কি হয়েছিল এক্সলি ,গত সেপ্টমবরে তালেবান পুতুল খেলার মত হঠাৎ আক্রমন করে মাত্র কয়েক ঘন্টা ব্যবধানে কুন্দুজ দখল করে নেই । কিন্তু কুন্দুজ এয়ারফোর্ট কুন্দুজ শহরের বাহিরে , পরিত্যক্ত জার্মান বেসের কাছে এবং কাবুলের সাথে সাপ্লাই রোডের সাথে হওয়ায় তা প্রথমে রক্ষা করতে মরিয়া হয়ে উঠে ন্যাটো । যদি ততক্ষনে সংঘর্ষ পৌছে যায় এয়ারফোর্ট টার্মিনালে । প্রায় ডজনখানেক গানশিপের মাধ্যমে তালিবকে পোস করা হয় এয়ারফোর্ট থেকে । কিন্তু প্রায় ১৪ দিনের যুদ্ধে একবার শহরের সেন্টার নিয়ন্ত্রনে নিলেও শহরে কাছেই ঘষতে দিচ্ছিল না ন্যাটোকে তালেবান । ন্যাটো তালেবানকে উরবান ওয়ার ফ্যায়ারে যতটুকু দুর্বল মনে করে ছিল তার চাইতে দ্বিগুন উৎসাহে তালেবান যুদ্ধ করতে ছিল। এবার ন্যাটো তাদের যত্রতত্র বোম্পিং শুরু করে । তারমধ্যে অন্যতম ছিল ডক্টর ইউথ আউট বর্ডারের হসপিটাল , যা একমাত্র হসপিটাল তখন পর্যন্ত সার্ভিসে ছিল । তারা তাদের সংঘর্ষের শুরুতে তাদের জিপিএস ন্যাটো কমান্ডকে অবহিত করে । যখন তাদের হসপিটাল প্রথম হিট হয় তারপর প্রায় আধ ঘন্টা ন্যাটো কমান্ডকে বলতে থাকে তারা হসপিটাল বোম্পিং করছে। তারপর ও প্রায় দেড় ঘন্টা নিরবিচ্ছিন্ন বোম্পিং চলতে থাকে । যার মধ্যে প্রায় শিশু সহ ১০০ জন সিভিলিয়ান আহত রোগী নিহত হয় । এবং বোম্পিং এর খবর মিডিয়ায় আসলেও প্রায় ২৪ ঘন্টা নিরবতা পালন করা হয় ন্যাটো থেকে । মানে এরা সবাই জানত এক্সলি কোথায় আঘাত করা হয়েছে। তারপর তাদের থেকে কমেন্ট করা হয় হসপিটালের মধ্যে তালেবান ছিল । কিন্তু বেচে যাওয়া কয়েক জন কর্মকর্তা , ডাক্তার , আহত হওয়া কিছু নার্স তা সম্পূর্ন ভাবে রিজেক্ট করে । তারাদের হসপিটালে অস্ত্র নিয়ে প্রবেশ সম্পর্ন নিষিদ্ধ ছিল বলে জানায় এবং তাদের সোস্যাল মিডিয়ার মাধম্য পাবলিকের কাছে চলে আসার পর আমেরিকা স্বীকার করে এটা ভুল ছিল । কিন্তু এরই মধ্যে তালেবানের সাথে কুন্দুজের বৃদ্ধরা বৈঠকে অনুরোধ করে ইউথড্র করার জন্য ।যাতে সিভিলিয়ানের আরো ক্ষতি হওয়া থেকে বাটা যায় । এবং তালেবানে ১৫ দিন পর বিকালে আস্তে আস্তে ইউথড্র করে।
সেই হসপিটালেও ছবি ।
কথা হল : জেনে বুঝে ইচ্ছা মত একটা হসপিটাল বোম্পিং করার পর ঘোষনা দিলেন এটা যুদ্ধপরাধ নই । বাহ জোর যার মুল্লুক তার ।
জয়তু ইউনাইটেড স্টেট অফ আমেরিকা । হ্যালো মানবতাবাদী , হ্যারা আবার আমাগো দেশে কে মরল আর কে মরল না তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে
Military Conflict News