নিরুদ্দেশ যাত্রা
হাসান মুহাম্মদ মোক্তার
তোমাকে পাওয়ার আকুল বিনিদ্র আখিঁ রজনী
একা একা আর কতকাল! থাকি বল
আমি তোমাকে ছাড়া শূন্যে ভাসি
এই যে তোমর চলে যাওয়া
শুধু চেয়ে চেয়ে দেখলাম
চাতক পাখির মত
কী নিষ্ঠুরতাই তোমাকে মাঝে সাঝে পেয়ে বসে
ভালবাসার পাগলামি
এভাবে কী জীবন চলে!
তোমাকে ছাড়া আমার চলবে না
তাহলে কেন বুঝ না আমি কী চাই
আমি খুব দূরে চলে যেতে চাই
তোমাদের ছায়া থেকে বহুদূরে অনেক দূরে
তুমি শুধু অপেক্ষায় থাকবে…
অনাদিকাল, অনন্তকালও নয়
এইতো সামান্য সময় মনের পরিবর্তন হলেই
তোমার আমি ফিরে ঠিক তোমার কাছে
একজায়গায় দীর্ঘদিন থাকতে থাকতে অস্থির হয়ে যাই
শুধু বলি পাগলের প্রলাপ,বোর হয়ে যাই
মু্ক্তি চাই জগতের শেষ সীমায়
ছায়পথ কিংবা মুক্তির পথ খুজিঁ নিরন্তর
কেন জানি ভাল লাগে না আমার
মনচায় নিরুদ্দেশে যাত্রা করি-
এ কোন যাত্রা জানি না!
এ যাত্রা তোমাদের
নিরন্তর নিরবধি কি যেন নেই আমার
কোথাও কিছুর অভাব অনুভব করি
কারা যেন ফেলে চলে গেছে মোরে
সে কারা খুজিঁ নিরবধি,,
এই প্রশ্নের উত্তর পাইনি কোনদিন
কেউ বোঝে না আমায় । চাপা ক্ষোভ রক্তে রঙিন
অঝোর ধারায় বৃষ্টি নামে আমার একটি আখিঁতে
এ জল একটু একটু বাড়তে থাকে বন্যার পানির মত
আমি যে ভুলে যাই আমার মত করে-ক্ষয়ে যাওয়া মতিষ্কের মত
সব হারিয়ে ফেলি স্মৃতির অকপটে
সব ডিলিট হয়ে নষ্ট হয়ে যাওয়া পেনড্রাইভের মত
সব ঠিক আছে ভেতরটা ফাকাঁ
যাকে বলে অন্তর সারশূন্য
খুব চলে যেতে ইচ্ছে করে নির্জন কোন দ্বীপে
যেখানে আমিই শুধু থাকব অন্য কেউ নয়
শৈশবে খুব ধার্মিক ছিলাম এখন তেমনটা নয়
আমাকে বিধাতা খুজেঁ পায়,আমি দেখতে চাই তাকে
ইহকাল ত্যাগ করে পরকালে যেতে চাই
যদি খানিকটা শান্তি পাই
আমি শান্তিকামী তাই শান্তি চাই
এই মিনতি অর্ন্তরযামীর কাছে
বেচেঁ থাকার প্রবল ইচ্ছা নেই আমার
তবে নিজেকে হত্যা কখনোই ভাবিনি
সাধারণ মুত্যু সবসময়ই কাম্য সবার
আমারও তাই ---