নরওয়েতে সে হত্যাযঙ্গের হত্যাকারী যার নাম ব্রেইভিক, যে একসাথে ৭৭ জনকে হত্যা করেছিল গুলি করে তার শাস্তি হয়েছে মাত্র ২১ বছর জেল অর্থাৎ ৭৬৬৫ দিন সে জেলের মধ্যে থাকবে। এই রকম শাস্তির অন্যতম কারন হল নরওয়েতে মৃত্যুদন্ড নিষিদ্ধ।
মানুষের জীবনের মূল্য কি এতই কম যে কাউকে হত্যা করার শাস্তি মাত্র ৯৯ দিন? আসলে তারা আইনের মাধ্যমে মানুষের জীবনকে মূল্য দিতে গিয়ে অনেক মানুষের জীবনকে যে এইভাবে শস্তা করে দিয়েছেন তা তারা নিজেও জানে না। না হলে ব্রেইভিকের জীবনের চিন্তা আছে যাদের হত্যা করেছে তারা কিছুই না!! অনেকে বলেন, তারা সমস্যার গোড়া হাত দিয়ে তাকে শেষ করতে চাইছেন। এই রকম কথা গুলো শুনে হাসি পায়। যখন অপরাধী নিজেই জানে আমাকে হত্যা করা হবে না তখন সে অপরাধ করতে যে ভয় পাবে না তা আর অপরাধীকে জিঙ্গাসা করতে হবে না।
আমার এক বন্ধু বলেছিল, আসলে সেখানে বিচার আছে কিন্তু ন্যায় বিচার নেই। তার কথার সপক্ষে সে যুক্তি দিল, তুমি তোমার মায়ের চিকিৎসার জন্য টাকা জমালে কিন্তু একদিন সে টাকা চুরি হয়ে গেল । তুমি পুলিশের কাছে অভিযোগ করলে । কিন্তু এই দিকে তোমার মা চিকিৎসার অভাবে মারা গেল। এই দিকে পুলিশ চোরকে ধরে বিচারকের সামনে নেয়া হল । আর বিচারক তাকে ১০ দিনের জেল দিল তুমি কি তা মেনে নিবে? তুমি অন্তত চাইবে তাকে কঠিন শাস্তি দেয়া হোক । হয়ত তুমি রাগে চোরকে তুমি হত্যা করে বসবে। তাও সমস্যা না । হত্যার বিচার মাত্র ৯৯ দিন ।
দেখুন, পশ্চিমাদের দুই মুখো নীতি। লাদেনকে হত্যা করা বিনাবিচারে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল হত্যা । অথচ, অভিযোগ তারা প্রমান করতে পারেনি । তার মানে অভিযোগ প্রমানিত হওয়ার আগে তাকে শাস্তি দিয়ে দেয়া হল ।সাদ্দামের ব্যাপারে আপনারাই বলুন। আর ব্রেইভিক এর কথা কি বলল সৌভাগ্য তার সৌদি আরবের মত দেশে তার বিচারের ভার দেয়া হয়নি । না হলে তার মাথা এতদিনে ৭৭ বার কাটা হত। যায় হোক সে যে হত্যা করছে পুরো বিশ্ব দেখেছে। সে নিজে স্বীকার করেছে সে হত্যাকারী। আর তার শাস্তি মাত্র ৭৬৬৫ দিন জেল!!! এবার আপনি বিচার করুন। কেন এই দুমুখো নীতি?
সবশেষ, যারা পশ্চিমাদের আইন আর সংস্কৃতি নিয়ে লাফালাফি করেন, ডুগডুগি বাজান তাদের বলছি আমি যদি আপনার ভাইকে হত্যা করি বা আপনার বোনকে ধর্ষন করি আপনি আমাকে কি শাস্তি দেবেন? পারবেন ব্রেইভিককে যে শাস্তি দিছে তা আমাকে দিতে না আমার মৃত্যু চাইবেন? যদি আমার শাস্তি মৃত্যু চান তাহলে দয়া করে আর ডুগডুগি বাজাবেন না।