somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বিরহের সুর (বাংলা সাহিত্যর বিশুদ্ধ প্রেমের কবিতা)

১৪ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ১১:৪৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


কতবার বলেছ

কতবার বলেছ-
চলে এসো বন্ধু
পাখিদের দলে
ডানার ঝাপটায় মুছে যাক স্মৃতির ফেনা।
একদিন গিয়েছি
সবুজ ছায়ায়
প্রিয়ার শিয়রে জ্বেলেছে প্রদীপ রাতের জ্যোৎস্নায়।


শেষ রাতে

শেষ রাতে ডাক দিলে বধূ- মধুর সুরে
জানালা খুলে দেখি কেউ নেই
বৃক্ষরা নুয়ে আছে জলার ধারে
চাঁদও গিয়েছে ডুবে
এভাবেই বিরহের সুর তুলে অবুঝ প্রিয়ে।


প্রেমের ব্যাকুলতায়

সন্ধ্যায় দিগন্তের নীলিমায় ভাসে মেঘ
জলাভূমি ছেড়ে আকাশের পথে নীড়ে ফিরে পাখি।
ও শুধু
অবুঝ মনে ঘর ভুলে
আর ফিরেনি,
যেতে যেতে ক্লান্ত-
রাত দিন হরদম প্রেমের ব্যাকুলতায়
পৃথিবী ছেড়ে, নক্ষত্র ছেড়ে, দিগন্ত ছেড়ে
অন্ধকারের আলোর সন্ধানে।


অপরূপ সন্ধানে

আমি কতকাল তোমার জন্য ছুটে যাব
আকাশে ছিলাম মেঘের সাথে
ফুলেতে ছিলাম সুবাস হয়ে
পাখির ডানায় ঘুরেছি দেশে দেশে
পথহারা পথিক হলাম ওগো অপরূপ সন্ধানে।


প্রেমের অনলে পতঙ্গ

রাতের গভীরে
নীরবে
ও এল
পাখিরা ঘুমিয়ে ছিল
বৃক্ষশাখারা নুয়ে ছিল গ্রামের ভেতর।
ও এল
শীতের শেষ রাতে
প্রেমের অনলে পতঙ্গ হতে।


অবুঝ প্রিয়া

পাখিরা কেন এলনা
দল বেঁধে আকাশে উড়িয়া
মৌমাছি এলনা হেলিয়া দুলিয়া
মেঘও এলনা আকাশ ব্যাপিয়া
শুধু এল জ্যোৎস্না রাতে অবুঝ প্রিয়া।


একটি পলক

দ্রুত উত্তাপ ছড়িয়ে গেল
আকাশে
আকাশে নয়
বাতাসে
বাতাসে নয়
সূর্যে
সূর্যেও নয়
মূহুর্তে যুবকটির দীর্ঘশ্বাসে
চোখের একটি পলকের জন্য।


ফুলগুলো

ফুলগুলো ফুটে আছে এখানে
কেউ দেখল না
পাখিরাও না
ভ্রমররাও না
একটি অবুঝ হৃদয়ের কার্ণিশে।


নদী তীরে

নদী তীরে কেউ নেই
আকাশের গাঙচিল
মাছরাঙা পাখি নেমে গেছে জলে,
দুপুর বেলা
গ্রামের ধানের ক্ষেত স্নিগ্ধ নিরবতা
কিশোরী শুধু এল একা
শিমুল ফুলের গ্রাম
ঠোঁট দুটো রক্তজবা।


নির্জন বিকালে

সবুজ ধান ক্ষেতের ধারে- শালিক উড়ে
বিলের শান্ত জলে ভাসে শাপলা
ওপারে কৃষাণি মেয়ের নাকের নোলক হারিয়ে
খুঁজতে এসে ভাসে দুই চোখ- নির্জন বিকালে।


অবশেষে

অবশেষে মার্চের শেষ রাতে
বাড়ি ফিরে এল
বোবা অনাথ বালিকা
জানালার শার্সীর ফাঁক দিয়ে
দু'হাত ভরে তুলে দিল
উজ্জল নিশিগন্ধ্যা।
ডিম লাইটের আলোতে ওর
হরিৎ মুখে নগ্নরাতের শব্দ শুনেছি
ওর চোখ রূপালী উজ্জল সফেদ
ঘন মেঘের ছায়া, সব সত্য হলে
ও আমার হারিয়ে যাওয়া খেয়া।


গত রাতে

গত রাতে আবারও তোমাকে স্বপ্নে দেখেছি
স্বপ্নে তুমি ছিলে একটি সুন্দর পাখি
পাখির পালক ভিজে বৃষ্টি নেমেছিল
রাতের আকাশ জুড়ে,
তুমি শুধু উড়ছিলে আর ঘুরছিলে
অবাক নার্সিসসাস ফুলে ফুলে।


ও একটি সন্ধ্যা

ও একটি সন্ধ্যাঃ
যা অন্ধকার ডেকে আনে
পীতবর্ণ ধারন করে দূরের আকাশ
নক্ষত্রেরাও জ্বলে উঠে
নদী হয় স্থবির।
আজ রাতে ও ডিঙ্গি বেয়ে
খুন করে গেল
এতিম বালকের বুকের চাষাবাদ।


ও একটি আবেগ

ও একটি আবেগ-
যা দ্রুতবেগে দৌড়ায়
খেলার মাঠে কিশোরের মতো
জলে ভাসা হাঁসের মতো
বিকালের বাড়ি ফেরা কাকের মতো।


আর দেখা হবে না

'আর দেখা হবে না'
এমন কথা আগে কখনো বলনি
হিরনবালা।
হসপিটাল রোড ধরে হাঁটতে গিয়ে
যে হাত ছাড়নি তুমি
পুবের জানালা সারাক্ষণ রেখেছ খোলা,
হিরনবালা-
আমার আসার প্রতিক্ষায় থেকে থেকে
দু'চোখ ঝুলিয়ে রেখেছিলে
বারান্দার ডেপটিজমের বাগানে।
আমাকে না পেয়ে তোমার
জন্মদিন ছিল অর্থহীন উৎসব।
হে হিরনবালা-
তোমার নির্মাণ শহরের মূল প্রাচীরে
লিখে রেখ ‌''এই ছেলেটির দুঃখ ছিল।"


একা যেওনা

একা যেওনা-
এই পথ গেছে অনেক দূরে
সামনের রেললাইন, সবুজ মাঠ
নীল আকাশ, জেলে বাড়ির উঠান
তারপর, দু'তলার নিচে
ও দাঁড়িয়ে পথের পানে চেয়ে।


কেমন আছ

চৈত্র মাসের অলস বেলায়
কেমন আছ?
কেমন আছ অলস বেলায় বকুল হেনায়
সাজের মায়ায়।
এখনো কি মনে পড়ে
মনে পড়ে আমার মতো
চোখ ফাটে কি অবিরত,
চারতলার সিঁড়ি ভেঙ্গে উপরে উঠ
ছাদের উপর, আকাশের আরও উপর
তারপর গভীর জলে নেমে পড়, যে জলে
বেহুলা তার ভাসিয়ে ছিল সোনার ভেলা।


হে সমুদ্র তীরের

হে সমুদ্র তীরের বাসিন্দা
সমুদ্রকে বলে দিও
বিশ্বাস করেই ঝাঁপ দিয়েছিলাম
অতল লোনা জলে
ভালোবেসে কুড়িয়েছিলাম মুক্তারমালা
উত্তাল সাগর তীরে।


মায়াবী মেয়ে

মানুষ জন্মের বহু আগে
সবুজ ঘাসেরা যখন ভরে গেছে পৃথিবী
ব্যাবিলন, এথেন্স, মিশরীয় রাজারা
তখনো আসেনি
হিন্দুকোষ থেকে বঙ্গ সাগরের পথে
রাতের পাখিদের ঝাঁকে উড়েছি আকাশে
অন্ধকারের রাতে তারাদের আলোয়
আহ! আমার সবুজ শ্যামল গ্রাম
জোনাকী পোকার আলোয়
নদীর মায়াবী জল
মাঝ রাতে দেখেছি চেয়ে
নীরব গ্রামের মোমের আলোয়
বসে বসে সারা রাত- মায়াবী মেয়ে।



সন্ধ্যারও কিছু পরে


সন্ধ্যারও কিছু পরে
গোলাপের বাগানে ছুটে এলে-
বুকে নিতে সু-ঘ্রাণ;
নীলিমার অস্তাচলে ডুবে গেছে সূর্য
আকাশে ফুটেছে নক্ষত্রের বাগান।


হেপিটাস

ও নিঃশ্বব্দে বলল-
''‌‌‍‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌দেখ দেখ বালিহাঁসেরা এ দিকেই আসছে।"
কচুরীপানাগুলো বাতাসে দুলে উঠল
একটা গাঙচিল উড়ে গেল দূরের বিলের আকাশে,
আর ওর নরম গালে ভাজ পড়তে লাগল
অনবরত কথার পরিশ্রমে। ওর চোখ
কেমন ছলছল করে কাঁপতে লাগল
মধ্যরাতে বৃষ্টি ধারায় স্নাত আউসের ক্ষেত।
ও হল আমার প্রিয় মানুষ হেপিটাস।
আসল নাম জুলেকা বিবি।
পিতা কাঠমিস্ত্রী জয়নুদ্দিন।
ও আমাকে এত বেশী ভালোবাসে বলেই
ওর চোখে চোখ রেখে
শীতল হল ঝর্ণাধারা। পথিক যেমন
হারিয়ে খুঁজে গতকালের স্বপ্নের ধরা।



চাঁদের জোছনায়


আমি শিক্ষা পাই
ওর নির্জনতায়
নদী যেমন স্থবির হয়
চাঁদের জোছনায়।


সেই রাতে ওর

সেই রাতে ওর ঘুম ভাঙ্গিয়ে
ভুল করেছি
যে ছিল বংশীবাদক
সে এখন মাদক সেবক।
নদী যেমন শুকিয়ে গেলে
বুক ফাটে তার রৌদ্র তাপে,
কৃষাণ তার শীতের ফসল
রোপন করে খোলা মাঠে
চেয়ে থাকে উদাম দেহে,
সেও ঠিক তেমনি করে
ভালোবেসে চেয়েছিল সুখী হতে।
ও আকাশ খোলা আকাশ
পূবের ঐ বৈরী বাতাস
কেন তারে নিল কেড়ে।


বেলা শেষে

বেলা শেষে ঘরে ফিরে পাখি
রাতেরা ফিরে আসে সন্ধ্যার কাছাকাছি
নিশীগন্ধ্যা সেও জেগে উঠে করিডোরের টবে
গোধূলি ফিরে আসে পৃথিবী ভ্রমণে এসে
শুধু বনমালা এলনা পুণর্বার ভালোবেসে।


তোমাকে খুঁজি আমি

চাঁদ ডুবিছে, আঁধার নেমেছে
জোনাকিরা ফিরে গেছে জংলার গভীরে
পাখিরা ঘুমিয়ে আছে
বৃক্ষশাখারা নুয়ে আছে নীরব গ্রামের পথে
মাঝরাতে আউস ধানের ক্ষেতে
আমরা বিহার করি আঁধারে
তোমাকে খুঁজি আমি, আমাকে খুঁজ তুমি
আমরা খুঁজি অন্য কাহারে।


একদিন যদি

একদিন যদি
পৃথিবী হয় ফুলের বাগান
নারী হবে মালিনী
আমি হব তার প্রাণ।


বিলের ধারে

বিলের ধারে অতল জলে
জল ভরে গো ভর দুপুরে
কলসী কাখে বাড়ি ফিরে নতুন বধূ।
আজ দুপুরে উদাস চোখে
বধূ আমার বলল হেসে
আমার মাঝেই পেয়েছে সে
গহীন জলের স্রোতধারা
পানপিয়ালার পান্থশালা।



আরও ভোর বেলায়


আরও ভোর বেলায়
গোলাপের বাগানে এসো
শিশিরে ভিজিয়ে দেব
বেদনার চোখ
চুম্বনে লাল করে দেব
তোমার গাঢ় উষ্ণ মুখ।



নীল প্রান্তরে


বালিকা পারেনা আকাশে উড়তে
প্রেমের যন্ত্রনায় প্রচন্ড বেদনায়
চেয়েছিল পৃথিবী ছেড়ে চলে যেতে
পাখিদের দলে, যে পাখি
পৃথিবীর পানে আর ফিরেনি
পৃথিবীর ভালোবাসা, ছড়িয়ে রয়েছে
কচি ধান, পূর্ণিমা রাত
ভেসে ভেসে একদিন নীল প্রান্তরে।


স্নিগ্ধ নদীটি

সন্ধ্যায় স্নিগ্ধ নদীটির কষ্ট
বুকে তার ইটের ভাটা
কিছুক্ষণ আগে ডিঙ্গি বেয়ে
চলে গেছে মাঝি নীরবে একেলা।


জলাটির ধারে

কোন এক জলার ধারে কচুরী পানার পাতার ভেতর
বেধেছি বাসা টুপটুপে বৃষ্টিতে ভিজেছি সারারাত আমরা দু'জন
নিঝুম নিরালায় তোমার ডানার ভেতর আমার ডানায়
পৃথিবীতে সমস্ত দিন-রাত আমরা কাটিয়েছি বছরের পর বছর
এখনো আলো আর আঁধার চাঁদ আর সূর্য প্রকৃতির অপরূপ
সকাল আর বিকাল খুঁজে ফিরে আমাদের পৃথিবীতে সমস্ত প্রহর,
কোন এক আশ্বিনের সন্ধ্যায় উড়েছিলে আকাশে নিরালা নীড় ছেড়ে
তোমাকে খুঁজি আমি বার বার ফিরে আসি জলাটির ধারে।


বিকালের নদী জলে

বিকালের নদী জলে
ধীর পায়ে নেমে এসো
হে মৎস্যকন্যা।
তোমার এই আগমনে
রুপালী ইলিশেরাও নেমে আসে
নির্জন লোনাজলে, বিশুদ্ধ চোখ হতে।


আরো একবার ডেকেছিলাম

আরো একবার ডেকেছিলাম তারে
রাত্রির গভীর হলে পৃথিবীর নিঃশব্দতা শিস দেয়
ওর নরম মলিন চোখে;
ক্লান্তির সমুদ্রে সে পথ খুঁজে পেল না আর
অন্ধকার থেকে জেগে উঠা গহীন অরণ্য, তৃণভূমি
পাহাড় আর পাথরের স্তুপে যেই সব শৈবালেরা জেগেছিল
সোনালী ধান, শর্ষে ফুল, সজিনার শাখায়
কার্তিক মাসের হিম শীতে
ভিজে হয়ে এসেছিল সে
অন্ধকারের রাতে কাঁঠালের পাতার মতোন।


সেই পথে

সেই পথে চাঁদ উঠে
পূর্ণিমা জ্যোৎস্নায় নীরব রাতে
চারদিকে কচিধান আউসের ক্ষেত
হিজল ছায়ার নিচে
দেখা যদি হত আজ বধূর সাথে।


নদীতো কথা বলে না

তিনি পথ চলছেন
অন্যমনস্কভাবে।
হাসপাতাল রোড ধরে
চলতে
চলতে
থমকে দাঁড়ায়
যন্ত্রনার নদী।
নদীতো কথা বলে না
পাথর
পাথর
কঠিন পাথর
পুরনো চোখগুলো স্তিমিত,
তিনি কষ্ট করে চলে গেলে
নদী নিষ্প্রাণ জল নিয়ে বেঁচে থাকে।


সমুদ্রের নিচে

সমুদ্রের নিচে ঘুমায়
প্রবাল
ভুলগুলো ভাসে
ফেনায়
ওপারে খাঁ খাঁ সীমান্ত।


পাথরের দুটি চোখ

শীতে এসে মরে যায়
চৈত্রের দুপুর
শুকনো পাতারা ঝরে পড়ে
পুকুরের জল সেও
শুকিয়ে শুকিয়ে অতলে
হারিয়ে যায়।
শুধু শূণ্যতায় জেগে উঠে
পাথরের দুটি চোখ।


নীল চোখে

নীল চোখে দাঁড়িয়ে থাকা
ও কি ভাবছিল-
সময় থেমে গেলে আমরাও হব
মাছ আর মাছরাঙা পাখির মতো।


ঘাসের বিছানায়

ঘাসের বিছানায় শুয়ে শুয়ে
আকাশের নীল মেঘ দেখে
তোমার অমলিন ম্লানমুখখানি শুধু মনে পড়ে।
কোয়াশার ভেজা ভোরে সোনালী ডানার চিল উড়ে
অনেক অনেক দূরে মনে হয় সেখানে পলাশ ফুটে
শিমুল ফুলের বৃষ্টি হয়
হয়তো আমি শুধু দেখতে পাইনাকো আর
বাতাসের উপরে বাতাস, ঘাসের উপরে ঘাস।


একটি হেয়ালী মুখ

একটি হেয়ালী মুখ
ওর অবাঞ্চিত মুখ
বারবার আমাকে আন্দোলিত করে
মনে ভাসে নৃশংস স্মৃতি
ও আজ আমার কেউ নয়
তবু ভালোবাসি।



অবুঝ কুমার


উজ্জ্বল জ্যোৎস্নায় নক্ষত্রের আকাশ
কতকাল হতে আলো হয়ে জ্বলে আছে চাঁদ
রাত জেগে জেগে ধানের ক্ষেতের ধারে
দেখেছি চেয়ে হাজার বছর আগের এই সব গ্রামে
শিমুল ফুলের গ্রাম দাঁড়িয়ে আছে এখনো ধূসর ডানা মেলে
তুমি যদি আস এই জ্যোৎস্না ভেজা রাতে
রূপালী নদীটির তীরে, জারুল গাছটির ছায়ায়
কতকাল হতে কেঁদেছ বুঝি অবুঝ কুমার।


আর যাব না

ও পথে যাব না, ওপথেই যন্ত্রনা
সে পথে পাখিরা উড়ে না
বাতাস বহে না, বনফুল ফুটেনা
নীরবে কেঁদে উঠে অবুঝ ললনা
সে পথে আমি আর যাব না।


ক্লান্ত মালিকা

পৃথিবীতে মাঝরাতে
প্রচন্ড বৃষ্টিতে
হেঁটে এলে বহু দূর
স্নাত দেহ পল্লীতে
নাবালিকা।
হিজল-তমাল তলে
হারাইলে পথ ওরে
ক্লান্ত মালিকা।



ফিরে এলে


আবার যখন ফিরে এলে
নিঝুম বনে ফুল ফুটিল
পাখিরা সব নীড়ে এল
পাহাড় বেয়ে ঝর্ণা এল
চোখের জলে বুক ভাসিল।


ওর প্রেমে

ও হাসলেই
ফুল ফুটে
কাঁদলে বৃষ্টি আসে
ওর ছোঁয়ায়
নরম ঘাসে প্রাণ আসে,
নিশীরাতে জোনাকীরা চলে আসে
জলার ধারে
ওর প্রেমে আগুন হতে।



নীল আকাশে


নীল আকাশে ভরে গেছে
কালো মেঘ
সেই আকাশ আজ তোমার বুকে
তোমার চোখে জলের ধারা।


ইথারিয়াস

উজ্জল নক্ষত্রের নিচে ঘুমায়-
সমুদ্রের ঢেউ
কেমন আছেন ইথারিয়াস
নায়াগ্রার কঠিন জলপ্রপাত
কাঁদে দশমীর পূর্ণিমা রাতে
হায়! বিদূষিণী নারী
যন্ত্রনার নিঃশ্বাস, গুমরে উঠে বুক
অবকাশ শেষে বিদায়ের কথা উঠে
ইথারিয়াস যুগে ভালোবাসা ছিল কষ্ট।



আরও নীল


মন স্থির কোথায়
সাগর এখনো নীল
নীলাভ জল সমুদ্দুরে
মানুষের চোখ আরও নীল।



নেকলেস


বাতাস
সমুদ্রের উপর।
একটি জানালা- খোলা ছিল
মেয়েটি ভাবছে- তার জীবন স্মৃতি
কেউ নেই।
নেকলেস
মাটিতে পড়েছিল, তাবিজ বাহুতে
ফুল!
গন্ধ ছড়াচ্ছে আশ্বিনে
কেউ আসছে।


পৃথিবীর বাগানে

বহু কাল ধরে
পৃথিবীর বাগানে
ফুলে ফুলে ঘুরেছি
তোমার ঘ্রাণে।


সন্ধ্যা বেলায়

সন্ধ্যা বেলায়-
আমার বুকে আসন পেতে
জ্বালাই মোমের শিখা
ফুলের আসন, ধূসর বসন
নীরব রাতে একা,
রূপ দেখে আজ ডুব দিয়েছি
গভীর সাগর জলে
কেঁদে কেঁদে মাতাল হলাম
প্রাণের জলসা ঘরে।


উপত্যকা বেয়ে

একটি বিরাট পাথর যখন
উপত্যকা বেয়ে নেমে এল
একটুও শব্দ হয়নি,
একটি ফুল যখন ঝরেছিল
আমি তার আর্তনাদ শুনতে পেলাম
এই পৃথিবীতে তখন ছিল সন্ধ্যার অন্ধকার।


আমি কি তবে

আমি কি তবে-
ঝরে যাওয়া ফুল হব গো
ভুলে গিয়ে জীবনের সমস্ত আয়োজন,
সমস্ত রং মুছে গিয়ে
সমস্ত গন্ধ বিলীন হয়ে
আমার শত চেষ্টার পরও
একটি সুন্দর গোলাপ
সন্ধ্যার বাতাসে ঝরে গেলে।


ফুলের গন্ধ

ফুলের গন্ধঃ
বাতাসে ভেসে ভেসে কোথায় যায়
ফুলকে দেখেছি
গন্ধ বিলিয়ে কাঁদছে নিরালায়।


হায় প্রিয়াসী

হায় প্রিয়াসী হায়গো মহান
তোমার ছোয়ায় ফুটে উঠুক
এই গরীবের ফুলের বাগান।
এই দুনিয়া সরাইখানা,
তোমার স্মরন কেউ রাখেনা,
এই ভিখারী ডাকে তোমায়
ঝড়ের রাতে ডাকে যেমন
ঘরহারা এক দীল অসহায়।


ঝাউয়ের তলে

ঝাউয়ের তলে বনফুলে
ঘুমিয়ে ছিলে রাত নিশীতে
ক্লান্ত পথিক শান্ত হলে
নিঝুম গ্রামে বধূর প্রেমে।


কুমার

এখানে ডুব দিও না
অগাধ জলে হারাবে সব
পৃথিবীর ফুল, পাখি, ঘাসেরাও
হারায় সম্ভ্রম,
কুমার
তোমার আর্তি, তৃষ্ণার হৃদয়
অকারনে কান্না
আমি বুঝি
আর কেউ বুঝে না, সবাই অকুমার।


প্রেমের কাজরী

আসিল না অলি, ফুটিল না কলি
শুকাইল হায় মধু মঞ্জুরী,
এসেছিল রাত উঠেছিল চাঁদ
কাঁদিছে জ্যোৎস্নায় প্রেমের কাজরী।


যৌবন

আমার যৌবন চিরকাল উন্মুখ থাকবে না
তার প্রতিটি স্পর্শ, প্রতিটি অনুভূতি
গভীর সাগরে লুকানো মুক্তা
যা কোন দিন বৃষ্টির আকাঙ্ক্ষায় থাকে না,
কেমন করে আকাশ চেয়ে থাকে দূরে বোর ধানের ক্ষেতে
পাখিরাও উন্মুখ ফুলেরাও বৃষ্টিতে ভিজতে চায়
তোমার চোখের পাতায় নক্ষত্রেরা আলো ফেলে রাতের আঁধার
আমার যৌবন এখন শুধু দৌড়াচ্ছে উত্তপ্ত রৌদ্রের ভেতর
আমার সন্তানেরা জানে না, তার নাগাল পাবে না।


নিঃশব্দ নদীর

সংশয়ঃ কি জানি হয়
নিঃশব্দ নদীর
ভরা পূর্ণিমা রাতে
চোখে মুখে কথা ফুটে
জল পড়ে চোখের কিনার ঘেঁষে।


ধূসর বয়ান

শেষ রাতে নক্ষত্রেরা কেঁদে উঠে
ভোরের সূর্যের আভায় নিভে গেলে নক্ষত্র
কুয়াশার খোলা আকাশের ভেতর।
তারপর পৃথিবীর সমুদ্রে আর ভিরেনি জাহাজ
টরেন্টো থেকে জীব্রাল্টার পথে
যে পাখি উড়ে গেছে আকাশে
তারা আর ফিরে আসেনি।
পৃথিবীর সমস্ত শিমুল ঝরে গেছে গ্রামে
উজানে বসে নেই কৃষাণ
ধূলায় উড়ছে চুল হাজার বছরের ধূসর বয়ান।


কৃষাণ মরে গেল

কৃষাণ মরে গেল ক্ষেতে
প্রচন্ড গরমে
জানাজা ক্ষেতেই হল
কৃষাণী চেয়ে থাকে বিরান পথে।


অপরূপ তুমি

দেখিনি-
তবু বিশ্বাস করেছি
লোক মুখে শুনেছি
অনুভবে ভেবেছি
তবু তোমার কথাই বলেছি
ভালবাসি;
পূর্ণিমার জ্যোৎস্নায়
সবুজ ধানের ক্ষেত
আহ! অপরূপ তুমি।


কখনো কথা বলেনি

কখনো কথা বলেনি
অথচ ভালোবাসি
কখনো দেখিনি
অথচ চেয়ে আছি
বিশুদ্ধ পান পেয়ালায়।


শূণ্যময় সাদা

চোখ মুছ
তারপর, আমাকে দেখ
এবং
দৃষ্টি নন্দন কর
জীবনের আরও গভীরে
যেখানে সব শূণ্যময় সাদা
চোখের জলের মতো ধোয়াটে।



এই পথ


এই পথ কত সুন্দর
পথের পাশে বন্ধুর কবর
কতকাল এসেছি পথের ধারে
মেঘ হয়ে কেঁদেছি বন্ধুর শিয়রে।


আরেকজনা

আলোর দরজাগুলো
জ্ঞানের দরজাগুলো
বিশ্বাস আর ভালোবাসার দরজাগুলো
খুলে ছিল
আকাশের নক্ষত্রেরা
নিশাচর প্রাণীরা
জল আর মাছেরা
চোখ মেলিল,
আমাকে বহন করে শুধু ছয়জনা
আলোর উপরে আলো আরেকজনা।


প্রেম আর বিচ্ছেদের বাগানে

প্রেম আর বিচ্ছেদের বাগানে
প্রতিটি প্রাণ-
ভোরের সূর্যোদয়ে
রাতের চন্দ্রাননে
তারকার ঘূর্ণায়নে
ঝরে পড়া গোলাপ।


বহমান বেদনার

বহমান বেদনার অশ্রুপাত
উদয় ও অস্তগামী সবকিছু
আমার হৃদয় বহন করে
প্রবল বেদনাগুলো,
আর্তনাদ
মৃত্যু
মিনার
সীমাহীন প্রতিধ্বনি
সীমাহীন প্রতিচ্ছবি।


তোমার ইশারায়

আমি কোন পর্দা খুলতে পারিনা
তোমার ইশারায় খুলে গেল পর্দা
তুমি দেখলে আমায়
আমি দেখলাম তোমায়
আমরা চিরকাল ঘূর্ণায়মান স্রোত
প্রেমের উত্তাল দরিয়ায়।


সোনালী সূর্যের আশায়

পবিত্র কৌমার্যে আঘাত করো যে
বহমান বাতাসে
দৃষ্টিপাতে
স্পর্শে
এখানেই হারায় সূর্য অন্ধকারের অমাবশ্যায়।
তাকে বলেছি তুমি গ্রহণ কর
পাথরের আঘাত
লাঞ্চনা
ত্যাগ
একটি দীপ্তমান সোনালী সূর্যের আশায়।


যাব আমি

যেখানে ঘুমিয়ে ছিলে
যাব আমি-
অনন্তর সেখানে
রাতের জ্যোৎস্নায়
লাশের কফিনে।


একটি দীর্ঘ অনুভূতি

যখন মন ভেঙ্গে যায়
জগতের কোন কিছু আমার নয়,
পাখির আওয়াজ, সমুদ্রের প্রবাল
অগ্রায়ণের সকাল
কখন যে সূর্য উঠে, কখন ডুবে
রক্তিম শূণ্যতায়
আমি টের পাই
একটি দীর্ঘ অনুভূতি ছাড়া কিছুই নেই।


প্রাণ এসে

প্রাণ এসে মিশে ছিল এখানে
সূর্যও ডুবে ছিল এখানে
রাত শেষে সকাল হল এখানে
বৃষ্টিও এল- মাঝরাতে, ধানেরক্ষেতে।


ধূলিরঙা ছবি

যা আকাশে উড়ে-
তার ছায়া মাটিতে
আকাশে উড়ে
সূর্যের মায়াবী ছায়া,
সূর্য হল অগ্নি-গোলক এক হৃদয়
আমরা যা পান করি প্রত্যুষে নীল পেয়ালায়।

আমরা যা পান করি
তা তৃষ্ণার সমুদ্র
আমরা পান করি
ধূলিরঙা ছবি,
ধূলিরঙা ছবি সে ফুটে বজ্রপাতের ভেতরে
সে ফুটে রাত্রে, দিনে, ভোরে, দুপুরে।


আমার মন

আমার মন যা আকাশে উড়ে-
আমাকে ভালোবাসে একটি ঈগল পাখি
তাকে ধরে ফেলি বন্দী হাতের ইশারায়
ফের উড়ে যায় শূণ্য আকাশের নীলিমায়।


ভালোবাসা

ভালোবাসার জানালা-
খোলা
প্রবাহমান সমু্দ্রে
নীল আকাশে
তারা ভরা রাতে
আহ! বাজনা বাজুক
জলে, স্থলে, বজ্রপাতে।

ক্যারাভাইন ২৪ ঘন্টা-
খোলা
শরাবের নির্যাসে
পথিকের পদভারে
করুন সংগীতে
আহ! হৃদয় পান করো
সকালে, দুপুরে, রাতে।
ভালোবাসা- নীশিরাতে বাশীঁর চিৎকার।


বন্ধু তোমার কথা

বন্ধু তোমার কথা কেউ মনে রাখে না
গভীর কুয়াশায় ভিজে যে সূর্য উঠেছিল
কোন দিন সেই সূর্য ডুবে যাবে না
অবুঝ হৃদয়ের ভালবাসার আকাশ ব্যাতিত।



পৃথিবীতে আর কোন দিন


পৃথিবীতে আর কোনদিন আসিবেনা সে
অভিমানী কথা রাখেনি, বাঁশীর সুরের ভেতর
কেঁদে উঠে তার সারা জীবনের ব্যথা,
গভীর রাতে চাঁদ, তারা আর চৈত্রের উজ্জল
জ্যোৎস্নার ভেতর পাবনা দেখা,
পৃথিবীতে সমস্ত প্রাণের ভেতর, সমস্ত জড়
আর কোনদিন আসিবেনা সে
জলজ্বলে নক্ষত্রের ভেতর আত্মার সফর।


প্রিয়গণ

প্রিয়গণ আকাশ থেকে দেখে
রাতের আঁধারে ফুটে আছে মুখ
অগণিত নক্ষত্রের চোখে
পৃথিবীতে শুধু গহীন এক সাগর
পবিত্ররা ভেসে আছে
অন্যরা জলের গভীরে আরো আঁধার।



দীর্ঘশ্বাসে


গভীর অন্ধকারে
যখন কান্নাগুলো নেমে আসে
আমার অশ্রুপাত ব্যর্থ হবে না
তোমার প্রতি বিশ্বাস
ওগো তোমাকে দেখার বাসনা
আরও প্রবল হলো
এই অন্ধকারে আকাশের পানে
তোমাকে দেখিনি
তোমার অনুভব টের পাই
আমার হৃদয়ের বামপাশ থেকে
নেমে আসা একটি দীর্ঘশ্বাসে।


পূর্ণিমার আশায়

একটি পূর্ণিমার আশায় দীর্ঘকাল-
মেঘ আর বজ্রপাতের ভেতর
নেমে এল অমাবশ্যার অন্ধকার
নিনাদ আর আর্তনাদের ভেতর
একটি ফুল ফুটেছিল।


কেউ বহন করল না

কেউ বহন করল না-
বাতাস
সমুদ্র
ফুল, পাখি
কেউ না
একজন অবুঝ কুমারের আর্তনাদে
যখন সূর্য ক্লান্ত হলো, তারকারা অস্থির হলো
রাত আর দিন সব ফুরিয়ে গেল।


আর্তনাদ

আমার আর্তনাদ তুমি শুনতে পাওনি
অরণ্যর গভীর থেকে যে শব্দ হয়েছিল
কিছু মেঘ শুনতে পেল যেখানে বৃষ্টি হল
বৃক্ষরা শুনতে পেল যেখানে ফুল ফুটে ছিল
একজন রাখাল সেও শুনতে পেল
দীর্ঘকাল তার বাঁশীর সুরে তা বেজেছিল।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৫:০২
৬টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হাসান মাহমুদ গর্ত থেকে বের হয়েছে

লিখেছেন শিশির খান ১৪, ০৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:১২


যুক্তরাষ্ট্রের একটি বাংলা টেলিভিশন চ্যানেল হাসান মাহমুদের সাক্ষাৎকার প্রচার করেছে। আমি ভাবতেও পারি নাই উনি এতো তারাতারি গর্ত থেকে বের হয়ে আসবে। এই লোকের কথা শুনলে আমার গায়ের লোম... ...বাকিটুকু পড়ুন

দারিদ্রতা দূরীকরণে যাকাতের তাৎপর্য কতটুকু?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:১৮



দরিদ্র দূরীকরণে যাকাতের কোনো ভূমিকা নেই।
যাকাত দিয়ে দারিদ্রতা দূর করা যায় না। যাকাত বহু বছর আগের সিস্টেম। এই সিস্টেম আজকের আধুনিক যুগে কাজ করবে না। বিশ্ব অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

শেখস্তান.....

লিখেছেন জুল ভার্ন, ০৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:১৫

শেখস্তান.....

বহু বছর পর সম্প্রতি ঢাকা-পিরোজপু সড়ক পথে যাতায়াত করেছিলাম। গোপালগঞ্জ- টুংগীপাড়া এবং সংলগ্ন উপজেলা/ থানা- কোটালিপাড়া, কাশিয়ানী, মকসুদপুর অতিক্রম করার সময় সড়কের দুইপাশে শুধু শেখ পরিবারের নামে বিভিন্ন স্থাপনা দেখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেকালের বিয়ের খাওয়া

লিখেছেন প্রামানিক, ০৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:৪৮


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

১৯৬৮ সালের ঘটনা। বর আমার দূর সম্পর্কের ফুফাতো ভাই। নাম মোঃ মোফাত আলী। তার বিয়েটা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল। বাবা ছিলেন সেই বিয়ের মাতব্বর।... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিএনপি-আওয়ামী লীগের মধ্যে মৈত্রী হতে পারে?

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ০৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০০


২০০১ সাল থেকে ২০০৬ পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াত আওয়ামী লীগের ওপর যে নির্যাতন চালিয়েছে, গত ১৫ বছরে (২০০৯-২০২৪) আওয়ামী লীগ সুদে-আসলে সব উসুল করে নিয়েছে। গত ৫ আগস্ট পতন হয়েছে আওয়ামী... ...বাকিটুকু পড়ুন

×