somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সাবজেক্ট রিভিউ ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং।

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১:৫৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সবাই নাম শুনেছে। ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং। তড়িৎ ও ইলেক্ট্রনিক প্রকৌশল। যা ইলেক্ট্রন নিয়ে আলোচনা করে। নামের মধ্য দিয়েই সাবজেক্ট সম্পর্কে হালকা ধারণা পাওয়া যায়। সরাসরি চলে যাচ্ছি সাবজেক্ট রিভিউতে।
সবচেয়ে পুরনো এবং প্রচলিত ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়গুলোর মধ্যে ইইই অন্যতম আভিজাত্যের অধিকারী। আশেপাশের চারদিকে ইলেক্ট্রনিক্সের ­ বিপ্লব দেখে নিশ্চয়ই এই সাবজেক্ট পড়ুয়াদের গুরুত্ব বা চাহিদা আগ বাড়িয়ে বলে দিতে হবে না? ইলেক্ট্রিসিটি ছাড়া যদি বিশ্ব অচল হয় তবে ইইই ছাড়াও তাই। ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার না থাকলে বিদ্যুতের ব্যবস্থা করবে কে শুনি?
তোমার এইচএসসিতে প্রিয় বিষয় কি ছিলো? উত্তর যদি হয়ে থাকে Math বা Physics তাহলে তোমার EEE পড়া নিয়ে কোন ভয় নেই।তুমি নিঃসন্দেহে এখানে খুব সহজেইমানিয়ে নিতে পারবে। তোমার যদি Equation Solve করতে মজা লাগে, ফিজিক্স সেকেন্ড পেপারের বিদ্যুতের চ্যাপ্টারগুলো যদি তোমার কাছে অসহ্য না লাগে, তাহলে ইইই তোমাকে হতাশ করবে না কোনদিন। সার্কিট নিয়ে ঘাটাঘাটি করতে মজা লাগে? রোধের সমান্তরাল সন্নিবেশ, হুইটস্টোন কার্শফের অঙ্ক করতে ভালো লাগে? আবারো বলবো ইইই নাও।
তোমার যদি উদ্ভাবনী ক্ষমতা থাকে, আর থাকে লেগে থাকার ইচ্ছা তবে তুমি ইইই পড়ে অনেক বড় কিছু করে দেখাতে পারবে। প্রকৌশলিক invention সবচেয়ে চমকপ্রদভাবে দেখানোর উপযুক্ত জায়গা হলো ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং।
আপাতদৃষ্টিতে দেখতে যেমন মনে হয়, ইইই আসলে তেমন ছোট পরিসরের কোন সাবজেক্ট না। এর পরিধি ব্যাপক, ক্ষেত্র অসীম।
ইইই এর সাবডিসিপ্লিনগুল ­ো লক্ষ্য করো-
1.Power
2.Electronics
3.computar
Power সেক্টরের ব্যাপারটা মনে হয় সবাই এমনিতেই বুঝতে পেরেছে। যারা বিদ্যুত উৎপাদন আর সরবরাহের দায়িত্বেথাকে। এই সেক্টরের চাহিদা বাংলাদেশেরপ্রেক ্ষাপটে এই মুহুর্তে প্রচুর। চাহিদা পুরনের জন্য প্রতি বছরই নতুন নতুন বিদ্যুত কেন্দ্র তৈরি হচ্ছে। ভবিষ্যতে নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট স্থাপনের পরিকল্পনাও চলছে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে। আর এই সেক্টরের পুরো দায়িত্বই থাকে ইলেক্ট্রিকাল ইঞ্জিনিয়ারদের হাতে। যারা নিজেকে একজন Power management engineer হিসেবে দেখতে চাও, তারা নিঃসঙ্কোচে EEE নিতে পারো।
Electronics নিয়েও সবাই হালকা পাতলা কিছু জানে। Resistor, Capacitor, Inductor এসবের নাম তোমরা শুনে এসেছ।এখনকার সময়ে তোমরা যত ডিভাইস দেখ, তার বেশিরভাগই ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট দিয়ে ডিজাইন করা। স্মমার্টফোন, আইপ্যাড, নোটপ্যাড, ল্যাপটপ সবগুলোই ইলেক্ট্রনিক্সের ­ অবদান। Microcontroller ­ এর নাম হয়তোকেউ কেউশুনে থাকবে। যা রোবটিক্স নিয়ে পড়াশোনার ব্যাপক ইচ্ছা যাদের, তাদের জন্য microcontroller ­ হলো একেবারে শুরুর ধাপ। তবে হ্যা, এদিক দিয়ে আগাতে হলে অবশ্যই পরিশ্রমী আর উদ্যমী হতে হবে। যাদের উদ্ভাবনী ক্ষমতা বেশি, বিস্তর ইচ্ছা আছে এই rapidly runningটপিক নিয়ে পড়াশোনা করার, তার জন্য EEE'র দরজা সদা উন্মুক্ত।
চাকরির বাজার নিয়ে আমি কোন কথা বলবো না। শুধু বলবো EEE হলো একটা Everlasting Subject. যতদিন পৃথিবী টিকে থাকবে অতদিন এর ডিমান্ড কমবে না।দেশে থাকতে পারলে ভালো, যদি তা সম্ভব না হয়, তোমার জন্য আছে বাইরে যেয়ে পড়াশোনা করার অফুরন্ত ক্ষেত্র। দেশে বিদেশে সবজায়গাতেই তোমার সম্মানজনক অবস্থান থাকবে। চাকরি নেই, হাজার হাজার স্টুডেন্ট হয়ে গেছে, এমন শোনা কথায় কান দিতে যেয়ো না। তোমার যদি যোগ্যতা আর মেধা থাকে, তবে EEE পড়েতোমাকে একদিনও বসে থাকতে হবে না। তুমিঠিকই তোমার Deserving পজিশনে যেতে পারবে।
আর স্যালারি? এটাও বলবো না। ইন্টারনেটে সার্চ দিলেই জানতে পারবে।আমার নিজের মতামত হলো স্যালারির উন্মাদনার চেয়ে বিষয়টার প্রতি আকর্ষনথেকেই ইইই তে আসা উচিত।
তোমাদের সবার জন্য রইলো শুভকামনা। যারা সত্যিকার অর্থেই ইইই পড়তে চাও, তারা যেন এই কাঙ্খিত সাবজেক্টে ভর্তি হবার সুযোগ পাও। দেখা হবে বিজয়ে...
শায়খুল ইসলাম
ইইই, বুয়েট - ২০১১
৫টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বিচারের জায়গা না পেলে মানুষ প্রেত হয়ে ওঠে

লিখেছেন শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু, ১২ ই মে, ২০২৫ সকাল ১১:৩৯


(সামাজিক অবিচার, রাষ্ট্রীয় অনুপস্থিতি এবং আন্ডারওয়ার্ল্ড কাঠামোর মধ্যে সাধারণ মানুষ কীভাবে হারিয়ে যায়।)

মানুষ যখন বারবার অবিচারের শিকার হয়,... ...বাকিটুকু পড়ুন

=একদিন এসো সন্ধ্যে ফুরোলেই=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১২ ই মে, ২০২৫ বিকাল ৩:৪৫



ভালোবাসা ছড়ানো পাতায় পাতায়, সবুজাভ স্নিগ্ধ প্রহর আমার
এখানে উঁকি দিলেই মুগ্ধতারা চুয়ে পড়ে টুপটাপ;
ধূসর রঙ প্রজাপতিরাও এখানে রঙিন ডানায় উড়ে,
কেবল অনুভূতির দোর দিতে হয় খুলে, চোখগুলো রাখতে হয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

চীনের জে-১০ যুদ্ধবিমান কোনো চকচকে ল্যাব বা বিলাসবহুল ফ্যাক্টরিতে জন্মায়নি

লিখেছেন নাঈম আহমেদ, ১২ ই মে, ২০২৫ বিকাল ৪:২৬

চীনের জে-১০ এর পেছনেও রয়েছে সেই ত্যাগ আর সংকল্পের গল্প—
১: গবেষণা ও উন্নয়ন (R&D) দলের অক্লান্ত পরিশ্রম।
২: বাইসাইকেলে চেপে কাজে যাচ্ছেন প্রধান প্রকৌশলী সু চিশৌ।
৩: প্রথম উড্ডয়নের পর কেঁদে... ...বাকিটুকু পড়ুন

Bangladesh bans ousted PM's Awami League under terrorism law

লিখেছেন মেঠোপথ২৩, ১২ ই মে, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৫৬





হায়রে এরেই বলে কর্মফল। ১৭ টা বছর গুম , খুনের মাধ্যমে এক ভয়ের রাজ্য তৈরী করে কেড়ে নেয়া হয়েছিল মানুষের বাকশক্তি। চোখ, কান, মুখ থাকতেও... ...বাকিটুকু পড়ুন

দিন গেলে আর দিন আসে না ভাটা যদি লয় যৌবন

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১২ ই মে, ২০২৫ রাত ১০:২৬


এমন কোনো ইস্যু আছে, যা নিয়ে জাতি পুরোপুরি একমত? ৫০%ও একমত এমন কোনো বিষয় চোখে পড়ে না। একপক্ষ রবীন্দ্রনাথের গান জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে মনেপ্রাণে ধারণ করে, আরেক পক্ষ বদলাতে চায়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×