(সাঈদীকে কোলে নিতে পিজি হাসপাতালের সামনে ভিঁড় জমায় প্রচুর মানুষ। পুলিশ বলছে "উনার পশ্চাতদেশ ভেঙে গেছে!" তারপর অপেক্ষমানরা শিতকারের সহিত ডুকরে কেঁদে উঠেন।)
সূত্র : দৈনিক মগবাজার
প্রখ্যাত মুফাসসীরে কুরআন অধ্যক্ষ মাওলানা কামাল উদ্দিন জাফরী বলেছেন, কুরআনের মাহফিলে যারা বাধা দেয় তাদের সাথে ছহবত করবেন না। তিনি গত শনিবার রাত ৯টায় পিরোজপুর আল্লামা সাঈদী ফাউন্ডেশন ময়দানে এক বিশাল তাফসীরুল কুরআন মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করছিলেন। পিরোজপুর তাফহীমুল কুরআন মাদরাসা কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত তাফসীরুল সাঈদি মাহফিলে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন হার্টথ্রব মাওলানা রাফীক বিন সাঈদী, মুফাসসীরে কুরআন অন্ধ হাফেজ মাওলানা আলতাফ হোসাইন ও খুলনা আলিয়া মাদরাসার মুহাদ্দিছ মাওলানা মুনিরুজ্জামান।
পিরোজপুরে হাজার হাজার নারী পুরুষ গভীর রাত পর্যন্ত তাফসীর শুনেন। আল্লামা সাঈদী ফাউন্ডেশনের বিশাল ময়দান, রাস্তা ও আশে পাশের বাড়িতে তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না। মানুষের পাশাপাশি প্রচুর ফেরেশতাকেও মনোযোগের সাথে সাঈদীর জন্য প্রার্থনা করতে দেখা গেছে।
২০০৭ সালের পর পিরোজপুরের মানুষ তাফসীর শুনতে পারে নাই। গত শনিবারের তাফসীর মাহফিলে আসার পথে বিভিন্ন জায়গায় সরকারের পেটুয়া বাহিনী তৌহিদী জনতাকে বাধার সৃষ্টি করে।
তাফসীর মাহফিলে অন্ধ হাফেজ মাওলানা আলতাফ হোসেন বলেন, হে আল্লাহ, আমার দু’টো চোখ অন্ধ, আমি চোখে জ্যোতি চাই না। আমি হাজার হাজার মুসলমান পুরুষ নিয়ে তোমার দরবারে হাত তুলেছি, তুমি বিশ্বের অগনন মানুষের হৃদয়ের স্পন্দন মাওলানা সাঈদীকে আমাদের কোলে ফিরিয়ে দাও। কোলের ভেতর ঘুমন্ত অঙ্গখানি আরেকবার জাগিয়ে দাও। এ সময় হাজার হাজার মানুষ শিৎকারের সহিত ডুকরে কেঁদে উঠেন। পিরোজপুরে সর্বকালের মধ্যে এমন বৃহত্তম জনসমাগম কোন মাহফিলে দেখা যায়নি।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই এপ্রিল, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৫০