somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ফিরে দেখা ২০১২, সামুতে ক্যাচাল ও সিন্ডিকেটবাজির কারণে যেসব বিখ্যাত নিকগুলো ব্যান খেয়েছে ;)

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৩৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সামু'র শুরু থেকে ব্লগে নানা সিন্ডিকেট ছিলো,আছে,থাকব। লিজেন্ড গ্রুপ 'এ'টিম মহৎ উদ্দেশ্য নিয়ে সিন্ডিকেটবাজী করলেও বতর্মান সিন্ডিকেটবাজদের এমন মহৎ কোন উদ্দেশ্য নাই। অবশ্য "এ" টিমও বিতর্কিত হয়ে পড়ে পরে একসময়। গত বছরে সিন্ডিকেটবাজীর জন্য মাল্টির বাম্ফার ফলন হয়। সেই সাথে অনেক সিন্ডিকেট তাদের অনেক শক্তিমান নিকও হারায়।

আজকের পুস্ট সেই সব বিখ্যাত সিন্ডিকেটগুলা নিয়ে।


সিপিজিঃ
এ'টিমের প্রস্থানের উপর তাদের আদর্শ রক্ষার ঘোষণা দিয়ে যারা ব্লগ সিন্ডিকেটবাজী শুরু করে সিপিজি। বর্তমান সিন্ডিকেট গুলার মাঝে জেষ্ঠ্য সিন্ডিকেট। তাদের ছাগু পোানিতে অনেক ছাগুই ব্লগ থেকে বিদায় নিয়েছে। তবে ছাগু পোানি ছাড়াও তারা একসময় বিভিন্ন ব্লগারদের আক্রমন করা শুরু করে। এবং ব্লগে বিতর্কিত হয়ে উঠে। এর চূড়ান্ত রুপায়ন ঘটে, যখন গত বছরের শুরুতেই তাদের একজন রুদ্রপ্রতাপ তার নিক থেকে শিপু ভাইকে নিয়ে পোষ্ট দিয়ে বিতর্কের শুরু করে। পরবর্তীকালে দূর্যোধনের পুস্টে বেফাস মন্তব্য করে দারুণ সমালোচিতও হয়। একসয়ম নিকটা ব্যান খায়। রুদ্রপ্রতাপ ছাড়াও সিপিজিকে মুন্নীর মত বদনাম করে যায় মুনজুর রনি ও ট্রোজনহর্স নামের দুই নিক। অনেক ব্লগারকে ব্যাক্তিআক্রমণ করা এবং একটি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিত্ব করার কারনে সিপিজি তাদের অবস্থান হারিয়েছে। সিপিজির সদস্যদের নিজেদের মধ্যে ব্যাক্তিগত কোন্দলের কথাও পাবলিকলি এসে পড়ে।


মামা সিঙ্গাড়া গ্রুপঃ
জেষ্ঠ্য ব্লগার জিশান শাহ ইকরাম কেন্দ্রীক এই গ্রুপটা ব্লগে সবচেয়ে বড় গ্রুপের সৃষ্টি করেছিলো। যদিও সিপিজি বা এটিমের মত তাদের নিজস্ব কোন আদর্শ ছিলো না। এই গ্রুপ প্রথম সমালোচিত হয় ব্লগার জুলভার্নকে আক্রমন করে। বছরের শুরুতে এই গ্রুপের সেকেন্ড ইন কমান্ড শিপু ভাই নিয়ে রুদ্রপ্রতাপ পুস্ট দেয়। পরবর্তীতে মামা সিঙ্গাড়া গ্রুপের প্রক্তন সদস্য ইশতিয়াক চয়ন (চয়ন নিজেও পরবর্তীতে মালীনিকবাজির কারনে ব্যান খান), মাইক্রোফেজ ও ব্লগ নিয়ন্ত্রন নিয়ে মামা সিঙ্গাড়া গ্রুপের বিরোদ্ধে পুস্ট দেয়। এরই ধরাবাহিকতায় আরজু পনি ও পরবর্তীতে দূর্যধোনের পোষ্ট আসে। এবং সবশেষে মামা সিঙ্গাড়া গ্রুপের কর্ণধার জিশান শাহ ইকরাম ব্যান খায়।



রম্য লেখক গ্রুপঃ
জিশান শাহ ব্যান খাওয়ার মধ্য দিয়ে মামা সিঙ্গাড়া গ্রুপের কিছু প্রাক্তন কিছু সংশোধিত (?) সদস্য নিয়ে এই গ্রুপের সৃষ্টি। গ্রুপের কর্ণধার দুই রম্য লেখক। জিশান বিতর্কে সবার সমর্থন পাওয়ায় এরা এক সময় ব্লগ মাতব্বরের ভূমিকায় অবতীর্ন হয়। সবাইকে জ্ঞান দিয়ে বেড়ানোই যেন তাদের কাজ। একসময় তারা ব্লগের জনপ্রিয় এক সুলেখিকার পিছনে লাগতে শুরু করে। তারপর একে একে ব্লগের ভালো ব্লগাদের নিয়েও বিতর্কিত মন্তব্য করতে শুরু করে এবং সমালোচিত হয়। তাছাড়া মাল্টি নিকবাজীর জন্যও সমালোচিত হয়। এবং শেষ পর্যন্ত ইশতিয়াক আহমেদ চয়ণ নিকটা ব্যান খায়।



নাস্তিক গ্রুপঃ
নাস্তিকতার নামে ব্লগে বিভিন্ন সময় ধর্মকে নিয়া কটাক্ষ করা নাস্তিক গ্রুপ এবছরও সক্রিয় ছিলো। তীব্র চুলকানি রোগে ভোগা এই নাস্তিকেরা সারা বছর চুলকানি মূলক পুস্ট দিলেও কেউ তাদের খাউজানি দিতে যায় নাই। বছরে শেষ দিকে এসে দাড়িপাল্লা একটা পোষ্ট চুলকানি মূলক পুস্ট দেয় এবং ব্লগ গরম হয়ে উঠে। একের পর এক অশ্লীল পোষ্ট আসতে থাকে। দেরিতে হলেও মডুরা ঘুম ভেঙ্গে সেই পুস্ট ডিলেট করেন এবং অনেককেই ব্যান ও জেনারেল করেন। দাড়িপাল্লাও ব্যান খায়। তবে ব্লগ মাতব্বরেরা তখন ভাঁড়ের ভূমিকায় আবতীর্ন হয়ে সমালোচিত হন।


আওয়ামী গ্রুপঃ
রাজনৈতিক পুস্ট ব্লগের শুরু থেকে ছিলো। যুক্তি দিয়ে সে সব পোষ্ট তর্ক বিতর্কও হয়। তবে 2012 কিছু আওয়মী নিকের জন্ম হয় যারা যুক্তির চেয়ে অশ্লীলতা কে অস্ত্র হিসাবে বেশী আগ্রহী ছিলো। মোহাম্মদ হারুণ,কিরণ বা সুলতান মির্জা প্রতেকটা নিক আওয়মী ঘরনার এবং অশ্লীলতা নির্ভর ছিলো। নাস্তিক গ্রুপের মত আওয়ামী গ্রুপ নির্বাচকদের আনুকূল্য পেলেও পুরো বছর জুড়েই মডুর খাড়া তাদের উপর ছিলো।


মডু গ্রুপঃ
সারা বছর জুড়ে আলোচিত সমালোচিত থাকলেও এই গ্রুপের একটা সদস্যও ব্যান খায় নাই :( X(( X((



*আগামী বছরের পুস্টে বিএনপিপন্থি গ্রুপের কথাও থাকবে। এরা এ বছর এক হওয়া চেষ্টা করতেছে।

**ছাগুদের গোনায় ধরা হয় নাই। তবে জিন্নাহ্ বা এই টাইপের নামে কাউকে ব্লগে সুযোগ দেয়ার আগে মডুদের ভাবা উচিত। এই নামটাই কি আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রতি কটাক্ষ না? মডুদের লক্ষ্য রাখা উচিত যোদ্ধাপরাধীদের পক্ষে বা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের বিপক্ষে আমাদের প্রিয় সামুতে আর যেন কোন পুস্ট না আসে।

সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৩:০১
৩৮টি মন্তব্য ১২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ফখরুল সাহেব দেশটাকে বাঁচান।

লিখেছেন আহা রুবন, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৫০





ফখরুল সাহেব দেশটাকে বাঁচান। আমরা দিন দিন কোথায় যাচ্ছি কিছু বুঝে উঠতে পারছি না। আপনার দলের লোকজন চাঁদাবাজি-দখলবাজি নিয়ে তো মহাব্যস্ত! সে পুরাতন কথা। কিন্তু নিজেদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হচ্ছে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। প্রধান উপদেষ্টাকে সাবেক মন্ত্রীর স্ত্রীর খোলা চিঠি!

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:০৩




সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনকে মুক্তি দিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে খোলা চিঠি দিয়েছেন মোশাররফ হোসেনের স্ত্রী আয়েশা সুলতানা। মঙ্গলবার (২৯... ...বাকিটুকু পড়ুন

কেমন হবে জাতীয় পার্টির মহাসমাবেশ ?

লিখেছেন শিশির খান ১৪, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৫৬


জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিক্ষুব্দ ছাত্র জনতা আগুন দিয়েছে তাতে বুড়ো গরু গুলোর মন খারাপ।বুড়ো গরু হচ্ছে তারা যারা এখনো গণমাধ্যমে ইনিয়ে বিনিয়ে স্বৈরাচারের পক্ষে কথা বলে ,ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ হওয়াতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

দ্বীনদার জীবন সঙ্গিনী

লিখেছেন সামিউল ইসলাম বাবু, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:১৩

ফিতনার এই জামানায়,
দ্বীনদার জীবন সঙ্গিনী খুব প্রয়োজন ..! (পর্ব- ৭৭)

সময়টা যাচ্ছে বেশ কঠিন, নানান রকম ফেতনার জালে ছেয়ে আছে পুরো পৃথিবী। এমন পরিস্থিতিতে নিজেকে গুনাহ মুক্ত রাখা অনেকটাই হাত... ...বাকিটুকু পড়ুন

জাতির জনক কে? একক পরিচয় বনাম বহুত্বের বাস্তবতা

লিখেছেন মুনতাসির, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৮:২৪

বাঙালি জাতির জনক কে, এই প্রশ্নটি শুনতে সোজা হলেও এর উত্তর ভীষণ জটিল। বাংলাদেশে জাতির জনক ধারণাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে একজন ব্যক্তিত্বকে জাতির প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে মর্যাদা দেওয়া হয়। তবে পশ্চিমবঙ্গের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×