লুপার (২০১২)
এই মুভি বুঝতে হলে টাইম ট্রাভেলিং সম্পর্কে টুকটাক জ্ঞান থাকা একটা জরুরী ব্যাপার।
২০৭৪ সালের দিকে আইনের হাত বেশি লম্বা হয়ে যায়। কাউকে খুন করে আইনের হাত থেকে বাঁচা অত্যন্ত অসম্ভব একটা ব্যাপার তখন। তারপরেও হত্যা করাতো খুবই জরুরী বিষয়। এজন্য ২০৭৪ সালে কাউকে মার্ডার করার দরকার হলে তাকে চোখ বেঁধে টাইম মেশিনে ভরে অতীতে মানে ২০৪৪ সালে পাঠিয়ে দেয়া হয়। ২০৪৪ সালে মার্ডার করে বাঁচা যায় কারণ আইনের হাত তখনো ততটা লম্বা হয়নাই।
ভবিষ্যত থেকে এরকম ভিকটিম টাইম ট্রাভেল করে পাঠানো হয়, একটা অর্গানাইজেশনের প্রফেশনালরা এদের হত্যা করে লাশ ঠিকানা লাগায়। এই প্রফেশনালদের বলা হয় 'লুপার'।
সব ভালোর মধ্যে হঠাৎ 'রেইন ম্যাকার' নামে কেউ একজন লুপারদের ধ্বংস করার জন্য ভবিষ্যত থেকে বয়স্ক লুপারদেরকেই পাঠাচ্ছে। মানে হচ্ছে, একজন লুপার নিজেই, বৃদ্ধ্ব নিজেকে হত্যা করবে। এটাকে বলে, 'ক্লোজিং দ্যা লুপ'। এটাকে টাইম ট্রাভেলের ভাষায় বলে প্যারাডক্স।
সহজ ভাবে বুঝার জন্য ধরুন, আপনার বয়স ৫৫ এবং আপনি টাইম ট্রাভেল করে ২০ বছর বয়সের আপনার কাছে গেলেন এবং সেই ২০ বছর বয়সের আপনি আপনার ৫৫ বছরের আপনাকে খুন করে ফেলল। তখন আর দুনিয়ায় আপনি বলতে কেউই থাকবে না। আপনার অতীত বর্তমান ভবিষ্যত সব শেষ।
লুপারদের একজনের নাম হচ্ছে 'জো' (Gordon-Levitt)। রেইনম্যাকার বৃদ্ধ্ব জো মানে ব্রুস উইলিসকে পাঠায় ইয়াং জো এর কাছে হত্যা করার জন্য। কিন্তু বৃদ্ধ্ব জো যেমন অতিব ডাই হার্ড বান্দা। বৃদ্ধ জো'কে মারতে পারে নাই ইয়াং জো। এজন্য লুপার অর্গানাইজেশন ইয়াং এবং বৃদ্ধ জো'কে কোপানোর জন্য খুজতেছে। বৃদ্ধ জো ইয়াং জো'কে বাঁচাতে হবে না হলে নিজের এক্সিস্টেন্সই থাকবে না। তার পাশাপাশি এবার রেইনম্যাকারের বাচ্চা ভার্সনকে খোজে বৃদ্ধ জো।
বিশাল প্যাচাল। দেইখা নিয়েন।

ডলিংকঃ
http://thefile.me/ycui21iiyjo8
-------------------------------------------
মুন (২০০৯)
স্যাম বেল (Sam Rockwell) চান্দে জব করে লুনার ইন্ডাস্ট্রিজ নামের এক কোম্পানির জন্য। তিন বছর সে চাঁদে থাকবে এমন কথা। কাজ হচ্ছে চাঁদে হিলিয়াম-৩ হারভেস্ট করার পর তা রকেটে করে পৃথিবীতে পাঠানো। নিজে কিছু করা লাগে না। সবই কম্পিউটারাইজড। তার সাথে আর কেউই নাই, সে আর একটা রোবট কম্পিউটার 'গার্টি'।
সে দিন গোনে, পৃথিবীতে যাবে। পরিবারের সাথে সময় কাটাবে। কিন্তু পৃথিবীর সাথে যোগাযোগের কোনো পদ্ধতি নাই। পৃথিবী থেকে খবর পাঠানো ম্যানুয়ালি খবর পাঠানো হয়েছে যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে যোগাযোগ নাকি করা যাবে না।
তিন বছর তার কাছে অনেক সময় মনে হতে থাকে। তার হ্যালুসিনেশন দেখা শুরু হয় এবং হ্যালুসিনেশনে হুর-পরী দেখতে গিয়ে তার রোভার এক্সিডেন্ট করে বেইজ ক্যাম্প থেকে দূরবর্তী একটা হারভেস্টারের সাথে এবং সে সেখানে বেহুশ হয়ে পরে থাকে।
কিছুক্ষণ পর সে নিজেকে দেখে মেডিকাল ইনফার্মারিতে গার্টি তার দেখভাল করছে। তার কাছে খটকা লাগে, তারে কে নিয়ে আসল এখানে। এরপর সে বাইরে যায় যেখানে তার এক্সিডেন্ট হয়েছিল। সেখানে গিয়ে দেখে হুবহু তার মত দেখতে একজন এক্সিডেন্ট করা রোভারের মধ্যে কাইত হয়ে আছে।
পরে সে নানান প্যাচালের পর জানতে পারে সে মানুষ না, সে হচ্ছে একটা ক্লোন। লুনার ইন্ডাস্ট্রিজ তার মত এরকম হাজার হাজ্র ক্লোন তৈরী করে রেখেছে। তাদের সবার মেমোরি এক। সবাই এরকম পৃথিবীতে যাওয়ার অপেক্ষায় তিন বছর কাটাবে। শেষে তাদের হ্যালুসিনেশন দেখা দিবে, অথবা অন্য কোনো কারণে কিছু হলে নতুন ক্লোন নামাবে এমন ঘটনা।
ডালিংকঃ
http://thefile.me/tjkjoeckwq5n
--------------------------------------
দ্যা ফাউন্টেইন (২০০৬)
ভালবাসার মাধ্যমে অমরত্বকে পাওয়া নিয়ে - অতীত, বর্তমান এবং ভবিষ্যতের উপর প্যারালালি তিনটা গল্প বলা হয়েছে।
মায়া সভ্যতার একজন বীর সৈন্য তার বন্দী রাণীকে মুক্ত করাতে জীবন বৃক্ষের সন্ধানে বের হয়।
একজন মেডিক্যাল রিসার্চার তার মৃত্যুযাত্রী স্ত্রীর টিউমর সাড়াতে নানান গাছের মধ্যে এর নিরাময় খুজে যায়।
তৃতীয় গল্পে যা দেখানো হয় তা মৃত্যুর পর বোঝানো হয়েছে। অন্য দুটি গল্পের মিশ্রণ দেখানো হয়েছে এতে। মহাশুন্যে একটি বাবলের মধ্যে একটি মৃতপ্রায় গাছ। মায়ানদের মতে এই গাছ জিবালবা নেবুলাতে (Orion Nebula) নিয়ে গেলে, মৃতপ্রায় গাছটি আবার জেগে উঠবে, ফুল ফোটাবে। এই আশায় একজন এই গাছটাকে মৃত তারার কাছে নিয়ে যায়।
গার্লফ্রেন্ট্রে বাছানোর জন্য এত কিচু? আমার গার্ল্প্রেন্টটা যদি টয়লেটে আছার খাই পরি দুই মাস পঙ্গু থাকার পর মরি যাইত আমি কত খুশি হইতাম।


ডালিংকঃ
http://thefile.me/vozdl337ogas
এপিসোড - ১
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ ভোর ৫:৫২