বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আমেরিকা ফ্রেন্ডলী মজুর প্রোডাকশন করেই যাচ্ছে। এই সেইদিন জন্ম নেয়া আমার ছেলেটা কলেজের কোটা পেরোতে না পেরোতেই বুঝে গিয়েছে এই দেশে তার ভবিষ্যত নেই। সে নাকি গুয়ের শহরে বাস করে। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, বিলেতে গিয়ে কি *াল করবে? ছেলে বলল গবেষনা করব পাপা। বললাম, এদেশে করো। তোমার ইকবাল আংকেলকে বলে দিচ্ছি। ছেলে বলল, এইসব ছাইপাশ ওরা কেউ পড়েনা পাপা। আমি দীর্ঘশ্বাস ফেললাম।
প্রফেসর সুন্দরকে একদিন ডেকে বললাম, শহরের তাপমাত্রা আর ধুলাবালি দিন দিন বাড়ছে, কি করা যায়? প্রফেসর সুন্দর প্রফেসরের মতোই বলল, গবেষনার জন্য যে অর্থ লাগবে সেই অর্থ তো নেই স্যার। আমি আবারও দীর্ঘশ্বাস ছাড়লাম।
কোষাদক্ষ বেলালকে ডেকে বললাম, শহরের খালি যায়গাগুলো নামে বেনামে কিনে ফেলো। খালি জায়গার মাঝে সুন্দর করে একটা ফোয়ারা বসাও। চারিপাশে ফলের গাছ লাগাও। মানুষজনের বসার জায়গা বানাও। গরমে দিকবিদীক ছুটোছুটি না করে মানুষজন একটু সস্তিতে বসবে। বেলাল কি যেন চিন্তা করে বলল, স্যার বাংগালীতো পার্কে হাগা শুরু করে দিবে। এককোনায় একটা টয়লেটেরও ব্যবস্থা করে দিই স্যার? সেক্ষেত্রেতো স্যার একজন মেথরও নিয়োগ দেয়া লাগবে স্যার!
আমি প্রফেসর সুন্দরের দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে বললাম, সেটা আমি দেখছি। তুমি পার্কের জায়গার ব্যবস্থা কর।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই জুন, ২০১৯ রাত ১০:০১