কঙ্করময় ঘাসে পাখির মতো কেঁদে ,হেঁটে হেঁটে একদিন -
তোর ঘরের দ্বারে ঝুলিয়ে দেবো কোন অলিখিত কাব্য !
আগুন আগুন বরফে জ্বলতে থাকে মায়ারফি আবেদন ,
এতো শীতল হলেও বুকে আগুন আছে পাখির মতন ।
ঘাস ,কুটো দিয়ে বাসা বেঁধে ডালে বসে কাঁদে সমস্ত অভিমান ,
একদিন ঘরের চালে শুকনো মরিচ খেতে এসে দেখে যাবো তোকে ,
মাঝে মাঝে সবসময়ের জন্য পাখি হতে নিঃশব্দ সাধ জাগে ।
মেঠোপথের ধুলোকনার ফাঁকে ইটের টুকরো পায়ের নখে টোকা মারে ,
জানতে চাইলে বলে ,'তোকে দেখেছে বাবুইয়ের ঘরে রাত পোহাতে' !
ঘরের চালে শুকনো পাতার শব্দ হবো আচমকা উত্তরা বাতাসে ।
তোর চুলের খোপায় বেঁধে দেবো তরুলতার পরগাছা ইতিহাস !
সেদিন পুকুরের পালক খসে যাবে হয়তো ,পাখির গভীরতা বাড়বে ।
যেখানে পাখিদের প্রেমিকা বদল হয় ,রাত কাঁদে জেগে ,মরে ,
নীল কালো হয়ে পাখির ঠোঁটে যন্ত্রণার অমৃত সুধা ঢালে ,
ঠিক সেখানে ,উত্তরের মরা তালগাছটায় দাঁড়াব মৃত পাখি হয়ে !
মৃত পাখিদের হৃৎপিণ্ড থাকে ঠোটে জেগে ,মৃত্যুর পরে ।
যদি কখনও পাখি হতে ইচ্ছে করে ,যদি খুঁজে ফেরো পাখির শব ,
তবে শুধু একবার ,পুনর্বার ঘৃণা নিয়ে নাম ঊচ্চারিও ,
দাঁড়িয়ে যাবো মুখোমুখি ,তোমার থু থু উঠোন ছোবার আগে ।।