ইসলাম সম্পর্কে অমুসলীম কয়েকজন মণিষীদের মতামত...
শ্রী মহাত্মা গান্ধীঃ
প্রতীচ্য যখন অন্ধকারে নিমজ্জিত, প্রাচ্যের আকাশে তখন উদিত হল এক উজ্জল নক্ষত্র এবং আর্ত পৃথিবীকে তা দিল আলো ও স্বস্তি। ইসলাম একটি মিথ্যা ধর্ম নয়। শ্রদ্ধার সাথে হিন্দুরা এর অধ্যয়ন করুক তাহলে আমার মতই তারা একে ভালবাসবে।
শ্রী স্বামী বিবেকানন্দ ঃ
ইউরোপের সর্বপ্রধান মনীষীগণ - ইউরোপের ভলটেয়ার, ডারউইনি, বুকনার, ভিক্টর হুগো-কুল বর্তমানকালে ক্রিশ্চানী দ্বারা কটুভাষিত এবং অভিশপ্ত; অপরদিকে এ সকল পুরুষকে ইসলাম বিবেচনা করে যে, এ সকল পুরুষ আস্তিক, কেবল এদের নবীর-বিশ্বাসের অভাব। ধর্ম সকলের উন্নতীর বাধকত্ব বা সহায়কত্ব বিশেষ রুপে পরীক্ষিত হোক, দেখা যাবে ইসলাম যেথায় গিয়েছে, সেথায়ই আদিম নিবাসীদের রক্ষা করেছে। সেসব জাত সেথায় বর্তমান। তাদের ভাষা, জাতীয়ত্ব আজও বর্তমান।
ইউরোপে যা কিছু উন্নতী হয়েছে তার প্রত্যেকটি খ্রিষ্টান ধর্মের বিপক্ষে বিদ্রোহ দ্বারা। আজ যদি ক্রিশ্চানী শক্তি থাকত তাহলে পাস্তের এবং ককের ন্যায় সকলকে জীবন্ত পোড়াত এবং ডারউইন-কল্পদের শূলে দিত। এর সাথে ইসলামের তুলনা কর। মুসলমান দেশে যাবতীয় পদ্ধতী ইসলাম ধর্মের উপর সংস্থাপিত এবং ইসলামের ধর্মশিক্ষকেরা সমস্ত রাজকর্মচারীদের বহুপূজিত এবং অন্য ধর্মের শিক্ষকেরাও (তাদের নিকট) সন্মানিত।
শ্রী জওহরলাল নেহেরুঃ
হযরত মুহাম্মদের প্রচারিত ধর্ম, এর সততা, সরলতা, ন্যায়নিষ্ঠা এবং এর বৈপ্লবিক গনতান্ত্রিক ব্যাবস্থা, সমতা, ন্যায়নীতি পার্শ্ববর্তী রাজ্যের লোকদের অনুপ্রানিত করে, কারন এ সমস্ত রাজ্যের জনসাধারন দীর্ঘদিন যাবৎ একদিকে শাষকগোষ্ঠী কর্তৃক নিপীড়িত, নির্যাতিত হচ্ছিল। অপরদিকে ধর্মিয় ব্যাপারে নির্যাতিত নিষ্পেশিত হচ্ছিল পোপদের হাতে। তাদের কাছে ইসলাম বা মুহাম্মদের নীতি নতুন ব্যাবস্থা ছিল মুক্তির দিশারী।
গুরু নানক ঃ
বেদ পুরানের যুগ চলে গেছে; এখন দুনিয়াকে প্রচারিত করার জন্য কুরআনই একমাত্র গ্রন্থ। মানুষ যে অবিরত অস্থির এবং নরকে যায় তার একমাত্র কারন হচ্ছে ইসলামের নবীর প্রতি তার কোন শ্রদ্ধা নেই।
আমি জানি উনি শেষ জীবনে ইসলাম গ্রহন করেছিলেন কিনা।
মেজর আর্থার গ্লীন লিনওয়ার্ডঃ
আরববাসীদের উচ্চ শিক্ষা সভ্যতা ও মানসিক উৎকর্ষ এবং তাদের উচ্চ শিক্ষার প্রণালী প্রবর্তিত না হলে ইউরোপ এখনো অজ্ঞানতার অন্ধকারে নিমগ্ন থাকত। বিজেতার উপর সদ্বব্যাবহার ও উদারতা তার যে প্রকার প্রদর্শন করেছিলেন তা নিতান্তই চিত্তাকর্ষক।
পাদ্রী আইজ্যাক টেলরঃ
জগতের বহু দেশব্যাপী ইসলাম ধর্ম খ্রীষ্টধর্ম অপেক্ষা সাফল্য লাভ করেছে। সর্বক্ষেত্রে খ্রীষ্টধর্ম প্রচার ক্রমশ ক্ষীন থেকে ক্ষীনতর হয়েছে এবং ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের খ্রীষ্টধর্মে দীক্ষিত করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে, এমনকি যে স্থানসমূহে পূর্বে খ্রীষ্টধর্ম প্রচারিত ছিল তাও ক্রমশ খ্রীষ্টধর্মের প্রভাব মুক্ত হতে আরম্ভ করেছে। মরোক্ক হতে জাভা এবং সম্প্রতী একপ্রান্ত থেকে অপর পর্যন্ত স্বীয় প্রভাব বিস্তার করে ইসলাম ধর্ম সুদীর্ঘ পদবিক্ষেপে এশিয়া, ইউরোপ, আফ্রিকা, ও আমেরিকা প্রভৃতি মহাদেশেই অধিকার করতে অভিযান আরম্ভ করেছে।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ বিকাল ৪:১১