এই ব্লগকে একদা দাবাইয়া বেড়ানো ব্লগাররা পাগল, ছাগল আর সুশীলের বহুবিধ গুঁড়াকৃমির ন্যায় কর্মকাণ্ডে টাটা-বাইবাই জানাইয়াছেন, সেইটা বহুকাল হয়। যাহারা এইখানে এখনও পড়িয়া আছেন, তাহারাও কূপি বাতির ন্যায় একবার আসেন আরেকবার যান। ব্লগের মাঠটা মোটামুটি খালিই হইয়া গিয়াছে। এই খালি উদ্যান পাইয়া রেগুলার লাত্থি-উষ্ঠা খাওয়া ছাগল আর মানুষের সমাজে "বেইল" না পাওয়া সুশীল'রা বেজায় এ্যাকটিভ হইয়া উঠে। এ্যাকটিভিটি দেখাইয়া উহারা ব্লগের এই প্রান্ত হইতে ঐপ্রান্ত পর্যন্ত যথাক্রমে তিন এবং চার ঠ্যাঙে লাফাইয়া লাফাইয়া বিচরণ করিতে থাকে। উহারা বিখ্যাত হইয়া যায়। মানী লুক হইয়া যায়।
রিটায়ারমেন্টে চলিয়া যাওয়া সকল ব্লগারের অনুপস্থিতিতে, এই সকল মানী লুক, বিখ্যাত তিনঠ্যাঙা ছাগল আর চাইর ঠ্যাঙা সুশীলদিগের জানা-অজানা-আধাজানা সকল কিছু জানিবার নিমিত্তে আমি শুরু করিলাম এই কালজয়ী শাক-খ্যাত-কারমূলক পোস্ট- হাগোনের চরশখনি!
নামকরণের এইরূপ কাঠখোট্টা পর্যায়ে দুইলাইনের একটা বর্ণনা দিবার সুযোগ হেলায় হারাইতে চাহিতেছি না। এই শাক-খ্যাত-কারমূলক পোস্টে যাহারা মেহমান হইয়া আসিবেন কথিত আছে উনাদের সকলেরই সকাল বেলার কর্মখানি করিতে বিশাল বেগ পাইতে হয় বলিয়া এই ব্লগে আইসা কোথের পর কোথ মারিতে থাকেন। আর উহাদের কথাবার্তা শুনিলে মনেহয় একেকজন বুঝি চরশ টানিয়া এতদস্থলে বসিয়াছে। বেসিক্যালী ঘটনা হইলো, ঐতিহ্য মোতাবেক হাগানগর হইতে ডাইরেক্ট শাক-খ্যাত-কার গ্রহন করা হইবে এবং প্রয়োজনে উহাদেরকে আরও বেশি বেশি চরশ যোগান দেওয়া হইবে।
তাহা হইলে জনগণ এইবার সকলে হাতের মুঠি, চুলের গিট্টু সব খুইলা দাঁড়াইয়া যায়। পর্দা উদিত যাইতেছে হাগোনের চরশখনি-এর প্রথম এপিসোড। আমরা বহুবিধ চেষ্টার পর আমাদের মাননীয় গেষ্ট জনাবে আলা উঁকুন অলা জটাধারী কেশবতি পুং কুবি'র গেলমান কলু খোরশেদকে জায়গামতো লোকেট করিতে পারিয়াছি।
লেডিজ এণ্ড জেন্টলম্যান- প্লিজ ওয়েলকাম - কলু খোরশেদ!!!
হাবাজনঃ হ্যালো... হ্যালো... আমি হাবাজন বলছি। হাগোনের চরশখনিতে আপনাকে স্বাগতম!
কলু খোরশেদঃ (হায় হায় কোথ) জ্বি কে বলছেন?
হাবাজনঃ ইয়ে এক্সকুজ মী মিসেস কলু। ভুল হইয়া গিয়াছে। আমি আসলে মি. কলুকে খুঁজিতেছি...
কলু খোরশেদঃ (একটু হাঁপাইয়া) আরে মিয়া আমিই তো কলু। এই দুনিয়াতে আমার লাহান আরেকটা কলু খুঁইজা পাইবেন নি? ধরছেনত এককেবারে জায়গামত...! যাউকগা নামের বানান ঠিক কইরা লন, ঐটা খোরশেদ না, হইব মোশ্রেদ। মো... শ্রে... দ, রজার দ্যাট?
হাবাঃ আবার জিগায় মাননীয় কলু। আই মিন মোশ্রেদ। তা আপোনার ইতদকালের কিছু বিবরণ আমাদিগের রিডারমণ্ডলীর নিমিত্তে ছাড়েন দয়াকরিয়া! তাহারা শুনিয়া দোজাহানের অশেষ নেকি হাসিল করুক।
কলু মোশ্রেদঃ আমি জানি আমারে অনেকেই ভালা পায়। আমার লাহান জ্ঞানী হইবার চায়। আমার হন্টিত পথে হাটিবার চায়। মাগার, এইটা কেহ বুঝে না, কলু মোশ্রেদ এক এবং অদ্বিতীয়। তাহার কোন চ্যালা নাই, আছে কেবল নেতা। কলু কাহারেও গেলমান নিযুক্তি দেয় না, নিজেই অপরের গেলমান হইয়া যায়। কলু কাহারে দিয়া কেশ কর্তন করায় না, নিজেই কাঁকই-কেঁচকি লইয়া পথে নাইমা যায় যাহারে দেখিব তাহারি কেশ কর্তনে। কলু কখনও....
হাবাঃ (মনে মনে। ধুরঃ হাউয়ার পো, খালি বেশি কথা কয়!) দুঃখিত মাননীয় কলু মোশ্রেদ স্যাটেলাইট লাইনে গোলযোগ সৃষ্টি হইবার কারণে আপনার কথাগুলি আর রিডার্সমণ্ডলীর চোখে পৌঁছানো গেল না। তা আপনের গেলমান কার্যধারা এবং উহার কৃতিত্ব নিয়া যদি কিছু বলিতেন!
কলু মোশ্রেদঃ (কোথ মারিয়া) আমি যখন হায় হায় রাইতে চা-পানি আনোনের কামলা খাটতাম তখন অফিসিয়ালী শুরু হইলেও আমার ফাশট কেলাশ গেলমানিতে সেঞ্চুরী বহুত আগেই হইয়া গেছিল। ছুফিক কেহেরমান বাপের কাছে ঠাপ খাইয়া খাইয়া পুচ্ছদেশ ব্যাথা হইলেও যা শিখলাম তা আছিল অনন্য। আমি শিখলাম, খালি মাঠে ক্যামনে গৈল দেওন যায়, ক্যামনে নিজের গাধাসম রামছাগলের গতরে ছুছিলের গাধাসম তকমা লাগান যায়, ক্যামনে ডাঙ্গর ডাঙ্গর বাতচিত করন যায়, সর্বোপরি নিজের পুচ্ছদেশের লাল রঙ লুকাইয়া ক্যামনে আব্বাহুজুরগো কেশ কর্তন করন যায়!
হাবাঃ জ্বি মানে ইয়ে, বুঝেনইত- আমাদিগের রিডার্সমণ্ডলীরা কিঞ্চিৎ ইয়ে আছে। আপনোনার হাইথট মার্কা কথা সর্বদা ক্যাচ নাও করিতে পারে। উহাদের তরে খানিক জলবৎ করিয়া বলিতে মহাশয়ের আজ্ঞা হায়।
কলু মোশ্রেদঃ এইসব ব্লাডি নাবুঝ সিভিলিয়ানরে লইয়া হইছে ঝামেলা। না বুঝে গোয়ার ডাক না বুঝে দেওয়ার ডাক। যাউকগা, আমার ফাশটকেলাশ সেঞ্চুরীর কথাই কই আগে। ইশকুলে থাকতে একবার গেলাম হস্ত দেখাইতে। জোতিষ আমার হাত দেইখা কয়, খানকির পোলা লুঙ্গি তোল, আমি তুললাম, কয় হাউয়ার পোলা পুটকি উদাম কর। আমি করলাম, হেরপর দেহি জোতিষ আমার ভূতভবিষ্যত সব কইয়া দিল। আসলে ঘটনা হইল, হাতে কন রেখা না পাইয়া হালা ভুদাই মনে করছিল আমার আসল জাগায় বুঝি সব লাইগা রইছে। আমি যে সেই তিপ্পান্ন সাল থাইকাই পোঙ্গামারা খাই আর জাম্বাক দিয়া পোঙ্গা ডলতে ডলতে হস্তরেখা সব পশ্চাৎদেশে গিয়া হাজির হইছে, সেইটা ঐ ভুদাই কেমনে বুঝব?
হেরপর মনে করেন, খালি মাঠে গোল। হায় হায় রাইত ছাইড়া যখন নামকরা লুকজন ভাগলো, তখন খালি পইড়া রইল ক্যাডা? এই কলু মোশ্রেদ। চা-বয় থাইকা চেয়ার টেবিলে বইয়া কাগজে কাটাকুটি খেলনের সাংঘাতিক সাট্টিফিকেটত তহনই পাইলাম আমি। অখন আপনেগো দোয়ায় আমি সিনিয়র সাংঘাতিক- হায় হায় রাইত। এই গোল দেওনের অভিজ্ঞতাডা অবশ্যি এই ব্লগেও কামে লাগতাছে

আর ডাঙ্গর বাৎচিতের কথা যদি জিগান তাইলে, কই। বইমেলায় টিকেট কাইটা যাইবেন নাকি হুদাই যাইবেন হেইটা নিয়া আপনের মাথায় টেনশন থাকুক মোললে না থাকুক, আমার আছে। আমি কি হুদাহুদিই বুদ্ধুজীবি নাম থুইছি নিজের?
হাবাঃ (টুট ... টুট... টুট...) রিডার্সমণ্ডলী, স্যাটেলাইট ফোন আর এই পোস্টের লম্বাত্ব হঠাৎ করিয়াই শেষ হইয়া যাইবার কারণে হাগোনের চরশখনি হইতে এখনকার মত বিদায় নিতেছি। তবে মনে রাখিবেন, জনাব কলু খোশ্রেদের সহিত আমাদের শাক-খ্যাত-কার শেষ হয়নাই। উহা চলিবে। আপনাদিগের কোনরূপ কোয়েশ্চন থাকিলে বিনাদ্বিধায় এইখানে রাখিয়া যায়। স্যাটেলাইট ফোনের লাইনখানা পুনঃস্থাপিত হইলেই সেইসব কোয়েশ্চেন কলু মোশ্রেদের পশ্চাৎদেশে গুজিয়া দেওয়া হইবে আনছারের নিমিত্তে।
স্টে টিউনড্ উইদ আস.... টিল দেন!