somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

জানি, আমাকে আর কখনো ডাকবে না।

১১ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ৯:১০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

যখন বাবা বেত দিয়ে মেরে শাসন করতো তখন মায়ের আচলে গিয়ে লুকতাম। আর যখন মা শাসন করতো তখন দাদুর কাছে চলে যেতাম। আম মায়ের নামে নালিশ করতাম। আর দাদু আচ্চা করে ঝাড়ি দিয়ে দিত।


দাদু যখন দিন দিন বৃদ্ধ হচ্ছিল তখন দাদুকে সবাই দেখতে আসত। দাদুর জন্য নিয়ে আসত বিভিন্ন ফল। দাদু আগে আমাদের দেওয়ার আগে কখনোই এই গুলো খেতেন না। আমাদেরকে দিয়ে তারপর তা মুখে দিতেন।


আমার কবুতর পোষার শখ সেই ছোট কাল থেকেই। অনেক কান্নাকাটির পর বাবা আমায় এক জোড়া কবুতর কিনে দিয়ে ছিলেন। সেই জোড়া কবুতর থেকে একটি পালিয়ে যায় অন্য কবুতরনীর হাত ধরে । আমি সেই দিন খুবই কান্নাকাটি করছিলাম। আম্মু মনে মনে খুশি হয়ে ছিল, কারন কবুতর গুলো পুরো বাড়ি পায়খানা করে নষ্ট করে ফেলত। আমার দাদী আমার কান্না দেখে নিজেই বাজারে গিয়ে আর একটি কবুতর কিনে আনলেন । আমাকে দিলেন । আমি শুধু কৃতজ্ঞতার চোখে দাদীর দিকে তাকিয়ে ছিলাম। আর দাদী আমার মাথায় হাত বুলাচ্ছিলেন।

দাদী যখন খুবই অসুস্থ হয়ে পড়ে ছিল। একদম বিছানা থেকে উঠতে পারতো না। তখন আমাদের ডেকে অকারনে হলেও পাশে বসিয়ে রাখতো। অনেক সময় হারিয়ে যাওয়া যৌবনের কথা মনে করে আমাদের তার গল্প শোনাতো। আমরাও বিভিন্ন প্রশ্ন করতাম। মাঝে মাঝে বিরক্তি বোধ করতাম। এখন বুঝতে পারছি তিনি আমাদের কতটুকু ভালবাসতেন। আমরাও তাকে কতটুকু ভালবেসে ফেলেছি।

পুন্শত:- গত ১ তারিখ আমার দাদী এই দুনিয়া ছেড়ে চলে গেছেন। তার চলে যাওয়ার পর প্রচন্ড এক শূন্যতা অনুভব করছিলাম । সেটা হয়ত কারও কোন অনেক আপন কেউ চলে গেলেই অনুভব করে। আপনাদের কাছে আমার দাদীর জন্য দোয়া চাইছি। আমার দাদীকে আল্লাহ জান্নাতুল ফেরদাউস নছীব করুন।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ৯:১৯
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

রক্তজবা ও গোলাপ

লিখেছেন কৃষ্ণচূড়া লাল রঙ, ১৫ ই মে, ২০২৫ রাত ১২:৩৭

ভালোবাসার রূপান্তর

তোমার শহরে তুমি বসে আছো,
রক্তজবা হাতে…
আমার শহরে আমি,
একটি গোলাপের বাগান গড়ি—
লাল রঙে রাঙা, নিঃশব্দে ফুলে ভরে।

তুমি একদিন বলেছিলে,
রক্তজবা মানেই চিরন্তন ভালোবাসা,
তোমার অভিমানে লুকোনো ছিল রাগের আগুন,
তবু তার গভীরে ছিল... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইহাকেই বলে আগবাড়িয়ে মাড়া খাওয়া

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৫ ই মে, ২০২৫ দুপুর ১২:৩৯


শিক্ষিত জঙ্গি মোদী ভোটের মৌসুম শুরু হওয়ার আগেই হাসিনার মতো জঙ্গি নাটক সাজায়; দুজনের পার্থক্য হলো হাসিনা নিজদেশের জনগন হত্যা করে নিজদেশের জনগনকেই দোষ দেয় অপর দিকে মোদী নিজদেশের... ...বাকিটুকু পড়ুন

সার্জিস কয়েক মাস আগে বলসিলো প্রায় ৭ কিমি পদ্মা রেল সড়ক সেতু বানানো খরচ মাত্র ১০ হাজার কোটি টকা হওয়ার কথা।

লিখেছেন আহসানের ব্লগ, ১৫ ই মে, ২০২৫ বিকাল ৩:২৫

সার্জিস কয়েক মাস আগে বলসিলো প্রায় ৭ কিমি পদ্মা রেল সড়ক সেতু বানানো খরচ মাত্র ১০ হাজার কোটি টকা হওয়ার কথা। ১৫-২০ হাজার কোটি নাকি চুরি হইসে।
তাহলে আজকে সার্জিস... ...বাকিটুকু পড়ুন

গণহত্যাকারী দল জামাত শিবিরকে নিষিদ্ধ করা হোক!

লিখেছেন সৈয়দ তাজুল ইসলাম, ১৫ ই মে, ২০২৫ বিকাল ৫:৫০



জামাত শিবির সুযোগ পেলে আবারও প্রকাশ্যে বাঙালী গণহত্যায় যুক্ত হবে, আওয়ামিলীগের পূনর্বহালের কথা ভাবতে গেলেই এই বিশ্বাসটা দৃঢ় হয়। এই হিসেব মিলাইতে গেলে আপনার রকেট সাইন্স... ...বাকিটুকু পড়ুন

মাসুদ(শাহবাজ ) তোমরা কি আর ভালো হবা না ?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৫ ই মে, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:২৯


বাংলাদেশপন্থীরা ভারত ও পাকিস্তানপন্থীদের হাউকাউতে অতিষ্ঠ। ভারত ও ভাদা রা মনে করে ১৯৭১ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ হয়েছিলো। ভারত বাংলাদেশ কে স্বাধীনতা এনে দিয়েছে। গুগলে সার্চ করলেও এমন কিছুর... ...বাকিটুকু পড়ুন

×