরু । এই মন্তব্যটি একজন বিকারগ্রস্থ মানুষের মনে করে পড়ে ফেলুন এর কোন মর্মার্থ নেই।
মানে কি ? চাঁদগাজী ভাই হাজারো মুক্তিযোদ্ধাদের মত একজন দোষে গুণে মানুষ মাত্র। উনি উল্টাপাল্টা মন্তব্য করেন এটা অনেকেই জানেন এমনকি উনি নিজেও জানেন এবং স্বীকার ও করেন। এখন নুরু ভাই এর জন্য ক্ষমা চাইতে বলতেই পারেন। চাঁদগাজী ভাই ও এর যতার্থ জবাব দিয়েছেন। কিন্তু এদের সমস্যা কোথায় ? চাঁদগাজী সাহেব ঈশ্বর না ভগবান যে তার ভুল থাকতে পারেনা।? বা তার ভুলের ক্ষমা চাইতে যাওয়া অন্যায়? চাঁদগাজী সাহেব মুক্তিযোদ্ধা । সম্পূর্ণ ব্যাক্তিগত এবং আচরণগত একটা প্রসঙ্গে মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় এনে কাকে অপমান করতে চাইছে আর কার অপমান হচ্ছে? মুক্তিযোদ্ধাদের অপমানই হচ্ছে বেশি। এদের কথার মানে হল একজন মুক্তিযোদ্ধা যা ইচ্ছে আচরন করেন সবকিছুর উদ্ধে থেকে? ফেসবুকে নোংরামি চলে । এগুলো করে একটা নির্দিষ্ট ক্লাসে স্টার হওয়া যায়। এখানে ব্লগে অন্য পদ্ধতি আছে। চাঁদগাজী ভাই সেগুলো কাজে লাগাচ্ছেন। উম্মাত্ত নোংরামির জায়গা এটা না। ব্লগ আর ফেসবুক এক না।
এবার অন্য টপিক। চাঁদগাজী ভাই এর প্রো পিকটা অনেক পুরনো হয়ে গেছে, এটা কেমন হয় -
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৫৪