আর একটা কবিতা লেখার অনুমতি পেয়েছি ঈশ্বরীর চরণ পূজে !
সে যে চলে গেল ,তারপরে কোন রাতের যন্ত্রণাই বলা হয়নি কারো কাছে ।
সে ফিরে এল অন্য পুরুষের দেহের গন্ধ গায়ে মেখে একদিন গভীর রাতে !
অবাক হয়ে ভাবলাম ,তার এখনও মনে আছে আমাকে ? হায় ঈশ্বরী !
জ্যোৎস্নার মতো চকচকে আর সমুদ্রের মতো নীল যে বিষাদ দিয়েছিলে -
সময় কাটানোর ছলে রাত গভীরে ,ওসবের এখন অনেক দাম জানো তো ?
এক অচেনা মানবী চেনা পরিচয়ে বুকের ভেতরটায় ঢুকে গেল সশব্দে ,
কেউ কিছু বলল না ! পাঁজরের হাড় গুলি মাতাল ছিল নাকি ? তাই হবে হয়তো !
তারপর তার কথার খই ,মনে পড়ে ,সে অনুতপ্ত ,তার ইচ্ছে করে সব সুধিবে -
তবে সে জানায়নি কিন্তু , প্রথম দিনের মতো কি এখনও এ মিথ্যেবাদীকে ভালবাসে !
সবসময় সুজাতারা সুখে থাকে না ,আমার সুজাতা বড় চঞ্চলা ,বাস্তবতার অভিনয় জানে ,
আসলে মনের গভীরে একা ,আর সমুদ্রে নয় ,মরুভূমি হলেও তার ডাঙ্গায় থাকার ইচ্ছা ।
সে জানেইনা যে মানুষটাকে ফেলে চলে গেছে তার চোখের পাতা ক্লান্ত হলেও ঘুমিয়ে পড়ে না !
মানুষটা অপেক্ষা করে কোন সন্ধ্যা কিংবা গভীর রাত ,মুঠোফোন বাজবে ,সেই প্রিয়তমা -
চেনা কণ্ঠে জানতে চাইবে ,কি করো ? কেমন আছো ? মনে আছে আমাকে ? বলতো কে ?
উৎসর্গ- সমুদ্রবাসিনীকে ।।