somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বাংলা নববর্ষঃ আকবর বনাম এরশাদ চাচা :D (১ বৎসর পরে রি পোস্ট)

১৫ ই এপ্রিল, ২০১০ সকাল ১০:৫২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এই পোস্টটিতে মন্তব্য করুন বা নাই করুন, দয়া করে একবার চোখ বুলিয়ে নিবেন। এই ১বৎসরে অনেক নতুন ব্লগার এসেছেন.. তারাও পড়বেন দয়া করে।

................................................................................................
পৃথিবীতে প্রায় সকল প্রতিষ্ঠিত বিষয়েরই একটা কার্যকারণ রয়েছে (না হলে সেটা স্থায়ীত্ব পেতনা)।

সম্রাট আকবরের আমলে চালু করা বাংলা পঞ্জিকা খাজনা আদায়ের সুবিধার্থেই করা হলেও এর প্রণয়নের সাথে মহাকাশ ও মহাপ্রকৃতির একটা নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। আকবরের সভায় শুধু নবরত্ন ছিলেন তাই নয়। ছিলেন এমন জ্ঞানী সব জ্যোতির্বিজ্ঞানী যাঁরা চোখের পলকে রাতের আকাশ পানে চেয়ে তারার অবস্থান দেখে নিখূঁত ভাবে সময় ক্ষণ দিন বলে দিতে পারতেন। বলতে পারতেন আগত অমাবশ্যা বা পূর্ণিমার সঠিক হিসেব যা এখন আমাদের চাঁদ দেখা কমিটি :) বড় বড় যন্ত্র নিয়েও বলতে পারেননা, ২ দিন বয়স্ক চাঁদ দেখে প্রায়ইআমাদের ঈদ করতে হয়। এই সব মহতি ব্যক্তিরাই রাশিচক্র আর পূর্ণিমার নিখুঁত সহাবস্থানের বৈজ্ঞানিক মিলনের ক্ষণ থেকেই বাংলা সন শুরু করেন। যেন তেন ভাবে না। সে হিসাবে বিশাখা, জেষ্ঠা প্রভৃতি নক্ষত্রের রাশিতে অবস্থান ও ঐ বিশেষ নক্ষত্রের পূর্ণিমা অনুসারেই বৈশাখ জৈষ্ঠ মাস নির্ধারিত হয়েছে।

একজন গায়ের জোরে একটা পন্জিকা, যা পুরোপুরি জ্যোতির্বিজ্ঞান নির্ভর; তা শুধু গণনার সুবিধার্থে হেরফের করে দিলেন আর আমরা দিব্যি তা মেনে নিলাম। তিনি তো চাইলে আকবরীয় টাইপ একটা এরশাদীয় ক্যালেন্ডার প্রবর্তন করতে পারতেন; মানা ছিলনা। তাতে তিনি ৭২ ঘন্টায় ১ দিনও বলতে পারতেন, পারতেন বলতে, দিন শুরু বেলা ১২ টা থেকে। তা না করে তিনি বাংলা মাস নিয়ে পড়লেন। এখন প্রশ্ন হল মহাকাশে গ্রহ নক্ষত্রও কি তাঁর মর্জি মত চলবে, না চলেছে? বিশাখা জেষ্ঠারা কি সে মতই আকাশে অবস্থান করবে?

এসব নক্ষত্র (নক্ষত্র বলতে শুধু তারাকেই বোঝায় না, আকাশে বিশেষ কৌণিক অবস্থান অঞ্চলকেও বোঝায়) আকাশে ২৯/৩০/৩১/৩২ এভাবে থাকে। তার ওপরই নির্ভর করে মাসের দৈর্ঘ্য।

আকবরের আমলে তৎকালীন হিন্দু ও অন্যান্য ধর্মাবলম্বী যাঁরা নানা বিষয়ে আকবরের বিরোধিতা করে এসেছেন, তাঁরাও এই ক্যালেন্ডার মেনে নিয়েছিলেন কারণ এটা আমাদের এরশাদ সাহেবের মত গায়ের জোরে পরিমার্জিত নয় (বিঃদ্রঃ মডিফাই করা সহজ, সৃষ্টি করা কঠিন)
বরং সম্পুর্ণ বৈজ্ঞানিক ভাবে করা।

বর্তমান ১৪ই এপ্রিল নববর্ষকে ধরে ১ বৎসর করে পিছিয়ে আকবরের আমলে ফিরে গেলে আসল ১লা বৈশাখটাই থাকেনা। এভাবে ১৮৬১ র ২৫ শে বৈশাখ মেলেনা। ১১ই জৈষ্ঠ্য, ২২ শে শ্রাবণ; কিছুই না।

এক বাংলা মাস ২ রকম কোন ভাবেই হতে পারেনা। যদি কেউ এটা করার চেষ্টা করে থাকে তবে তার ভেতরে একটা বিভেদ প্রবণতা কাজ করছে ধরে নেয়া যায়।

এভাবে ১ দিন না এগিয়ে বরং আমার ভাল প্রস্তাব আছে। বছরে ১১ মাস ৩০ দিনের আর এক মাস ৩৫/৩৬ দিন করে ৩৬৫/৩৬৬ দিন মিলিয়ে দিলেই ল্যাঠা চুকে যায়। :) এতে হিসেবের আরও সুবিধা। কি বলেন?

সবাইকে শুভেচ্ছা। কিসের তা আর বললামনা। যে যেভাবে পারেন ধরে নেন। :)


পোস্ট টা ১ বৎসর আগের। রি পোস্ট করলাম। যতদিন এই বিষয়ের সুরাহা না হবে, বারে বারে পোস্ট দিয়ে পাব। কারণ সবার জানা দরকার।

(ব্লগে ছায়ানটের কেউ থাকলে আওয়াজ দিয়েন। আপনারা হলেন সেই প্রজাতির সংগঠন যারা সত্য জেনেও প্রতিবাদ করেন না, কেন তা নিষ্চয় আপনারা জানেন। আপনারা যদি মাত্র একবার বেঁকে বসতেন, যদি মাত্র একবার বলতেন আমরা প্রকৃত ১লা বৈশাখেই রমনা বটমূলে যাব, অনেক আগেই আমরা আমাদের আসল ঐতিহ্যবাহী দিনপঞ্জিকা ফিরে পেতাম। কাজেই আপনাদেরও দায় এড়াবার সুযোগ নেই।)
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই এপ্রিল, ২০১০ সকাল ১০:৫৮
৫টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আরো একটি সফলতা যুক্ত হোলো আধা নোবেল জয়ীর একাউন্টে‼️

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৮:৪০



সেদিন প্রথম আলো-র সম্পাদক বলেছিলেন—
“আজ শেখ হাসিনা পালিয়েছে, প্রথম আলো এখনো আছে।”

একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে আজ আমি পাল্টা প্রশ্ন রাখতে চাই—
প্রথম আলোর সম্পাদক সাহেব, আপনারা কি সত্যিই আছেন?

যেদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

হামলা ভাংচুর অগ্নিসংযোগ নয়, আমরা শান্তি চাই

লিখেছেন নতুন নকিব, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:১১

হামলা ভাংচুর অগ্নিসংযোগ নয়, আমরা শান্তি চাই

ছবি এআই জেনারেটেড

হামলা ভাংচুর অগ্নিসংযোগ প্রতিবাদের ভাষা নয় কখনোই
আমরা এসব আর দেখতে চাই না কোনভাবেই

আততায়ীর বুলেট কেড়ে নিয়েছে আমাদের হাদিকে
হাদিকে ফিরে পাব না... ...বাকিটুকু পড়ুন

তৌহিদি জনতার নামে মব সন্ত্রাস

লিখেছেন কিরকুট, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৪




ছবিঃ অনলাইন থেকে সংগৃহীত।


দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মের নাম ব্যবহার করে সংঘটিত দলবদ্ধ সহিংসতার ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে তৌহিদি জনতা পরিচয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুখ গুজে রাখা সুশীল সমাজের তরে ,,,,,,,,

লিখেছেন ডঃ এম এ আলী, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০৫


দুর্যোগ যখন নামে আকাশে বাতাশে আগুনের ধোঁয়া জমে
রাস্তা জুড়ে কখনো নীরবতা কখনো উত্তাল প্রতিবাদের ঢেউ
এই শহরের শিক্ষিত হৃদয়গুলো কি তখনও নিশ্চুপ থাকে
নাকি জ্বলে ওঠে তাদের চোখের ভেতর নাগরিক বজ্র
কেউ কেও... ...বাকিটুকু পড়ুন

নজরুল পরিবারের প্রশ্ন: উগ্রবাদী হাদির কবর নজরুলের পাশে কেন?

লিখেছেন মাথা পাগলা, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:০১



প্রায় অর্ধশতাব্দী আগে কাজী নজরুল ইসলামের দেহ সমাধিস্থ করা হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদের পাশে। শনিবার বাংলাদেশের স্থানীয় সময় বিকেল ৪টে নাগাদ সেখানেই দাফন করা হল ভারতবিদ্বেষী বলে পরিচিত ইনকিলাব মঞ্চের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×