রহমান রহিম আল্লাহতায়ালার নামে।
১৫৩. হে বিশ্বাসীগন! ধৈর্ষ ও নামাযের মাধ্যমে তোমরা সাহায্য প্রার্থনা করো। নিশ্চয়ই আল্লাহ ধৈর্ষশীলদের সাথেই থাকেন। ১৫৪. (হে বিশ্বাসীগন!) যারা আল্লাহর পথে নিহত হয়, তাদের মৃত বলো না। প্রকৃতপক্ষে তারা জীবিত, কিন্তু তোমরা তা বোঝো না।
১৫৫. নিশ্চয়ই আমি তোমাদের অনেককে ভয়, ক্ষুধা, জানমাল ও শ্রমের ফল বিনষ্ট করে অর্থাৎ বিপদ-আপদ দিয়ে পরীক্ষা করব। তবে এ বিপদের মধ্যে যারা ধৈর্ষধারন করে তাদের সুসংবাদ দাও। ১৫৬. ধৈর্ষশীলরা বিপদে পড়লে বলে, 'আমরা আল্লাহর। তাঁর কাছ থেকে এসেছি। তাঁর কাছেই ফিরে যাব।' ১৫৭. এদের ওপর তাদের প্রতিপালকের বিশেষ অনুগ্রহ ও রহমত বর্ষিত হয়। বস্তুত এরাই সৎপথে পরিচালিত।
১৫৮. নিঃসন্দেহে সাফা ও মারওয়া আল্লাহর (করুনার) নিদর্শনগুলোর অন্যতম। তাই যে-কেউ কাবাঘরে হজ ও ওমরাহ করে, তার জন্যে এ দুটি পাহাড়ের মধ্যে সা'ঈ করলে কোন পাপ নেই। আর যে ব্যক্তি স্বতঃস্ফূর্তভাবে সৎকর্ম করে, নিশ্চয়ই আল্লাহ তার উত্তম পুরষ্কারদাতা, সেই সম্পর্কে পুরোপুরি অবহিত।
১৫৯. মানবজাতির পথ প্রদর্শনের জন্যে যে উজ্জ্বল আদর্শ ও বিধিবিধান আমি নাজিল করেছি, তা কিতাবে লিপিবদ্ধ থাকার পরও যারা সে সত্যকে গোপন করে রাখে, নিশ্চয়ই আল্লাহ তাদের লানত করেন এবং সকল বিচারবুদ্ধি প্রয়োগকারীরাও তাদের উপর লানত কামনা করে। ১৬০. তবে যারা তওবা করবে এবং নিজেদের কর্মপন্থা সংশোধন করবে এবং যে সত্য তারা গোপন করেছিল তা সুস্পষ্টভাবে প্রকাশ করবে, তাদের তওবা আমি কবুল করব। নিশ্চয়ই আমি তওবা কবুলকারী, পরমদয়ালু।
১৬১. নিশ্চয়ই যারা (একগুঁয়েমি করে) সত্য অস্বীকার করে এবং সত্য অস্বীকারকারী হিসেবেই মারা যায়; আল্লাহ, ফেরেশতা ও সকল সত্যপন্থী মানুষ ওদের লানত করবে। ১৬২. ওরা চিরকাল লানতের বোঝা বইতে থাকবে। ওদের শাস্তি কমানোও হবে না, ওরা এ থেকে কোন ছাড়ও পাবে না। ১৬৩. (সবসময় মনে রেখ) এক আল্লাহই তোমাদের উপাস্য। তিনি ছাড়া আর কোন উপাস্য নেই। তিনি দয়াময়, মেহেরবান।
[সুরা বাকারা]
[আল কোরআন - বাংলা মর্মবানী]
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:০৩